স্টার জলসার সিরিয়াল ‘দুই শালিক’ (Dui Shalik) , টিআরপি তালিকায় খুব একটা প্রভাব না ফেলতে পারলেও দর্শকদের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মূলত গল্পের অভিনবত্ব ও প্রত্যেক দিনের নতুন চমক মানুষকে এই সিরিয়াল মুখ হতে বাধ্য করেছে। যমজ বোনের গল্প ছোট বড় পর্দা মিলিয়ে বেশ অনেকবার দেখেছেন দর্শক কিন্তু এই গল্প সম্পূর্ণই ভিন্ন স্বাদের গল্পের মূল চরিত্র ‘ঝিলিক ও আঁখি’ এবং ‘দেবা ও গৌরব’ যথাক্রমে ভাই বোন। এদেরকে ঘিরেই সিরিয়ালের মূল গল্প।
এর আগের এপিসোডে দেখা গিয়েছে দেবা কে পিয়ারকের লোক গুলি করে চলে যায়। আঁখি অসহায় ভাবে অসহায় ভাবে রাস্তায় আহত দেবা কে নিয়ে গাড়ির খোঁজ করতে থাকে। আজকের এপিসোডে দেখা যাচ্ছে গাড়ির খোঁজ করতে করতে একজন অটোচালক তাদের হসপিটাল নিয়ে যেতে রাজি হয়। অন্যদিকে ঝিলিক ও গৌরব বেরিয়ে পড়ে হসপিটালে উদ্দেশ্যে। গৌরব তখন বলে, “জানোতো ঝিলিক এইটা মনে হয় কালকে ঘটনার রিভেঞ্জ! কালকে কিছু লোক দেবা কে মারতে এসেছিল আমি বাঁচিয়েছি আমার মনে হয় এর মধ্যে থেকেই কেউ এই কাজটা করেছে”।
হসপিটালে যেতে গিয়ে তারা একদিকে রাস্তায় জ্যামের সম্মুখীন হয় অন্যদিকে হসপিটালে ফরম ফিলাপ করতে আঁখি হিমশিম খায়। রাস্তায় ঝিলিক তার মাকে ফোন করে বলে দেবার গুলি লেগেছে এই কথা শুনে পুষ্প প্রচন্ড ভেঙে পড়ে এবং তার কাছে যা টাকা আছে সেই নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে ঝিলিক ও গৌরব হেঁটে হেঁটে হসপিটালে পৌঁছে দেখে তার মা-বাবা সহ কমলা মাসি ও পল্টু ও সেখানে উপস্থিত। এই দেখে ঝিলিক নার্সের পোশাক পড়ে নায়ে। অন্যদিকে চিৎকার করতে করতে কমলা বলতে থাকে,
“পিয়ারকে বরাবর চেয়েছে দেবা কে মারতে। ওই এমন করেছে ওকে আমি ছাড়বো না”। গৌরব কিছুই বুঝতে পারেনা, কেন কমলা এমন বলছে। ঝিলিক নার্স সেজে গিয়ে পল্টুকে বলে, “এটা হসপিটালে এখানে চেঁচামেচি করা যাবে না তোমার মাকে নিয়ে বাইরে যাও। এতে পল্টুর সন্দেহ হলেও অবশেষে সে তার মাকে নিয়ে বাইরে চলে যায়”। ঝিলিক মুখের মাক্সটা খুলে আঁখিকে বুঝিয়ে দেয় যে ও এসেছে এবং চলে যায়। এরপর দেখা যায় কমলা পল্টুকে ছাতা বাড়ির দরজায় দাঁড়াতে বলে ভেতরে চলে যায়।
সেখানে পিয়ারকে গাড়ি নিয়ে কোথাও বেরোনোর তোড়জোড় করছিল এমন সময় কমলা, গাড়ির দরজা সজরে বন্ধ করে পিয়ারকে কে হুমকি দিতে থাকে এই বলে, “রিতা কে তুই মেরেছিস এবার দেবাকে ও মারতে চাস দেবার যদি কিছু হয়ে যায়। তাহলে তোকে আমি আর ছেড়ে দেব না”। উত্তরে পিয়ারকে বলে, “তখন আমি ছিলাম প্রিয়-রঞ্জন এখন আমি পিয়ারকে আমার অনেক ক্ষমতা তুমি কিচ্ছু করতে পারবে না”। অন্যদিকে বাগানে ফুল তুলছিল পিয়ার কে স্ত্রী নীলিমা। সে সবটা দেখে সন্দেহ করতে থাকে।
অন্যদিকে হসপিটালে গৌরব ঝিলিক কে বারবার প্রশ্ন করতে থাকে কেন দেবা বার বার পিয়ারকের রাগের শিকার হচ্ছে। ঝিলিক কিছু বলতে চায় না কিন্তু গৌরব তাকে বলে, “তুমি আমায় মিথ্যে বলো সেটা আমি জানি, কিন্তু আজ যদি সত্যি না বলো কোনদিনই আমি আর তোমাকে বিশ্বাস করতে পারবো না”। এরপর ঝিলিক গৌরব কে বলে দেয় দেবা ও তার মায়ের সত্যি। সবটা শুনে গৌরব অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়ে এবং বলে, ‘এখানে ছিলাম না অনেক ভালো ছিলাম। যখন মাটি আলগা ছিল সবটা ঠিক ছিল। যখনই মাটির টান শক্ত হতে শুরু করল তখনই পায়ের তলার মাটি সরে গেল”।
আরও পড়ুনঃ ঘর ওয়াপসি পল্লবীর! জি’র সুপারহিট নায়িকা ফিরছেন জলসাতে! টেক্কা দেবেন রুবেলের নতুন ধারাবাহিককে?
ঝিলিক তখন বলে, “এই জন্যই আমি আপনাকে কিছু বলতে চাইনি, সত্যিটা আপনি নিতে পারবেন না আমি জানতাম। কিন্তু আপনি সবটা জানলেও দেবাকে কিছু বলবেন না কারণ দেবা নিজের লড়াই নিজে লড়তে চায়। আমার বিশ্বাস ও পারবেই”। এরপর অন্যদিকে পিয়ারকে বাড়িতে ফিরতেই নীলিমা প্রশ্ন করে কে ছিল ওই মহিলা? উত্তরে পিয়ার কে বলে, “আমাদের ফ্যাক্টারিতে কাজ করে দুমাস আসেনি অথচ মাইনে চাইছিল। আমি না করেছি তাই ঝামেলা করছিল”। নীলিমা বুঝে যায় সবটা মিথ্যে এবং অন্য মহিলার সাথে সম্পর্কের ইঙ্গিত স্পষ্ট করে দিতে থাকে পিয়ারকে কে এমন সময় পরিবারের সবাই চলে আসে। এই পর্ব এখানেই শেষ হয়।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!