বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে যে কটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো স্টার জলসার ‘গাঁটছড়া’। যে ধারাবাহিক এতদিন দর্শকরা দেখে এসেছে ঋদ্ধি এবং ঘড়ির একটু মিষ্টি মধুর সম্পর্ক সেই ধারাবাহিকেই এখন তারা দুজন আলাদা হয়ে গেছে। যা সিংহরায় পরিবারের সাথে সাথে দর্শকরাও মেনে নিতে পারছে না।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে যে ঋদ্ধি এবং খড়ির ওপর গুন্ডারা আক্রমণ করেছে যার জন্য তারা আলাদা হয়ে গেছে তারপরেই জানা গেছে যে খড়ি আর বেঁচে নেই। তারপরেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে এক বছরের লিভ। কিন্তু এই এক বছরের মধ্যে ঋদ্ধিসহ প্রত্যেকেই নিজেদেরকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা তো করেছে কিন্তু খড়ির চলে যাওয়াটা সামলে উঠতে পারেনি।
গতকালের পর্বে দর্শকরা এই প্রত্যেকটি চরিত্রেরই খড়িকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা অভিনয়ের ফুটিয়ে তুলতে দেখেছে। যা নিয়ে রীতিমতো প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে দর্শকরা। তবে এদের মধ্যে যাদেরকে নিয়ে দর্শকরা সবচেয়ে বেশি কথা বলেছে তারা হলো ঋদ্ধি, বনি, এবং খড়ির মা চন্দ্রা দেবী। তাদের অভিনয় দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত দর্শক।
তাই নিয়ে এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছে,”অভিনয় গুলো কি দুর্দান্ত ছিল কালকের গাঁটছড়াতে ।
একদিকে ঋদ্ধি পুরো কষ্টে ভেঙে পড়েছে, ওকে সামলানো যাচ্ছে না ঠিক করে নিজের খেয়াল রাখছে না, এই এক বছর ধরে ও একটুও শান্ত হতে পারেনি, সবসময় খড়ির presence feel করছে
আর অন্যদিকে বনি না কেঁদে বাইরে থেকে শক্ত থাকার চেষ্টা করছে, কিন্তু ভিতরে ভিতরে কষ্টে বুক টা ফেটে যাচ্ছে। তাই ও প্রতিজ্ঞা করেছে মেজদির খুনি কে শাস্তি দেওয়ার আগে পর্যন্ত ওর life এ কোনো half day, ছুটি বা বিশ্রাম নেই।
আর একজনের কথা না বলে থাকা যাবে না সেটা হলো চন্দ্রা দেবী
মা বেঁচে থাকা অবস্থায় মেয়ে অকালে চলে গেল ঠিক কতটা কষ্ট হয় সেটা বোঝা যাচ্ছে।
দাদু ঠাম্মি আর মঞ্জীরা দেবীর ক্ষেত্রে dialogue গুলো আর একটু emotional দিলে ওখানেও emotion টা feel করা যেত, সে যাই হোক সেটা director, writer দের ব্যাপার।
তবে কাল প্রত্যেকের অভিনয় নিয়ে কথা বলার ভাষা নেই। যারা গাঁটছড়া কে copy বলে বেড়াচ্ছে তারা একবার episode গুলোর quality দেখে যাক তারপর অন্য কথা বলবে, এখানে জা দেখিয়েছে পুরোটাই real, দু পয়সার পাহাড়ের background use করে নয় ।”