দেবার চ্যাপ্টার সারা জীবনের মতো ক্লোজ! আঁখি কি পারবে দেবাকে বাঁচাতে? জমজমাট পর্ব দুই শালিকে

‘দুই শালিক'(Dui Shalik) স্টার জলসার একটি জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক, যা দুই যমজ বোন আঁখি এবং ঝিলিকের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত। জন্মের সময় পরিস্থিতির চাপে আলাদা হয়ে যায় এবং ভিন্ন পরিবেশে বড় হয়। ঝিলিক(Jhilik)সাহসী এবং জুডোতে পারদর্শী, অন্যদিকে আঁখি(Ankhi)শান্ত এবং ভীতু স্বভাবের। তাদের এই বিপরীতধর্মী ব্যক্তিত্ব এবং জীবনের অভিজ্ঞতা ধারাবাহিকের মূল আকর্ষণ।

ঝিলিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিতিক্ষা দাস, যিনি এর আগে ‘ইচ্ছে পুতুল’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। আঁখির ভূমিকায় রয়েছেন নন্দিনী দত্ত, যিনি ‘রামকৃষ্ণ’ ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। বর্তমানে এই সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে দেবা-আঁখি ও ঝিলিক-গৌরব এর প্রেমের সম্পর্কের সূচনা। আজকের এপিসোডটি তে দেখা যাচ্ছে ঝিলিক শশুরবাড়ি ফিরে যাবার আগে, আঁখির সাথে দেখা করতে আঁখির বাড়ি যেতে থাকে।

dui shalik today episode 13 february

এমন সময় রাস্তায় পল্টু তাকে দেখে সে সারারাত কোথায় ছিল জানতে চাইলে ঝিলিক বলে দেবার সাথে তার ঝামেলা হওয়ায় সে তার মায়ের কাছে সারা রাত ছিল এখন বাড়ি ফিরছে। পল্টু তারপর বলে, “সে কিরে দেবা তোর সাথে ঝামেলা করেছে দাঁড়া আমি ওকে দেখাচ্ছি।” এরপর দেবা কে গিয়ে ডাকলে দেবা ঘুম থেকে উঠে পড়ে কিন্তু ঘরের মধ্যে‌ আঁখিও ছিল ঝিলিকের শব্দ শুনে আঁখি ঘরেই থেকে যায়।

এরপর দেবা বাইরে বেরিয়ে আসতেই ঝিলিক বলে,”এই তুমি সবাইকে বলো, তুমি আমার সাথে কালকে ঝামেলা করেছ না?” দেবা সবটা বুঝতে পেরে বলে, “হ্যাঁ ভুল হয়ে গেছে বলে ঘরে নিয়ে যায়।” ঝিলিক কে হঠাৎ এত সকালে দেখে আঁখি জিজ্ঞেস করে সে কেন এসেছে ঝিলিক বলে সে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে যাওয়ার আগে তাদের সাথে একবার দেখা করতে এসেছে। তারপর বলে, “তোরা এভাবেই সারাজীবন একে অপরের সাথে সুখী থাক”, দিয়ে চলে যায়।

অন্যদিকে দেখা যায় জলের লাইনে গৌরব মুখে ঢাকা দিয়ে জল নিতে গেলে ঝিলিক তাকে জল নিতে দেয় না বলে “বেলইনে জল নিতে দেওয়া যাবে না”। এরপর মুখে ঢাকা সরাতে ঝিলিক বুঝতে পারে ওটা গৌরব এবং তাকে হাত ধরে সাইডে নিয়ে গিয়ে বলে, “আপনি কেন জল তুলতে এসেছেন আপনার জল তো আমি তুলেই এসেছি”। উত্তরে গৌরব বলে, “মাকে একটু সাহায্য করবো বলেই জল নিতে এসেছি”। তারপর দুজনকে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।

তাদের একসাথে বাড়ি ফিরতে দেখে প্রিয়রঞ্জন প্রকার রেগে গিয়ে বলে, “সারারাত বাড়ির বাইরে কোথায় ছিলে?” ঝিলিক তখন বলে, “কাল তো শিবরাত্রি ছিল আমরা একসাথে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলাম” এবং গৌরব বলে, “আমাদের নিয়ে তোমাকে এত চিন্তা করতে হবে না”। এরপর আবারো দেখা যায় প্রিয়রঞ্জন রীতাকে দেখতে পাচ্ছে, এবার রীতাকে বলতে শোনা যায় “আমার সন্তান এই বাড়িতে তোমার সন্তানের মতই আসবে তুমি কিছু করতে পারবে না।”

অন্যদিকে দেবা একটি লাল রঙের শাড়ি নিয়ে আঁখিকে দিয়ে বলে একদিন তুমি পুষ্প মাসিকে মিথ্যে বলেছিলে আমরা রেস্টুরেন্টে খেতে গেছি কিন্তু আজকে সেটা সত্যি হবে। তারপর দুজনে সেজেগুজে বাইকে চড়ে বেরিয়ে পড়ে এরপর ফুচকা আইসক্রিম খেতে তারা যখন দাড়ায় হঠাৎ একজনকে দেখতে পায় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বিপদে পড়েছে। দেবা গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই লোকটি বলে, ‘মাকে নিয়ে হসপিটালে কিভাবে যাব বুঝতে পারছি না গাড়িটা অসুবিধা হচ্ছে”। দেবা গাড়িটা তখন ঠিক করতে যায়।

আরও পড়ুনঃ গুরুতর অসুস্থ প্রবীণ অভিনেতা বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী! কী জানালেন ছেলে প্রসেনজিৎ ?

আঁখি দূরে দাঁড়িয়েই দেখছিল এমন সময় দেবা গাড়ি ঠিক করতে শুরু করলেই সেই লোকটি যে আদতে একটি গুন্ডা রিভলভার বের করে দেবা একটা গুলি করে দেয়। আঁখি দৌড়ে আসে। সে দেবা কে কিছু হতে দেবে না ভেবে কোন রকমে হসপিটালে নিয়ে যায়। এমন সময় ঝিলিকের ফোন আসে ঝিলিক আঁখিকে বলে, “কিরে চুটিয়ে প্রেম করছিস বল?” আঁখি তখন বলে, “না গো ঝিলিক দেবার অবস্থা ভালো না ওকে গুলি করা হয়েছে”।

গৌরব কে এই কথা জানাতেই ঝিলিক দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নেয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হসপিটালে যাবে এমন সময় ঝিলিকের শাশুড়ি নীলিমা তাদেরকে কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা যখন বলে, দেখা যায় উপর থেকে প্রিয়রঞ্জন বলছে “দেবার চ্যাপ্টার এবার সারা জীবনের মতো ক্লোজ”। এখানেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়। আদতে কি দেবার কিছু হবে? নাকি দেবা তার মায়ের বদলা নিতে এবার আবার ফিরে আসবে?