যথার্থ ভালোবাসা! রাইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে রাইকে অফিসে ফিরিয়ে নিয়ে গেল অনির্বাণ! আসছে রোম্যান্সে ভরা পর্ব

Mithijhora Today Episode: বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় এবং চর্চিত ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। একের পর এক নতুন নতুন চমকের কারণে জমে উঠেছে তিন বোনের কাহিনী। বাবার মৃত্যুর পরই তিন দিকে বাক দিয়েছিল তিন বনের জীবন। সংসার চালানোর তাগিদে ভালোবাসার মানুষকে ত্যাগ করে চাকরিতে যোগ দেয় রাই। দ্বিতীয় বোন নীলু সংসার শুরু করে শৌর্য্যের সঙ্গে। আর তৃতীয় বোন স্রোত নিজের উপার্জনের টাকায় শুরু করে ডাক্তারি পড়া।

যদিও বর্তমানে ধারাবাহিকের দর্শকদের নজর বড় দিদি রাইয়ের জীবনের ওপর। ইতিমধ্যেই রাইয়ের জীবনে প্রেমের আভাস নিয়ে এসেছে অনির্বাণ। তবে সুদীপ্তর প্ল্যান বুঝতে না পেরে ট্যাক্সের টাকা চুরির ঘটনায় রাইকেই সন্দেহ করে বসে অনির্বাণ। রঞ্জনদার সাহায্যে সবটা প্রমাণ করে অভিমানে, দুঃখে অফিস ছেড়ে দেয় রাই। নিজের ভুল বুঝতে পেরে খুব ভেঙে পড়ে অনির্বাণ। সে ঠিক করে নেয় যে করেই হোক এবার সে নিজে গিয়ে রাইকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।

মিঠিঝোরার আজকের পর্ব ১০ মে (Mithijhora Today Episode 10 May):

যেমন ভাবনা তেমন কাজ। রাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে রাইয়ের বাড়িতে চলে আসে অনির্বাণ। অনির্বাণকে দেখেই যা নয় তাই বলে অপমান করতে শুরু করে বিক্রম আর নন্দিতা। রাইয়ের মা এবং দাদার ব্যবহার দেখে অনির্বাণ নিজেও ভাবতে থাকে এরকম পরিবেশে রাই কিভাবে থাকে? রাইয়ের নিজের মা দাদা হয়ে নিজের বাড়ির মেয়ে, বোনের সম্বন্ধে কেউ এইভাবে কি করে বলতে পারে? পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাইকে ডেকে নিয়ে আসে বৌমণি।

রাইয়ের কাছে ক্ষমা চাইল অনির্বাণ:

রাইকে দেখেই অনির্বাণ জানায় সে রাইয়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চায় তার চাকরির ব্যাপারে। মেয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে শুনে খুব খুশি হয় নন্দিতা। সবাই চলে যাওয়ার পর রাইকে অনির্বাণ বলে অফিসে ফিরে যেতে। কিন্তু তাকে স্পষ্ট বারণ করে দেয় রাই। অনির্বাণ রাইয়ের হাতটা ধরে রাইকে বলে “আমি ভুল করেছি রাই। তুমি আমার সঙ্গে অফিসে ফিরে যেতে।” নানাভাবে অপমান করার পরও রাই বুঝতে পারে অনির্বাণ যা করেছে তাতে সে অনুতপ্ত।

আরো পড়ুন: একি সর্বনাশ! একেবারে র’ক্তার’ক্তি কান্ড! অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা

পায়েলের হাত থেকে স্রোতকে বাঁচাল সার্থক:

এদিকে কলেজের ট্যুরে যেতে পারবে না ভেবে মন খারাপ করে বসে থাকে স্রোত। তার বন্ধুরা তাকে এসে সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে স্রোত জানায় তার টিউশনের টাকা আর স্কলারশিপের টাকা সবটাই ডাক্তারি পড়তে গিয়ে খরচ হয়ে গেছে। এখন তার হাতে আর টাকা নেই। তখনই সেটা শুনে চলে আসে পায়েল। স্রোতকে অপমান করে পায়েল বলে মাত্র দেড় হাজার টাকাও সে দিতে পারবে না এতই গরিব? পরিবারের নামে এসব শুনে রেগে যায় স্রোত। পায়েল আর স্রোত মারমুখী হয়ে উঠলে সার্থক এসে থামিয়ে দেয় দুজনকে। স্রোতের বিষয়ে সবটা শুনেই কি স্রোতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সার্থক? রাইকে আবার ফিরে যাবে অফিসে? আপনাদের কি মনে হয়?