‘১০ টাকায় আনলিমিটেড’ যত খুশি তত খাও! ঘুগনি খারাপ হয়েছে বলে ঘুগনিকাকুকে মারতে গেল! ভাইরাল ভিডিও
বাজারে প্রায়সময়ই জিনিসের দাম আগুন ছোয়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর তাতে রেস্টুরেন্ট, স্ট্রিট ফুডের দামও বাড়তে বাধ্য। করোনার পর আরও বেশি এই খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বাইরে খেয়েও যেন শান্তি নেই। কিন্ত তার মধ্যেও যখন আমরা কিছু অফার বা কম দামে খাবার পাই ভিড় করি সেখানে। বিশেষ করে ফুচকা যদি কোথাও বেশি দেয় তো সেখানে ভিড়টা একটু বেশি জমে।
সত্যি বলতে কি বাঙালিদের হাতের রন্ধন-নৈপুণ্য ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশ অনেকটাই আলাদা। আর তাই কলকাতা ভ্রমণকালে এখানকার কয়েকটি বিশেষ রেস্তোরাঁর বাঙালির হাতের খাবারের স্বাদ চেখে না দেখলে আপনার কলকাতা ভ্রমণটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কলকাতার অলিতে গলিতে আমরা বেশকিছু স্ট্রিট ফুডেরও সন্ধান পাই।
কলকাতার ভাইরাল ঘুগনির দোকান
তবে এই মূল্যবৃদ্ধির দিনে এখনও অনেক জায়গা থেকেই আমরা অনেক কমে খাবার পেয়ে থাকি। এরকমই সম্প্রতি কলকাতার স্ট্রিটে একটি ঘুগনির দোকান ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেটিকে দোকান বলা যায় না, রাস্তার উপর সাইকেলেই সেই ঘুগনির হাড়ি বসানো। ঘুগনি তো অনেক জায়গাতেই বিক্রি হয়, তবে তাঁর ঘুগনি এতো ভাইরাল কেন? আসলে তিনি মাত্র ১০ টাকায় দিচ্ছেন আনলিমিটেড ঘুগনি।
হঠাৎ বচসা শুরু হয় কেন
কি অবাক লাগছে তো? হ্যাঁ, যত পারো তত খাও। মাত্র ১০ টাকা। অনেকেই ১০ বারের বেশিও খেয়ে ফেলেন। শুধু তাই নয়, তিনি গরিবদের বিনা পয়সায় দেন ঘুগনি। এমন ঘুগনিওয়ালাকে আপনি হয়তো অন্য কোথাও দেখতে পাবেন না। তাঁর কথায়, তিনি তাঁর ইচ্ছাতে এরূপ কাজ করছেন। তবে প্রতিদিন যে লাভের মুখ দেখতে পান তা কিন্তু নয়। লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটাই হয়তো অনেক বেশি। হঠাৎ সেই ঘুগনির দোকানেই গ্রাহকের সঙ্গে দোকানদারের বচসা শুরু হয়।
নেটিজেন কী বলছেন
দু, তিনজন দোকানদারের বক্তব্য, ঘুগনিটি খুবই বাজে খেতে। এই নিয়ে তারা ঝামেলা শুরু করেন। দোকানদারের বক্তব্য, তাঁরা বহুবার খাওয়ার পর ঘুগনি খারাপ, এমন দাবি করছেন। কিন্তু অনেকেরই বক্তব্য, ‘এতো কম টাকায় এর থেকে বেশি ভালো দেওয়া সম্ভব নয়’। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘যদি না পছন্দ হয় খাবেন না, খেতে খেতে বদনাম করার কি আছে’। বচসা এতটাই বেড়ে যায় যে গায়ে হাত তোলার পর্যায়ে চলে যায়। এক ব্যক্তি সেই ঘটনাটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে সকলকেই দোকানদারের সাপোর্টেই কথা বলতে দেখা যায়।