অনেক সহ্য করেছি ডাক্তারবাবু আজ থেকে আমার সন্তান আমার কাছেই থাকবে’! সোনাকে সূর্যের থেকে ছিনিয়ে নিল দীপা

দীপার জায়গায় সোনার মা হিসাবে সূর্য নিয়ে এল অন্যকাউকে। আর সোনাকে সূর্য বলে, তাকেই মা বলে ডাকতে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সোনা জানতে পারে সেই মা আসল নয়। আর সবাই তাকে মিথ্যে বলেছে শুনে সোনা নিজেকে বন্দি করে নেয়। কারোর কথাতেই যখন সোনা দরজা খোলে না, তখন লাবণ্য দীপাকে নিয়ে আসে সেখানে। এবার কি তবে দীপা তার সন্তানদের জন্য কঠোর হতে চলেছে? এতদিন সোনা-রূপা চেষ্টা করেছে, যাতে সূর্য-দীপার মিল হয়ে যায়। এবার গোটা সেনগুপ্ত পরিবার দীপা ও সূর্যের মিলের অপেক্ষায়।

বেশকিছুদিন ধরেই ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে চলে আসছে সেই একঘেঁয়ে পর্ব, মিল হতে গিয়েও কিছুতেই মিল হচ্ছে না সূর্য-দীপার। যা দেখে এবার খেপে উঠেছে দর্শক। তবে মিল তো দূরের কথা এবার দীপার থেকেও সোনাকে দূরে করে দিল সূর্য। যত দিন এগোচ্ছে, সূর্য – দীপার মধ্যে দূরত্ব ততই বাড়ছে। যদিও কিছু সময় রূপা-সোনার জন্য তারা এক হওয়ার দিকে এগোলেও কিছু না কিছু কারণে সূর্য পিছিয়ে যায়। আর এর জন্য দায়ী মিশকা, সূর্যের বেস্ট ফ্রেন্ড। যে প্রথমদিন থেকে সূর্যকে চেয়ে এসেছে।

এমনকি তার জন্যই সূর্য-দীপার ডিভোর্স হয়। তবে লাগাতার তাদের সেই একই জিনিস দেখে বিরক্ত প্রকাশ করছেন দর্শক! দুজনের এতো বছরের ভুল বোঝাবোঝির অবসান ঘটতে ঘটতেও যেন ঘটছে না। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই নতুন অধ্যায়ের দিকে এগোতে চলেছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। এটাও শোনা যাচ্ছে বড় লিপ নিতে পারে এই ধারাবাহিক। আর সেখানেই বড় হয়ে যাবে সোনা-রূপা। তাদের নিয়েই নতুন ভাবে পথ চলা শুরু হতে চলেছে।

যদিও অফিসিয়ালি এখনও সঠিক কিছু জানা যায়নি। রূপা-সোনা দুজনের মনেই এখন নিজের মা – বাবাকে একসাথে দেখার ইচ্ছা। রূপা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছে, সূর্যই তার বাবা, সোনা তার বোন। আর তাই তার এখন সকলের উপর অভিমান হয়েছে। তবে দর্শক এখন অপেক্ষায়, সূর্যের সত্যের মুখোমুখি হওয়ার। আশা করা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই সূর্যও সকল সত্যের মুখোমুখি হবে। সোনার কষ্ট দেখে আর দীপা চুপ থাকে না।

সূর্য যখন দীপাকে বাধা দেয়, তখন দীপা সূর্যকে ঠেলে সোনার কাছে চলে যায়। দীপা এবার নিজের সন্তানদের আর কাছ ছাড়া করতে দিতে চায় না। এদিকে সূর্যের সাথে অশান্তিতে সূর্যের বাবা অসুস্থ হয়ে পরে। অন্যদিকে দীপা করতে চলে সোনার ডিএনে টেস্ট। সূর্য ভাবে, যদি সোনা দীপার সন্তান হয়, তাহলে হয়তো কবির ওর বাবা। তবে সে সেটা বিশ্বাস করে না। এবার ডিএনএর মাধ্যমেই সকল সত্যি সামনে আসতে চলেছে।