স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “দুই শালিক” (Dui Shalik), যেখানে দুই যমজ বোনের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান চরিত্র ‘ঝিলিক (Nandini) ও আঁখি (Titiksha)’-যাদের স্বভাব ও জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঝিলিক স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রতিবাদী, আর আঁখি শান্ত ও সংযত স্বভাবের। ভাগ্যের পরিহাসে তারা এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, যেখানে একে অপরের জায়গায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়। পারিবারিক সম্পর্ক, প্রেম ও প্রতারণার জটিলতা নিয়ে এগিয়ে চলেছে গল্প। প্রতিটি পর্বেই নতুন মোড় দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলছে।
আজকের পর্বে শুরুতেই দেখা যাচ্ছে প্রিয়রঞ্জন বুলডোজার নিয়ে বস্তি ভাঙতে যাবে এমন সময় গৌরবের বাইকে করে দেবা সেখানে হাজির হয়। দেবা কে দেখে প্রিয়রঞ্জন হতবাক হয়ে যায়। সে জানতো দেবা মারা গেছে কিন্তু এটা কিভাবে হলো তাহলে। নিচে নেমে এসে প্রিয়রঞ্জন গৌরবকে বলে, “দেবা বেঁচে আছে? ও তো মরে গেছে”। গৌরব তখন বলে, “হ্যাঁ, দেবা তো মরেই গেছে। তুমি ওকে খুন করেছো! আর তাই আমি ওর জায়গায় বস্তি বাঁচাতে এসেছি।” প্রিয়রঞ্জন বলে, “দেবাকে তুই নিজের বাইকে করে নিয়ে আসলি, তোর পাশেই তো দাঁড়িয়ে আছে দেবা। তুই দেখতে পাচ্ছিস না?”
দেবা তখন বলে ওঠে,”তুমি ছাড়া কেউ আমাকে আর দেখতে পাবে না, কারণ আমি এখন ভূত।” আরও বলে দেবা,”এখন আমার অনেক ক্ষমতা। আমি এখন যার গায়ে হাত রাখবো সেই আমার হয়ে কথা বলবে। যাকে ছোঁবো তার মধ্যেই আমার আত্মার ঢুকে যাবে।” পিয়ারকে সবাইকে বিশ্বাস করাতে চায় যে দেবা বেঁচে আছে কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনা। তারপর গৌরব বলে, “এই বস্তির একটা ইটের গায়েও আঘাত লাগলে আমি পুরো ছাতাবাড়ি জ্বালিয়ে দেব। তুমি কখনোই আমাদের স্বীকৃতি দাওনি।সারা সমাজের কাছে আমাদের অবৈধ করে রেখেছ।”
প্রিয়রঞ্জন বুঝতে পারেনা দেবার মনের কথা গৌরব কিভাবে বলছে তাহলে কি সত্যিই দেবার ভুত ভর করেছে। দেবা বলে, “বাঁচতে চাইলে আমাকে স্বীকার করো পিয়ারকে।” এরপর গৌরব আগের দিন রাতে প্রিয়রঞ্জন এর স্বীকারোক্তির ভিডিওটা সবার সামনে দেখিয়ে দেয়। এরপর পালাতে চেষ্টা করলে, পিয়ারকে কে সবাই ঘিরে ফেলে আর আবারও তাকে স্বীকার করতে বাধ্য করে। অবশেষে সে মেনে নায়ে যে দেবা তাঁর ছেলে আর রীতা তার প্রথম স্ত্রী। দেবা তাঁর বড় ছেলে। এই ভাবেই গৌরব দেবকে তার অধিকার ফিরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ সেবন্তী কি এবার সত্যিই বদলে গেল? সব ভুলে শুভকে কাছে টেনে নিল সে, ‘গৃহপ্রবেশে’র জমজমাট পর্ব!
এরপর কোনরকমে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে প্রিয়রঞ্জন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে দেখা যায় ঝিলিক থানায় গিয়ে পিয়ারকের নামে এফআইআর করছে। ঝিলিক বলে, “হয় আপনি এফআইআর টা লিখুন নয়তো বস্তির লোকেরা নিজেই আইন হতে তুলে নেবে”। এরপর সবাই আঁখিকে বলে,”সত্যিই এই নাটকটা না করলে আমরা কখনোই দেবার অধিকার আদায় করতে পারতাম না”। আঁখি বলে, “তোমরা আমার পাশে না থাকলে এই লড়াই জেতা সম্ভব ছিলনা।” সবাই এরপর গৌরবকেও ধন্যবাদ দিতে থাকে। পুষ্প তখন বলে, “আজ থেকে তুমি এই বস্তির গৌরব, দেবার ভাই!” তারপর সবাই দুই ভাইকে কাধে তুলে উৎসব করতে থাকে। এই আনন্দের মুহূর্তেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।