এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়াল গুলি প্রতিযোগিতার লড়াই এটিকে থাকার জন্য গল্পে নানা ধরনের বিষয় নিয়ে আসছে একের পর এক। এমনকি এও দেখা গেছে যে টিআরপি বাড়াতে গল্প একেবারে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে মানুষদের আকর্ষণ বাড়ে তার প্রতি। এমন উদাহরণ রয়েছে প্রচুর যেখানে নারীর ক্ষমতায়ন দেখিয়ে প্রথমে সিরিয়াল শুরু হলেও পরবর্তীকালে তাতে ঢুকে পড়ে পরকীয়া। আর তার জেরে গল্প পুরোপুরি পাল্টে যায় কারণ তখন নায়িকা সংসার ধরে রাখতে চায়।
ফলে তখন নায়িকার কাছে তার কেরিয়ার বা পড়াশোনার থেকেও বেশি জরুরী হয়ে ওঠে সংসার এবং স্বামী। এই ধরনের উদাহরণের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বিয়ে বা সম্পর্ক। একজনকে বিয়ে করার পরেও বা একজনের সঙ্গে প্রেম করার পরেও নতুন করে কারো সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এটা সিরিয়ালের জগতে নতুন বিষয় নয়।
আর এই ধরনের বিষয় নিয়ে দুটি ধারাবাহিক এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যা হল ধুলোকনা এবং গুড্ডি। দুই সিরিয়ালের ক্ষেত্রেই নায়ক অর্থাৎ লালন এবং অনুজকে দেখানো হয়েছে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে। প্রথমে একজনকে ভালোবাসো পরে আবার অন্য একজনকে ভালোবেসে ফেলে। কিংবা প্রথমে যাকে ভালোবাসে তার সঙ্গে বিয়ে না হয় অন্য কারোর সাথে বিয়ে হওয়ার পর আবার প্রথম জনের প্রতি ভালোবাসা তীব্র হয়ে ওঠে।
লালনের ক্ষেত্রে একই ধারাবাহিকে তিনবার বিয়ে দেখানো হলো। প্রথম-প্রথম গুড্ডি ধারাবাহিকের গল্প ত্রিকোণ প্রেমের খাতে গড়ালেও, এখন তাতে ‘পরকীয়া’ দেখানো হচ্ছে পুরোদমে। তার উপরে ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের কিছু দৃশ্য শা’রী’রিক সম্পর্কের দৃশ্য দেখানো হয়ে গেছে নায়ক-নায়িকার মধ্যে। গুড্ডিকে ডিভোর্স দিয়ে শিরিনকে বিয়ে করে শিরিনকে আর ভালো লাগছে না অনুজের। এমনকি তাকে অনুরোধ করেছে, একটা রাত তার সাথে কাটানোর।
এদিকে, ধুলোকনা সিরিয়ালে তো বিয়ে করে চলেছে এমন কি লিপস্টিক বিয়ের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে এই সিরিয়াল বাংলার সেরা সিরিয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়গুলোকে অতিরঞ্জিত করে দেখানোর ফলে দর্শকরা খুব রেগে গেছে এবং তাদের মনে হচ্ছে এর ফলে সমাজের উপর নানাভাবে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। অনেকেই এই দুই চরিত্রকে একেবারেই চরিত্রহীন বলছে।