সেনগুপ্ত বাড়িতে ঢুকে তাদেরই মর্জি মত চলতে হচ্ছে মিশকাকে! এই প্রথম দীপা আর মিশকাকে নিয়ে হাসির পর্ব! আজকের টুইস্ট এটাই
প্রায় দশ মাসের বেশি সময় হয়ে গেল বেশ রমরমিয়ে চলছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। শুধু টিআরপিতে সে সেরা জায়গা ধরে রেখেছে তা নয় বরঞ্চ পুরনো সিরিয়াল হলেও জনপ্রিয়তার নিরিখে এখন পর্যন্ত স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল সেটা বলাই যায় এক কথায়। প্রায় প্রতি সপ্তাহে এর টিআরপি ফলাফল সবাই বুঝে যায় আগেই যে কী হবে।
সেনগুপ্ত বাড়িতে মিশকা
সূর্যর স্পার্ম নিয়ে মা হতে চলেছে মিশকা। আর তাই দিপা চাইলেও তাকে কঠোর শাস্তি দিতে পারছে না। ওদিকে লাবণ্যও এখন তার প্রতি নরম হয়েছে এবং তাকে বাড়িতে জায়গা দিয়েছে। আর এবার এর সুযোগ নিতে চাইছে মিশকা। কারণ এবার যে কোন মূল্যে সূর্যকে তার চাই।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব
সিরিয়ালের আজকের পর্বে বেশ নানা ধরনের চমক রয়েছে। এই প্রথম হয়তো সিরিয়ালে দীপা আর মিশকা আর বাড়ির অন্যান্য মহিলা সদস্যদেরকে নিয়ে হাসির অংশ নিয়ে। আসলে মিশকা সেনগুপ্ত বাড়িতে তো ঢুকে পড়েছে কিন্তু এবারে মুশকিল হলো তার শরীরের যত্ন নিতেই এবার তাকে বাধ্য করা হচ্ছে সেনগুপ্ত বাড়ির কথা শুনে চলতে। আজকে শুরুতেই দেখা যাবে যে মিশকা নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে সূর্যর সঙ্গে দেখা করতে গেছে।দীপা তাকে আটকায় আর বলে তার জন্য গাইনোকলজিস্ট আছে সে এই অবস্থায় কার্ডিওলজিস্ট নিয়ে কী করবে? সূর্য পেশায় কার্ডিওলজিস্ট। বোমকে যায় মিশকা। দেখা যায় জয় সত্যি সত্যিই গাইনোকলজিস্ট ধরে এনেছে যে এবার থেকে তার দেখাশোনা করবে।
এর পরে দেখা যায় মিশকাকে ঘরে জলখাবার পৌঁছে দেওয়া হয় কিন্তু সে সেগুলো খায় না। তখন দীপা জয় উর্মি কাকিয়া সবাই মিলে তাকে চেপে ধরে যে খেতেই হবে। দীপা দুধ নিয়ে যায়। সেটা খেতেও অস্বীকার করে মিশকা।তখন সবাই তাকে চেপে ধরে আর সে বাধ্য হয় খেতে। সবাই চলে যাওয়ার পর তার মুখের ভাবভঙ্গি দেখে দর্শকদের আজ সবার হাসি পাবে। এত মানুষের যত্ন পেয়েও সে নিজেকে পাল্টাচ্ছে না। এরপর সুযোগে অন্য মানুষকে দেখায় এবং সবাই তাকে প্রশ্ন করে কেন সে হাসছে না। সে বারবার দাবি করে মিশকাকে এই বাড়িতে রাখা ঠিক হচ্ছে না। যদিও মিশকা আবার নিচে নেমে আসে আর কারণ সে এবার নিজের কাজ শুরু করবে। কিন্তু এই অবস্থায় তাকে কেউ বাড়ির বাইরে যেতে দেবে না। মিশকা নাছোড়বান্দা যে এই লোকেদের হাত থেকে মুক্তি পেতে তাকে বাইরে বেরোতেই হবে।
ওদিকে সোনা আর রূপাকে স্কুলে নিয়ে যায় দীপা। কিন্তু সেখানে অন্যান্য ছাত্রীদের মায়েরা এসে জড়ো হয়েছে প্রিন্সিপালের কাছে এবং তারা দাবি করছে এই মেয়ে দুটো পড়তে গেলে তারা নিজেদের সন্তানদের ওই স্কুলে পাঠাবে না। এর কারণ হলো আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া এবং টিভির দৌলতে ছোট ছোট বাচ্চারাও সূর্যে কথা জেনেছে। তার সন্তানদের সঙ্গে একই স্কুলের পাশাপাশি বসে পড়াশোনা করলে তাদের মাথায় খারাপ জিনিস ঢুকতে পারে। দীপা সেখানে আসে এবং সবাইকে চুপ করিয়ে দেয়।