পর্দায় এবার বিদিপ্তা, সুদীপ্তার বোন বিদিশা! ১৪ বছর পর ফের ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরলেন তিনি! কেন এতদিন করেননি অভিনয়? অকপট অভিনেত্রী

নিজের ভালোলাগার কাজ ছেড়ে নতুন জীবন শুরু করার জন্য সাহস লাগে বটেই। আবার ১৪ বছর পর ফিরে এসে সেই জায়গাতে কাজ করে পায়ের তলার জমি শক্ত করা বেশ কঠিন। বিদিশা চক্রবর্তীকে (Bidisha Chakraborty) এখন দেখা যাচ্ছে অষ্টমী ধারাবাহিকে। বিদিশা চক্রবর্তী কথায়,”ভীষণ ভালো আছি কারণ অভিনয়‌ আর নাচ সমান তালে করেছি। আমি খবর পড়েছি, এঙ্কারিং করেছি, আমি লিখতাম কলামনিস্ট, অনেকগুলো কাজ একসাথে করেছি। কিন্তু এবার যখন ফিরে এসেছি, ভাবি নি যে থেকে যাব। আমার মেয়ের আবদার এই আমার থেকে যাওয়া। কলকাতার মানুষদের প্রতি একটা আলাদা আবেগ কাজ করে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে যে কাজ করতে করতে আমি ছেড়ে গিয়েছি, এত বছর পর ফিরে এসে আবার সেই কাজ দিয়েই শুরু করেছি।”

বিদেশা চক্রবর্তী (Bidisha Chakraborty) জানান, “২০০৫ সালে আমি দেবাংশু সেনগুপ্তর ‘বহ্নিশিখা’ ধারাবাহিকের কাজ করছিলাম। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছিলাম ওই ধারাবাহিকে। যখন চলে গেছিলাম দেবাংশ সেনগুপ্তকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল খানিকটা। তারপর ২০১৯ এ ফিরে এসে আবার ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ দিয়ে শুরু করলাম।”

এত ভালো ক্যারিয়ার ছেড়ে যেতে পিছুপা হননি অভিনেত্রী (Bidisha Chakraborty)। তিনি বলছেন, ‌ “আমি ছোট থেকেই এডভেঞ্চারাস। একটা কাজ, একটা বাঁধাগতে আমি কখনো থাকিনি। ১৯৮৫ তে সেই সময় ধারাবাহিকে প্রথম ক্যামেরার সামনে আসি। এটা বলাটা দৃষ্টতা, তবে আমি আমার বাবা, বোনদের থেকে সবার আগে ক্যামেরায় অভিনয় করি। বেণু কাকুর কোলে কোলে আমি অভিনয় করেছি। এক আকাশের নীচে ধারাবাহিককে অপুদার দ্বিতীয় নায়িকার অভিনয় করছিলাম। সে সময় আমাকে একজন বলেছিল এই একজনই আছে যে রবি ওঝার এক আকাশের নিচে ছেড়ে যেতে পারে নাচ করব বলে শুধুমাত্র। লেখালেখিও করেছি আনন্দবাজার সানন্দায়। তারপর হঠাৎই ২০০৫ সালে প্রেমে পড়লাম। ১৬ই নভেম্বর প্রেমে পড়েছি, ১৬ ই ফেব্রুয়ারি আমরা বিয়ে করেছিলাম, তিন মাসের মধ্যে। আমার জীবনটাই পুরো এডভেঞ্চার। তারপর মুম্বাইতে বিয়ে করে চলে যাওয়ার পর ওখানে নাচ শেখাতে থাকি। তারপর সবার নাচ এতো ভালো লেগে যায় একটা ইনস্টিটিউট খুলি। সেখানে আবার আমার চারটে ব্রাঞ্চ হয়ে গেল একশ কুড়িটার মতো স্টুডেন্ট। আমি প্রায় আট মাসের প্রেগনেন্ট সেখানে আমি কনসার্ট করাচ্ছি। তারপর যখন জানতে পারি বাবার এত বড় অসুখ আর তিন চার বছর আমি কলকাতা চলে আসি। আমার আসার ৩৪ দিনের মাথাতেই বাবা মারা যায়। “

‘বাবা বারবার জিজ্ঞেস করতেন যে মেয়েকে বাংলা শেখাব কিনা’ বিদিশা । তাই বাবার কথা মাথায় রেখে অভিনেত্রী নিজের মেয়েকে পাঠভবনে ভর্তি করিয়েছেন। অভিনেত্রী বলেন, “মুম্বাই থেকে এসে কলকাতাতেও আমি নাচ শেখাচ্ছি। অভিনয়ও করতে পারছি মুম্বাইতে শুধুমাত্র নাচ করতাম।” তবে কেন এখন সাক্ষাৎকারে দেখা যায় না তাকে। তিনি বলছেন, “নতুন জেনারেশনের সাংবাদিকরা আমাকে চেনেন না। আমি এড়িয়ে থাকি তা নয়।”

নিজেদের পরিবার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদিপ্তা সুদীপ্তার বোন বিদিশা (Bidisha Chakraborty) বলছেন, “সম্পর্ক কখনো পাল্টায় না যদি না আমি চাই। এখনো আমার স্কুল-কলেজের সব বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। আমি নিজেকে স্টার তকমা কখনোই দিইনি।”

আরও পড়ুন: জমে ক্ষীর রাই-অনির্বানের সম্পর্কের সমীকরণ! রাইয়ের নামে মিথ্যে বরদাস্ত করলো না অনির্বাণ! ডোরাকে দিল উচিত শিক্ষা

তবে বিদিপ্তা সুদীপ্তাকে সকলে চেনে, চেনেন না বিদিশাকে (Bidisha Chakraborty)। এ নিয়ে কি কোনো ক্ষোভ রয়েছে বিদিশার মনে এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “আমি খুব লজিক্যাল, আমি জানি কেন মানুষ আমাকে চেনে না। এটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। যারা চিনতেন তারা আমাকে সেরাম ভাবেই একসেপ্ট করেছেন। আমি ফেসবুকে প্রচুর নাচের ভিডিও রিলস আপলোড করি নিজে নাচ করি সেটা দেখানোর জন্য নয় আমার স্টুডেন্টের নাচতে পারছে ভালো সেটা দেখানোর জন্য বাবা মায়েরা খুশি হচ্ছে।” জি বাংলা অষ্টমী ধারাবাহি কে বিদিশা‌ চক্রবর্তীকে দেখা যায় নেগেটিভ চরিত্রে।