ড্রামকিট নিয়ে তীব্র ভুল বোঝাবুঝি সোশ্যাল মিডিয়ায় জোজো–পৌষালীর! শুরু দারুণ তরজা, শান্তির বার্তা শিলাজিৎ–সিধুর

জোজো মুখোপাধ্যায় ও পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চ-তরজা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার তুফান! অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ড্রামকিট সরানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জেরে দুই জনপ্রিয় শিল্পীর তর্ক ঠেকেই সামাজিক মাধ্যমে পৌঁছেছে। কে ঠিক, কে ভুল— তা নিয়ে ভক্তরা ইতিমধ্যেই বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ঘটনাটির নেপথ্যে কি শুধুই এক মুহূর্তের রাগ? নাকি সংগীতজগতের চিরাচরিত বাস্তবতাই সামনে এল আরও একবার?

এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় গায়ক শিলাজিৎ মজুমদার। তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি বলেন, মঞ্চে এমন নানা টেকনিক্যাল সমস্যা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কোনও এক অনুষ্ঠানে তাঁর ব্যান্ডের গিটারে সমস্যা হতেই পাশের ব্যান্ডের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। অনেকে সাহায্য করেন, আবার অনেকেই করেন না— এই গল্প মঞ্চজীবনে নতুন নয়। শিলাজিৎ মনে করেন, “জোজো ও পৌষালীর মধ্যে হয়তো ভুল বোঝাবুঝিই হয়েছে। জায়গা ছোট থাকলে ড্রামকিট সরানো নিয়ে সমস্যা তো হবেই! দুইজনেই প্রতিষ্ঠিত ও পরিশ্রমী শিল্পী, তাই ওরা ঠিক সামলে নেবে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলা কি ঠিক? এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, রাগ আবেগ থেকেই আসে। নেতারা হলে হয়তো অন্য লেভেলের প্রতিক্রিয়া আসত— “বোম ছুড়ত!”, বলে মজা করেন শিলাজিৎ। কিন্তু শিল্পীরা আবেগই প্রকাশ করেন। তাই বড়বোন-ছোটবোনের তর্ক হিসেবে দেখাই শ্রেয় বলে তাঁর মন্তব্য।

অন্যদিকে সিধু মনে করিয়ে দেন মঞ্চের বাস্তব নিয়ম— ‘ড্রামকিট’ সরানোর বিষয়টি অলিখিত হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাউন্ডচেকের পর ড্রাম সরানো মানেই পুরো সেটআপ নষ্ট। তাঁর ব্যান্ড ‘লক্ষ্মীছাড়া’র ড্রামার গাবু বাঁ-হাতি হওয়ায় আলাদা ড্রাম লাগেই, তাই একই মঞ্চে একাধিক ড্রাম রাখাটা খুবই স্বাভাবিক। অপরিচিত শিল্পীদের ক্ষেত্রেও এই বেসিক সম্মানটুকু থাকা উচিত— এমনটাই মত তাঁর।

আরও পড়ুনঃ পর্দার রোমান্স ছাপিয়ে বাস্তবেও কি জমে উঠেছে অভিনেতা-অভিনেত্রীর সম্পর্ক! ‘বিরক্ত করতে প্রপোজ করলে হাত হয়ত থামবে না’- জানালেন অঙ্কিতা মল্লিক! উত্তরে কি জানালেন অভিনেতা সৌম্যদীপ? পর্দার বাইরেও কি বিশেষ সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন তারা?

লোপামুদ্রা মিত্র অবশ্য শান্তির বার্তা দিলেন। দুই শিল্পীই তাঁর অত্যন্ত প্রিয়— তাই কে ঠিক কে ভুল, সে বিতর্কে তিনি যেতে চান না। তাঁর একটাই আশা— “জীবন মানেই মানিয়ে নেওয়া। নিশ্চয়ই সব ঠিক হয়ে যাবে।” সামাজিক মাধ্যমে ঝড় উঠলেও শিল্পীদের মাঝে যেন আবার ফিরে আসে সুরের সেতুবন্ধ— এই কামনাই এখন সকলের।