বাংলা সিরিয়ালের দুনিয়ায় এমন অনেক তারকা রয়েছে যারা হঠাৎ করে হারিয়ে গেছে কিংবা হারিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। হয়তো প্রথম কাজের মধ্যে দিয়েই তারা নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছে কিন্তু তবুও কোন না কোন বিশেষ কারণে আর দেখা যাচ্ছে না তাদের টেলিভিশনে।
সম্প্রতি স্টার জলসার পর্দা থেকে বিদায় নিয়েছে সিরিয়াল আলতা ফড়িং। সিরিয়ালে অভ্রদীপ আর ফড়িংয়ের সুন্দর মিষ্টি সম্পর্ক শুরু থেকেই ভালো লেগেছিল দর্শকদের। মোটামুটি গল্পও ছিল ভালো। কিন্তু হঠাৎ করে সিরিয়ালের নায়ক হয়ে গেল ভিলেন এবং গল্প প্রবেশ করল তৃতীয় ব্যক্তি অর্জুন যে তারপর ঘটনাচক্র নায়ক হয়ে উঠল। তাকে দেখিয়েই শেষ করে দেওয়া হলো সিরিয়াল।
যবে থেকে পর্দা থেকে অভ্র বিদায় নিয়েছিল তবে থেকেই দর্শকরা মেনে নিয়েছিল এক প্রকার সিরিয়াল শেষ হয়ে গেছে তাদের কাছে কারণ যে জুটির জন্য তারা সিরিয়াল দেখতো সেই জুটিটাই আর থাকলো না। ফোনে আস্তে আস্তে টিআরপি কমতে শুরু করেছিল এবং এই কারণেই হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হলো সিরিয়াল।
ফড়িং চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী খেয়ালী মণ্ডলকে এরপর এখন অবধি দেখা যায়নি সিরিয়ালে। তবে এক সাক্ষাৎকারে জীবনের বেশ কিছু কষ্ট এবং দুঃখের কথা শেয়ার করেছে এই অভিনেত্রী। সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারলে আপনারাও কেঁদে ফেলবেন।
অভিনেত্রী নিজে বাস্তব জীবনে একজন জিমন্যাস্ট। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া থাকে তার জিমন্যাস্টিক এর সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে এবং সেই সূত্রেই নায়িকা জানায় অবশ্যই কিছু সোর্স থাকলে অযোগ্য ব্যক্তিরাও সুযোগ পায় এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। তবে সততার দাম দিয়েছে অভিনেত্রী এবং বলেছে কিছু মানুষ রয়েছে যারা এই যোগাযোগ ছাড়াও নিজেদের কষ্টে উপরে উঠে আসে।
ঘটনাচক্রের অভিনেত্রী নিজের পুরনো দিনে ফিরে যায় এবং নিজে জানায় এক প্রতিযোগিতায় সে একমাত্র প্রতিযোগী ছিল তাদের ক্লাবের তরফে যে কোন ভুল করেনি। তবু ফলাফল ঘোষণার সময় জানতে পারে যে চার-পাঁচটা ভুল করেছে তাকেই প্রথম করে দেওয়া হলো। অভিনেত্রী মনে প্রচণ্ড ধাক্কা লেগেছিল এবং তারপর থেকেই জিমন্যাস্টিকস সংক্রান্ত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করত না খেয়ালী।