এই মুহূর্তে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালে যে টানটান উত্তেজনার পর্ব চলছে সেখানে একদিকে সোনার রুপার জীবন রয়েছে আর অন্যদিকে রয়েছে সূর্য এবং দীপার মধ্যেকার দূরত্ব। বাবা-মায়ের মধ্যেকার বিচ্ছেদ এবং লড়াইয়ের কারণে দুই সন্তানের উপর যে কী প্রভাব পড়ছে সেই বাস্তব চিত্রটা এখানে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠছে।
গল্পে দেখা যায় মিশকা সূর্যের মাথায় ঢুকিয়েছে যে সে তার সন্তানদের থেকে দূরে থাকতে পারবে না কারণ দীপার কোনও রোজগার নেই। তাই সূর্য চাইলে আইনি পথে তার সন্তানদের উপর অধিকারের দাবি করতে পারে। সূর্য উস্কে যায় এবং সে আইনের পথে যায় নিজের সন্তানদের ফিরে পেতে। দীপাকে সে কাগজ ধরায় এবং দীপা পাল্টা আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয়। দীপার উকিল তাকে পরিষ্কার বলে দেয় যে তার মাসিক আয় নেই তাই এটাই তার কেসের সব থেকে বড় দুর্বলতা হতে পারে। তখন দীপা ঠিক করে যেভাবেই হোক সে এই কেস লড়ার টাকা যোগাবে এবং এই কয়েক মাসের মধ্যেই চাকরি যোগাড় করতে হবে তাকে।।
আজকের পর্বে দেখা যায় সোনা এবং রুপার স্কুলে পারিবারিক পিকনিকের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে তাদের কাছে মা আছে কিন্তু বাবা নেই তাই এবার তারা নিজেরাই বাবার সঙ্গে কথা বলতে ছুটল। এমন সময় সেখানে আসে উর্মি এবং অর্জুন। তারা জানতে পারে যে সোনা রুপা তাদের বাবার কাছে যাচ্ছিল। তখন সঙ্গে সঙ্গে তারা দুই মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
বাড়িতে আসার পর দিবা তাদের মুখ দেখে বুঝে যায় কিছু হয়েছে এবং প্রশ্ন করতেই দেখে তারা চুপ করে রয়েছে। শেষমেষ উর্মি বলতে বাধ্য হয়েছে তাদের স্কুলে ফ্যামিলি ফেস্ট আয়োজন করা হচ্ছে। এরপরেই হঠাৎ করে সোনা দীপাকে বলে ব্রোকেন ফ্যামিলি মানে কী? এবং তারপর সে বলে বসে তাদের পরিবারটাও কি ব্রোকেন ফ্যামিলি?
মেয়েদের কান্না দেখে আর চুপ করে থাকতে পারে না দীপা। সে বলে না তাদের পরিবার এক। এই দৃশ্য দেখে অর্জুন মনে মনে ভেঙ্গে পড়ে। তবে সে দীপাকে একটা চিঠি দিয়ে চলে যায় সেখান থেকে। ওদিকে দীপা নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবার সেনগুপ্ত পরিবারে যায়, সূর্যর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে যেতেই লাবণ্য এবং তিস্তা তাকে আটকাতে চায়। তবে উত্তেজিত দীপা তার সহ্যের সীমা হারিয়ে ফেলেছে। তাই এবার সে নিজে ডাক্তারবাবুর কাছে উত্তর চাইবে যে কেন তার বাচ্চা মেয়েদেরকে পরিবারের মানে বুঝে ওঠার আগেই শুনতে হলো ব্রোকেন ফ্যামিলির কথা? কেন তাকে নিজের পরিবার থেকে দূরে সরতে হবে? লাবণ্য তাকে আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু দীপা কোনও বাধা মানে না। এরপরেই লাবণ্য প্রবীরকে বলে তার বড় বৌমাকে থামাতে কারণ সূর্য এখন নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আছে। তাই তাদের মধ্যে কোনও ভালো আলোচনা হবে না বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। উপর থেকে মিশকা সবকিছু দেখে এবং মনে মনে দীপাকে বলে যাও দেখা করতে। এরপর তুমি যে দৃশ্যটা দেখবে সেটা কোনওদিন ভুলতে পারবে না।
