সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে ভূত! আসল অপরাধীকে ধরতে রাইয়ের সঙ্গে হাত মেলালো অনির্বাণ

একটি মেয়ের কাছে প্রধান দুই আশ্রয় হলো বিয়ের আগে বাপের বাড়ি আর বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি। বর্তমানে বিনা কারণে এই দুই জায়গা থেকেই ব্রাত্য জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠিঝোড়া (Mithijhora) ধারাবাহিকের নায়িকা রাই। কোনো দোষ না থাকা সত্ত্বেও কলঙ্কের বোঝা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে রাইকে। আর যে আসল অপরাধী সেই নীলাঞ্জনা অর্থাৎ রাইয়ের বোন পায়ের উপর পা তুলে মজা দেখছে পুরো ঘটনাটা ঘটিয়ে।

মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২২শে জুলাই (Mithijhora Today Episode 22th July)

ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, নিজেকে নিষ্কলঙ্ক প্রমাণ করতে এদিক ওদিক বার বার ছুটে চলেছে রাই। শৌর্যর বাড়ি গিয়ে তাকেও সবটা জানিয়েছে রাই। যদিও তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। বাড়ি ফিরে শুরু হয় নন্দিতার অত্যাচার। নন্দিতা আবারো রাইকেই দোষী ভাবে, তাকে মারধর ও করে। নন্দিতা বলে, রাই তার পরিবারের বুকে একটা পাথরের মতন হয় উঠেছে। সে না থাকলে অনেক বড় একটা বোঝা হালকা হয়ে যাবে।

Bengali serial

ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, বউ মনি ও স্রোতকে বাদ দিয়ে বাড়ির প্রত্যেকে রাইকে দোষারোপ করতে থাকে। তাদের মনে হয় যা যা ঘটেছে সব কিছুর জন্য দোষী একমাত্র রাই। এই মিথ্যে অপবাদ সহ্য করতে না পেরে রাই বলে, সে খুব তাড়াতাড়ি একটা চাকরি খুঁজে এই বাড়ি থেকে চলে যাবে। তার মা এবং দাদা দুজনেই চায় রাই যেনো এই বাড়িতে কোনমতেই আর না থাকে। রাই এটা ভেবেই ভীষণ অসহায় বোধ করে যে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কেউ তার পাশে নেই। তাই রাইয়ের লড়াইটা আরো দশ গুণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্রোত অনির্বাণকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, সে তার দিদি ভাইকে জন্ম থেকে দেখেছে। সে তার দিদি ভাইয়ের আঙুল ধরে চলতে শিখেছে। তার দিদি ভাইয়ের পক্ষে এত জঘন্য কাজ করা সম্ভবই নয়। এর পেছনে অন্য কেউ রয়েছে আর অনির্বাণের উচিত রাইকে একা করে না দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে এই মিথ্যেটাকে মুছে ফেলা উচিত। কিন্তু অনির্বাণ কিছুই বুঝতে চায় না। সে চলে যেতে বলে স্রোতকে। যাওয়ার আগে স্রোত বলে, একদিন নিজের কৃতকর্মের জন্য নিজের কাছেই ছোট হয়ে যাবে অনি দা।

আরও পড়ুন: দায়িত্বজ্ঞানহীন রাই! নীলুর অপরাধের বোঝা চাপলো শৌর্য্যের কাঁধে! ‘মিঠিঝোরার’ নায়িকার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন দর্শকরা

তবে কি নিজের ভুল বুঝতে পারলো অনির্বাণ?

অনির্বাণ কাজ করতে করতে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েছে। আর সেখানেই সে স্বপ্ন দেখে রাই তাকে এসে বলছে আরো একবার সে যেন ভেবে দেখে গোটা বিষয় টা। এভাবে পালিয়ে যেন না যায়। ঘুম থেকে উঠে অনির্বাণ বুঝতে পারে সে মনে মনে চায় রাইকে সাহায্য করতে কিন্তু রাগের বয়সের সে বারবার ভুল করে বসছে রাইয়ের প্রতি। এরপর অনির্বাণ সিদ্ধান্ত নেয় রাইয়ের সঙ্গে কথা বলে এই মিথ্যের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে দেবে সে নিজেই।

অনির্বাণের এই কথাগুলো একেবারেই পছন্দ হয় না সোহিনীর অর্থাৎ অনির্বাণের মায়ের, সে বারবার তাকে আটকাতে চায়। এদিকে শৌর্য মনে মনে ঠিক করে ফেলে, যে বা যারা রাইয়ের এই সর্বনাশ করেছে তাদের সে খুঁজে বার করবেই। শেষমেষ কি শৌর্য্যকি ধরতে পারবে আসল অপরাধীকে!দেখতে হলে আজকের এপিসোডে দেখতে হবে।