মেয়েদের বিয়ের পরই বিচ্ছেদ! বার্ধক্য বয়সে একাকীত্বে মুড়েছে জীবন! ‘চারুলতা’ মাধবীকে ছাড়া কেমন আছেন নির্মল কুমার?

“ও মন কখন শুরু কখন যে শেষকে জানে” টলিউডের(Tollywood) একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা, উত্তম কুমারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করেছেন একেই পর এক হিট সিনেমা। কমললতা সিনেমায় উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar) ছাপিয়ে গেছে যার অভিনয়। সন্মানিত হয়েছেন বাংলা ফিল্ম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ডে। যার মুসলিম কবির সরল চরিত্র জিতেছে আপামর বাঙালি দর্শকের মন। ৯৫ বছর বয়সে তার সঙ্গী একাকিত্বতা। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আমরা কথা বলছে জনপ্রিয় অভিনেতা নির্মল কুমারের। স্ত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের থেকে আলাদা তিনি।

নির্মল কুমার জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২৮ সালের ১৪ই ডিসেম্বর, কলকাতায়। যদিও কমললতা ছাড়া সেইভাবে তাকে আর কোনও রোমান্টিক চরিত্র দেখা যায়নি। তবে তার অভিনয়ের দক্ষতা নজর কেড়েছে সর্বদা। একনদীর গল্প, বাঞ্ছারামের বাগান, আতঙ্ক, লালপাথর, ক্ষণিকের অতিথি, অন্তর্ধান, বিলম্বিতলয়, বনপলাশের পদাবলী, এখনই, লাঠি, বাজি, সপ্তমী প্রভৃতি সিনেমায়। সিনেমার মতোই বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন শান্ত, সহজ-সরল ও লাজুক স্বভাবের। যদিও পর্দার ওপারে সকলের সাথেই ছিল তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক।

নির্মল কুমার বিয়ে করেন বাংলা সিনেমার স্বনামধন্য অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়কে। তিনি শিশুশিল্পী হিসেবেই পা রাখেন বাংলা সিনেমায়। ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন সহ বাংলার সব স্বনামধন্য পরিচালকদের সঙ্গেই সিনেমা করেছেন তিনি। চারুলতা, মহানগর, কাপুরুষ, সুবর্ণরেখা, অদ্বিতীয়া, বাইশে শ্রাবণ, দিবারাত্রি কাব্য, বনপলাশের পদাবলী, বাঞ্ছারামের বাগান, বন্দিনী কমলা, বিরাজ বউ, স্ত্রীর পত্র প্রভৃতি বাংলা সিনেমার তার অভিনয় ছিল নজরকাড়া।

সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোনও দিনও করবেন না বিয়ে কিন্তু অবশেষে সাত পাকে বাঁধা পরেন তিনিও। শোনা যায় একটি অনুষ্ঠানে নির্মল কুমার বিয়ের প্রস্তাব দেন তাকে। ভদ্র, নম্র, সুন্দর স্বভাবের নির্মল কুমারকে দেখে মুগ্ধ হন তিনি। বিয়ে করেন তারা। দীর্ঘ ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে কাটিয়েছেন তারা। ২ ই মেয়েও আছে তাদের। একজন স্কুল শিক্ষিকা, একজন কলেজের অধ্যাপিকা। দুই মেয়েকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে বিয়ে দিয়ে আলাদা হবার সিদ্ধান্ত নেন তারা। জানা গেছে মতের অমিলের কারণের আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা যদিও ডিভোর্স হয়নি তাদের।

এখনও তিনি সিঁদুর পড়েন স্বামীর মঙ্গলে, মেয়ের জন্মদিন, পুজো, জামাইষষ্ঠী সবই একসাথে কাটান তারা। স্বামীর অসুস্থতার ছুটে যান, যত্নও করেন তার কিন্তু পৃথক বাড়িতে থাকেন দুজনেরই। সম্প্রতি মেয়ের জন্মদিনে একসাথে ছবিও তুলেছেন তারা স্বামী স্ত্রীর মতো। তাদের সেই ছবি মন ছুঁয়ে গেছে তাদের অনুগামীদের। তাদের সুস্থতার কামনা করি।