বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। শুরু থেকেই রাইপূর্ণা, নীলাঞ্জনা এবং তিলোত্তমার কাহিনী মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। প্রথমে যদিও রাত সাড়ে নয়টার স্লটে একেবারেই ভালো ফলাফল করতে পারেনি ধারাবাহিকটি। তবে সময়ের পরিবর্তন এবং নতুন নায়কের আগমনের পর থেকেই বেড়ে যায় ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। বর্তমানে স্টার জলসার ধারাবাহিক হরগৌরী পাইস হোটেলকে প্রতি সপ্তাহেই পরাস্ত করছে মিঠিঝোরা।
বাবার মৃত্যুর পর হাল ধরেছে সংসারের, মিঠিঝোরা ধারাবাহিকে রাইয়ের কাহিনী
ধারাবাহিকের শুরুতে আমরা দেখেছি বাবা মা, দাদা, বউদিকে নিয়ে বেশ সুখে শান্তিতে দিন কাটছিল তিন বোনের। তারই মাঝে বিয়ে ঠিক হয় বড় মেয়ে রাইয়ের। কিন্তু বাবার অকাল প্রয়াণে বদলে যায় সব কিছু। বড় দিদি হওয়ার কারণে সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয় রাই এবং নিজের ভালোবাসার মানুষের বিয়ে দিয়ে দেয় নিজের ছোট বোন নীলুর সঙ্গে। যদিও বিয়ের পর বদলে যায় নীলুও। নিজের দিদিকেই বারবার বিনা কারণে অপমান করতে শুরু করে নীলু। তার মনে একটাই ভয়, শৌর্য্যকে রাই তার জীবন থেকে কেড়ে নেবে।
ছোট বোন স্রোতের জীবনেও এসেছে বিশেষ মানুষ। যদিও সার্থকের সঙ্গে এখনও চলছে স্রোতের মান অভিমানের পালা। তবে বর্তমানে সকলের নজর বড় দিদি রাইয়ের ওপর। রাইয়ের জীবনের শৌর্য্য চলে যাওয়ার পর এসেছে নতুন মানুষ। রৌদ্রতপ্ত গরমে এক পশলা বৃষ্টির মতো অনির্বাণের ভালোবাসা হাতছানি দিচ্ছে রাইয়ের জীবনে। ইতিমধ্যেই সুদীপ্তর সত্যিটা সকলের সামনে এনে দিয়ে অফিস ছেড়ে দিয়েছে রাই। রাইকে ফিরিয়ে আনতে রাইয়ের বাড়ি চলে যায় অনির্বাণ। এদিকে শৌর্য্যও বুঝতে পেরে গেছে নীলু মা হওয়ার মিথ্যে নাটক করছে।
তবে রাইয়ের বাড়িতে গিয়েও লাভ হয়নি বিশেষ। বরং অপমান করে অনির্বাণকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় রাই। মনের দুঃখে কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অনির্বাণ। দাদাদ চলে যাওয়া আটকাতে রাইয়ের দ্বারস্থ হয় শর্মি। প্রথমে শর্মিকে বারবার বারণ করলেও অবশেষে শর্মির অনেক বোঝানোর পর অফিসে যেতে রাজি হয় রাই। সেখানে গিয়ে অনির্বাণের সঙ্গে মান অভিমানের পর্ব মিটিয়ে নেয় রাই। যদিও সম্প্রতি শৌর্য্য জানতে পেরেছে রাই তার চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। সেটা শুনেই ভীষণ অবাক হয়ে শৌর্য্য।
আরও পড়ুন: ৩০০ টাকা নিয়ে জীবনের লড়াই শুরু করেছিলাম! রবি ওঝা ছিলেন জামাইবাবু! আমি তো মরেও গেছি! ভুয়ো খবর থেকে জীবনের ওঠাপড়া মুখ খুললেন কমলিকা ব্যানার্জী
মুখোমুখি শৌর্য্য আর অনির্বাণ, সত্যিটা জেনে কি পদক্ষেপ নেবে রাই?
অনির্বাণের চরিত্রটি আসার পর থেকেই সকলের মনেই ছিল এক প্রশ্ন। অনির্বাণের সঙ্গে রাইকে দেখে কি করবে শৌর্য্য? অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল আজ। আজ জি বাংলার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে মিঠিঝোরার নতুন প্রোমো। যেখানে দেখা যাচ্ছে রাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বাড়িতে আসছে অনির্বাণ। সেখানে রাইকে অনির্বাণের সঙ্গে দেখে ভীষণ রেগে যায় শৌর্য্য। সে রাইকে বলে “দারুণ আছো দেখছি।” উত্তরে রাই শৌর্য্যকে বলে “খারাপ থাকলে বুঝি তোমরা বেশি খুশি হও।” তখন শৌর্য্য রাইয়ের ওপর মেজাজ করে বলে “তুমি ঠগ, তোমার বোন ঠগ। আমার তোমার সবাই ঠগ।” তখন অনির্বাণ শৌর্য্যকে থামিয়ে বলে “রাইয়ের সঙ্গে তুই এইভাবে কথা বলতে পারিস না।” অনির্বাণ এবং শৌর্য্য পূর্ব পরিচিত জেনে অবাক হয়ে যায় রাই। তখন রাইয়ের দিকে এগিয়ে এসে শৌর্য্য বলে বলে সে কিছুতেই অনির্বাণের জীবন নষ্ট হতে দেবে না। কিন্তু শৌর্য্যকে থামিয়ে দিয়ে অনির্বাণ বলে “তুই রাইকে কোন দিন চিনতেই পারিসনি।” তাহলে কি এবার দুই ভাইয়ের মধ্যে রাইকে নিয়ে শুরু হবে বিবাদ, আপনাদের কি মনে হয়?
