জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে অনির্বাণকে চা করে খাওয়াচ্ছে রাই। সেই চা খেয়ে দারুণ লাগে অনির্বাণের। আর অনির্বাণ রাইকে বলে সে সত্যিই খুব ভালো চা বানাতে পারে। আর তার রান্নার হাতও দারুন। সেই কথা শুনে রাই বলে “আপনার যে ভালো লেগেছে স্যার তাতেই আমি খুব খুশি।” তখনই অনির্বাণ রাইকে বলে তার বাড়িতে কেউ নেই যে তাকে চা বানিয়ে খাওয়াবে, এই রাইকে তার জন্য চা বানালো তাতে রাই নিজেই একটা সমস্যায় পড়ে গেল।
সেই কথা শুনেই চমকে যায় রাই। সে অনির্বাণকে জিজ্ঞাসা করে “কিসের বিপদ।” তখন অনির্বাণ তাকে বলে “এই যে আপনি আমায় এত সুন্দর চা করে খাওয়ালেন এতে তো আমার ভালো চা খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেল এরপর ইচ্ছে হলে।” তখন রাই মুচকি হেসে বলে “তার মানে আপনাকে রোজ চা খাওয়াতে হবে এই তো! ঠিক আছে আমি আপনাকে রোজ চা বানিয়ে খাওয়াবো।” সেটা শুনেই খুব খুশি হয় অনির্বাণ। এরপর অনির্বাণ রাইকে বলে তার চা নিয়ে আসতে।
সে কথা শুনে রাই অনির্বাণকে জিজ্ঞাসা করে সে আরেকটু চা খাবে নাকি। সেটা শুনে অনির্বাণ বলে সে চা খাবে না বরং রাই তার সঙ্গে চা খাবে। সেটা শুনে রাই তাকে বলে সে পরে চা খেয়ে নেবে। কিন্তু অনির্বাণ খানিকটা আবদারের সুরে রাইকে বলে তার সঙ্গে চা খেতে। অনির্বাণ রাইকে এও বলে আগের দিন যা হয়েছিল সে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আসলে সে আর তার স্ত্রী ভালোবেসেই একে অপরকে বিয়ে করেছিল, সবটাই ভালোই চিনছিল।
কিন্তু তার স্ত্রীর একের পর এক চাহিদা সে কিছুতেই পূরণ করে উঠতে পারছিল না। শেষে তার স্ত্রী একজন বন্ধুর সঙ্গে চলে যায়। আগের দিনও তার স্ত্রী তাকে ফোন করেছিল সেটা দেখেই অনির্বাণ রেগে গেছিল।” অনির্বাণের মুখ থেকে সবটা শুনে রাই তাকে বলে সে কিছুই মনে করেনি। তখনই চলে আসে চাওয়ালা অনির্বাণের ঘরে চায়ের সরঞ্জাম দেখে সে চলে যায় সেখান থেকে আর মনে মনে ভাবে এই কথাটা অফিসে পাঁচ কান করতে হবে। তখনই অনির্বাণ রাইকে বলে তার বাড়িতে রান্না করার কেউ নেই। তিনি পরিচারিকা রান্না করেন তিনি ঠিক করে রান্না করতে পারেননা।
আরো পড়ুন: উচিৎ জব্দ হল কুটনি! অর্জুন আর দীপার যুগলবন্দিতে নাজেহাল মিশকা! কবে পাবে সমুচিত শিক্ষা?
অনির্বাণ রাইকে বলে রাই যেন তার বাড়িতে এসে তাকে রান্না করে দেয়। তখন খানিকটা চমকে ওঠে রাই। তখন অনির্বাণ বলে সে একা থাকে বলেই কি রাই তার সঙ্গে যাচ্ছে না। তখন রাই বলে সেরকম কিছু নয়। সে যাবে অনির্বাণের বাড়ি। তখন অনির্বাণ বলে তাহলে রবিবার দিন যেন রাই তারা সঙ্গে তার বাড়িতে যায়। সবটা শুনে রাজি বিয়ে গেলেও রাই মনে মনে ভাবে “এটা কি ঠিক হবে, স্যার তো অফিসের আর কেউকেই বলেননি তাহলে আমি একা কেন?” তাহলে কি মনে হয় আপনাদের রাইকে যাবে অনির্বাণের বাড়ি? আর যদি যায় তাহলে কি হয়ে চলেছে রাইয়ের সঙ্গে?