Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলোর বর্তমানে চর্চায় উঠে এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম অর্গানিক স্টুডিওর (Organic Studio) মিঠিঝোরা (Mithijhora)। নতুন নতুন চমকের কারণে শুরুর থেকেই ধারাবাহিকটি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল দর্শকদের। রাই, নীলু এবং স্রোতের কাহিনী পর্দায় মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের। যদিও বর্তমানে ধারাবাহিকের দর্শকরা বেশি উৎসাহী রাইয়ের জীবন নিয়ে। রাইয়ের জীবনে অনির্বাণের আসার পর থেকেই ধারাবাহিকের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটা।
যদিও নীলু এবং ডোরা বৌদির কথা শুনে রাইকে ভুল বুঝেছিল অনির্বাণ। সেই অভিমানে অফিস ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে নেয় রাই। কিন্তু মেজ বোন ক্ষতি করতে চাইলেও দিদির ভালোবাসার ঠিক করতে এগিয়ে আসে ছোট বোন স্রোত। অনির্বাণের অফিসে গিয়ে সে রাইয়ের ব্যাপারে সমস্ত কথা জানিয়ে দেয় অনির্বাণকে। স্রোতের কথা শুনে নিজের ভুল বুঝতে পারে অনির্বাণ।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ১২ জুন (Mithijhora Today Episode 12 June)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে নতুন অফিসে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে রাই। কিন্তু বাড়ির থেকে বেরোতেই তার দেখা হয়ে যায় অনির্বাণের সঙ্গে। রাইকে দেখেই টে কাছে গিয়ে ক্ষমা চায় অনির্বাণ। এরপর নতুন অফিসে ছেড়ে দেওয়ার নাম করে রাইকে নিজের অফিসে নিয়ে যায় সে। অনির্বাণের অফিসে দেখে প্রথমে অবাক হয়ে যায় রাই। এরপর রাইয়ের কাছে ক্ষমা চায় অনির্বাণ। সে রাইকে বলে এই অফিস ছেড়ে, তাকে ছেড়ে না যেতে।
প্রথমে রাজি না হলেও অনির্বাণের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারে না রাই। রাইও রাজি হয়ে যায় অনির্বাণের অফিসে কাজ করতে। এরপর থেকেই প্রতিদিন রাইকে নিয়ে ডিনারে যাওয়া বা এখানে ওখানে ঘুরতে যেত অনির্বাণ। অনির্বাণ মনে মনে ভাবে সে স্রোতকে কথা দিয়ে বলেছিল তার দিদির যোগ্য হয়েই তাকে বিয়ে করবে। তার সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করে অনির্বাণ।
আরও পড়ুন: ইরার সামনে ডাঁহা ফেল করল দীপা! ইরার তৎপরতায় ফিরে এল সূর্যের স্মৃতি! কি হবে এবার দীপার?
রাইকে নিজের মনের কথা খুলে বলল অনির্বাণ
এইভাবে এগিয়ে যায় দিন। এরপরই একদিন রাইকে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় যায় অনির্বাণ। রাইকে সে বলে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। অনির্বাণের বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনে খুব কষ্ট পায় রাই। যদিও মুখে কিছুই বলেনি সে। অনির্বাণ রাইকে বলে সে তার হবু স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যেতে চায় এবং সেখানে তার সঙ্গে যেতে হবে রাইকে। কিন্তু সেখানে যেতে একবারই বারণ করে দেয় রাই। অনির্বাণ রাইকে বলে রাইয়ের সঙ্গেই সারাজীবন কাটাতে চায় তাই রাইকে তার সঙ্গেই থাকতে হবে। এই কথা শুনেই খুব খুশি হয়ে যায় রাই। তবে কি এবার সাত পাকে বাঁধা পড়বে অনির্বাণ আর রাই, আপনাদের কি মনে হয়?