“মানুষ তো গ্রামে যেতে ভয় পাবে!” “লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়ালে গ্রামে গেলেই জোর করে বিয়ে হয়!” “স্বতন্ত্রের জন্য কত মেয়ে বিয়ে ছাড়া বুড়ি হয়ে গেল!”— চিরসখা’র নতুন মোড় নিয়ে লেখিকাকে কটাক্ষ নেটিজেনদের! ধারাবাহিকের প্লটে আবারও গ্রামীণ জোর করে বিয়ের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ !

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গিয়েছে এক নতুন মোড়, যেখানে স্বতন্ত্রর শৈশবের খেলার সঙ্গী পার্বতীর সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গ সামনে আসে। স্বতন্ত্র শুরু থেকেই জানিয়েছে তার একমাত্র ভালোবাসা কমলিনী, তাই অন্য কাউকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। কিন্তু গ্রামের মানুষ ও পুরোহিতের অনুরোধ, সঙ্গে স্বতন্ত্রর মায়ের দেওয়া পুরনো প্রতিশ্রুতি মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার নেয়।

দর্শকদের অনেকেই মনে করছেন, এই প্লট যেন অকারণে আবারও পুরনো ধাঁচে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পার্বতীর চরিত্রে দেখানো হয়েছে, ছোটবেলা থেকেই তার মনে স্বতন্ত্রকে ঘিরে আলাদা জায়গা তৈরি হয়েছে। তাই বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় সে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এমনকি রাগের মাথায় নিজেই ঘোষণা করে যে সে আর স্বতন্ত্রকে বিয়ে করতে চায় না। দর্শকের একাংশ মনে করছেন, এখানে জোর করে সম্পর্ক চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখানো হয়েছে, যা অস্বস্তিকর।

“ছোটবেলায় একসঙ্গে খেললেই কি বড় হয়ে বিয়ে করতে হবে?”—এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। গ্রামে এই ধরনের জোর করে বিয়ে দেওয়া নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ নতুন নয়। এর আগেও লীনা গাঙ্গুলীর একাধিক ধারাবাহিকে একই দৃশ্য উঠে এসেছে। ‘কুসুমদোলা’ থেকে শুরু করে ‘রোশনাই’—প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নায়ক বা নায়িকাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইছে পরিবার বা সমাজ। সমালোচকদের মতে, বারবার একই ছাঁচের ব্যবহার দর্শকদের কাছে বিরক্তির জায়গা হয়ে উঠছে।

সামাজ মাধ্যমে দর্শকরা কটাক্ষ করে লিখছেন, “লীনা গাঙ্গুলীর ধারাবাহিকে গ্রামে গেলেই জোর করে বিয়ে হয়। এবার তো সত্যিই মানুষ গ্রামে যেতে ভয় পাবে।” কেউ কেউ আরও কটাক্ষ করে বলছেন, “এই স্বতন্ত্রকে ভালোবেসে এত মেয়েকে অবিবাহিত দেখানো হয়েছে, অথচ যাকে এতদিন পাশে পেয়েছে সেই কমলিনীর সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গেই টালবাহানা।” দর্শকদের এই আক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে, ধারাবাহিকের গল্পে নতুনত্বের অভাব নিয়ে অসন্তুষ্টি দিন দিন বাড়ছে।

আরও পড়ুনঃ “আমাকে তো কেউ কাজে দেয় না, বাংলায় আমায় ডাকে না কেউ!” টলিউড নিয়ে আক্ষেপ সীমা বিশ্বাসের!ঋত্বিক-মৃণাল-সত্যজিতের যুগের অভিনেত্রী জাতীয় পুরস্কারজয়ী হয়েও, আজ বাংলায় বঞ্চিত!

সব মিলিয়ে চিরসখার এই নতুন ট্র্যাক দর্শককে একদিকে অবাক করছে, অন্যদিকে বিরক্তও করছে, এমনকি ধারাবাহিক বন্ধ করার দাবিও উঠছে মাঝে মাঝে। একদল বলছেন, নাটকীয় মোড় না আনলে ধারাবাহিক এগোবে না, আবার অন্য অংশের দাবি, পুরনো ফর্মুলা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানোতে আর আকর্ষণ খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে এখন দেখার বিষয়, লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী কীভাবে এই বিতর্ক সামলে গল্পকে নতুন মোড় দেন।

You cannot copy content of this page