“মা হতে চেষ্টা করুন…কমলিনী অপরাধী ছেলের সংসার টানলো কুড়ি বছর, তখন খারাপ লাগেনি?” “ছেলের বন্ধুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসার চালিয়েছেন, গয়না গড়েছেন সেটা পাপ না, বৌমা বিয়ে করলেই পাপ!”— ‘চিরসখা’য় স্বতন্ত্র-কমলিনীর বিয়ে না মানায়, দর্শকের রোষের মুখে খলনায়িকা শাশুড়ি!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’য় (Chiroshokha) চলছে চরম নাটকীয়তা। কিছুদিন আগেই গল্পে নতুন মোড় এনেছিল পার্বতী। জোর করে স্বতন্ত্রের স্ত্রী সেজে সে যখন ঘরে আসে, তখন থেকেই শুরু হয় নানা জটিলতা আর বিতর্ক। সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যায়, কমলিনী টিউমারের অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে মৃ’ত্যুর মুখে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সংকটময় মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছিলেন নতুন ঠাকুরপো অর্থাৎ স্বতন্ত্র। কমলিনীকে দেওয়া সম্পত্তি আবার ফিরিয়ে নেওয়ার ভান করে স্বতন্ত্র, কমলিনীকে দিয়ে রেজিস্ট্রির কাগজে সই করায়।

কিন্তু এই প্রতারণার সত্যিটা কেউ জানত না, সবাই ভাবছিল যে এই জমি কমলিনীর কাছ থেকে নিয়ে স্বতন্ত্র পার্বতীকে দেবে। কমলিনীর পরিবারের সবাই ভুল বুঝে স্বতন্ত্রকেই অভিযুক্ত করতে থাকে, তার মাথায় চাপিয়ে দেয় বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার কলঙ্ক। একে একে সব অভিযোগ, কটাক্ষ, আর তিরস্কারের ভারে ভেঙে পড়ে স্বতন্ত্র। মানসিক আর শারীরিকভাবে সে যেন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়, শুনতে শুনতে যে কমলিনীর এই করুণ অবস্থার একমাত্র কারণ নাকি সে-ই। কিন্তু কাউকে সে কিছুই জানতে দেয় না।

কমলিনী একটু সুস্থ হতেই, স্বতন্ত্র ঘোষণা করে পার্বতীর সঙ্গে তার বিয়ে। সেই উপলক্ষে সে সবাইকে নিমন্ত্রন করে, এমনকি কমলিনীকে নতুন শাড়িও কিনে দেয়। গতকালের পর্বে দেখানো হয়, সবাই বিয়ের দিন উপস্থিত হলেও পার্বতীকে না দেখতে পেয়ে অবাক হয়ে। এরপর স্বতন্ত্র জানায়, পার্বতী তাকে জানিয়েই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে সে স্বতন্ত্রের স্ত্রী সেজে থাকতে চেয়েছিল। সবাই বুঝতে পারে না, তাহলে পাত্রী ছাড়া বিয়ে কি করে হবে! তখন, স্বতন্ত্র ঘোষণা করে যে তাঁর বিয়ে আগেই হয়ে গেছে কমলিনীর সঙ্গে!

সবাই এক মুহূর্তেই জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়, তারপর স্বতন্ত্র বুঝিয়ে বলে যে সম্পত্তির কাগজটাই রেজিস্ট্রি ম্যারেজের কাগজ ছিল, যেটা না দেখেই কমলিনী সই করে দিয়েছে। কিন্তু এক সময়ের নিজের ছেলের বউ, নতুন করে সংসার পেতেছে— এই জিনিষটা কিছুতেই যেন মানতে পারছেন না চন্দ্রের মা! তাঁকে কমলিনী যখন জিজ্ঞেস করে যে, সে কি স্বতন্ত্রর সঙ্গে কমলিনীর বিয়েতে খুশি নয়? তিনি উত্তর দেন, “এক সময় যে ছেলের বউ ছিল, বুড়ো বয়সে তাকেই ছেলের বন্ধুর বউ দেখতে মোটেই ভালো লাগছে না।”

সমাজ মাধ্যমে কার্যত এই নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। কমলিনীর শ্বাশুড়িকে উদ্দেশ্য করে কেউ বলছেন, “ঠিক তো নিজের ছেলের বিয়ে দেখতে সমস্যা নেই, বৌমার বিয়ের একটি সমস্যা হয়। ছেলের বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ঠিক নেওয়া যায়!” একজন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “কমলিনী আপনার অপরাধী ছেলের সংসার টানলো দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে, তখন খারাপ লাগেনি ? অহেতুক বৈধব্য পালন করা খারাপ লাগেনি ?

আরও পড়ুনঃ ড্রামকিট নিয়ে তীব্র ভুল বোঝাবুঝি সোশ্যাল মিডিয়ায় জোজো–পৌষালীর! শুরু দারুণ তরজা, শান্তির বার্তা শিলাজিৎ–সিধুর

এখন অন্তত সম্মানের জীবন পাবে একটা, কমলিনীর সুখ দেখে এত খারাপ লাগছে? মা হবার চেষ্টা করুন একটু, তাহলেই ভাল লাগবে। যখন তোমার ছেলে বৈধ বৌয়ের সামনে আরও এক নতুন বৌ আনলো, তখন কমলিনীর খুব ভাল লেগেছিল তাই না ! সাথে আবার নাতনীও তো ছিল!” অন্যজনের কথায়, “এই ধারাবাহিকটা এখানেই শেষ করে দেওয়া উচিত। ছিঃ, সমাজটাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও নষ্ট করে দিলে! তাই সন্মানজনক জায়গায় শেষ করলেই ভালো হয়।”