বাংলার মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। মৃত্যুর চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁকে নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ কমে নি মানুষের। বাংলার চলচ্চিত্র জগতে অভিনেতার অবদান চিরকালীন। মনোক্রম পর্দায় তাঁর উপস্থিতি মানেই তা অন্য মাত্রা প্রদান করে। মহানায়ক উত্তম কুমারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনা কম হয়নি। শোনা যায়, রিলের মতো রিয়েল লাইফেও তিনি যথেষ্ট প্রেমিক মানুষ ছিলেন।
অভিনেতা উত্তম কুমারের সঙ্গে চলচ্চিত্র জগতের অনেক অভিনেত্রীর সম্পর্কের আঁচ পাওয়া যায়। তাঁর মতো সুপুরুষ কজন হয়! তাছাড়া অভিনেতা ছিলেন অত্যন্ত হাসিখুশি স্বভাবের মানুষ। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। তাঁর সঙ্গে নাম জড়ায় টলিপাড়ার খ্যাতনামা অভিনেত্রীদের।
মনোক্রম পর্দার শ্রেষ্ঠ প্রেমের জুটি মানেই উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের জুটি। তবে উত্তমবাবুর সঙ্গে সুপ্রিয়া চৌধুরীর সম্পর্কও বেশ আলোচিত হয়েছিল। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয় বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে। শোনা যায়, প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পাওয়া মহানায়ক উত্তম কুমার বাস্তব জীবনে ছিলেন একা। সে সময় সুপ্রিয়া চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেতা উত্তমকুমার। নিজের সাজানো সংসার ছেড়ে উত্তমকুমারের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান তিনি।
মহানায়কের স্ত্রী ছিলেন গৌরি দেবী। অন্যদিকে, সুপ্রিয়া দেবীর স্বামী ছিলেন বিশ্বনাথ চৌধুরী। সুপ্রিয়া দেবীর এক মেয়ে সোমা চৌধুরীকে দত্তক নেবেন বলে ঠিক করেন মহানায়ক। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। কারণ মহানায়কের এই সিদ্ধান্তে মত ছিল না স্ত্রী গৌরিদেবীর। তাই সুপ্রিয়া কন্যা সোমা কোনোদিনই উত্তম কুমারের পরিচয় পাননি। মহানায়কের সম্পত্তির উপরেও তাঁর অধিকার ছিল না।
মহানায়কের ছেলে গৌতমের মতো সুপ্রিয়া কন্যা সোমা তাঁর বাবাকে আদর করে ডাকতেন বাবি বলে। বিয়ের সময় মেয়ের সম্প্রদানও করেন উত্তম বাবু। সোমা চৌধুরীর অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিল তাঁর বাবি। যদিও সেই বাবা-মেয়ের খোলামেলা সম্পর্ক নিয়েও কুৎসা রটাতে ছাড়েনি সমাজ। বাবার সম্পত্তির ভাগ না পেলেও ‘বাবির’ ভালোবাসা থেকে কখনও বঞ্চিত হননি সুপ্রিয়া কন্যা সোমা চৌধুরী।