কমলিনীর অসম্মান করায়, অনন্যাকে পুলিশের হু’মকি স্বতন্ত্রর! আদালতে বিচারের দিনেই চন্দ্রের নোং’রা খেলা শেষ! হঠাৎ সহিনীর আগমনে, বিচ্ছেদ মামলায় চমকপ্রদ মোড়!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী অনন্যাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, স্বতন্ত্রর বৌদি বলেই কমলিনীয় তাকে বৌদির সম্মান দেয়। কিন্তু রোজ যদি এমন অপমানের সম্মুখীন হয় তার কাছ থেকে, তাহলে সেই সম্মানটা করা কমলিনীর পক্ষে সম্ভব হবে না আর।

কমলিনী বলে, যে কথাগুলো অনন্যা তাকে শোনাচ্ছে সেগুলো স্বতন্ত্রর শোনা বেশি দরকার, কারণ যদি একসঙ্গে তারা রাত্রিবাস করেই থাকে তাহলে কথা শোনার দায়ও দু’জনেরই সমান থাকা উচিত। কমলিনীর মুখে এইসব কথা শুনে বুবলাই আবার ছোট বড় কথা বলতে থাকে। কমলিনীও জানায়, আদালতে তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছে বুবলাই।

তাই ব্যক্তিগতভাবে আ’ক্রমণ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারে কমলিনী। এদিকে কমলিনীর শাশুড়িও বলেন কটাক্ষ করে বৌমাকে বলেন, এত পাপ করার থেকে গলায় কলসি দড়ি দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করা ভালো। মায়ের চূড়ান্ত অপমান দেখে মিঠি প্রতিবাদ জানায়, কমলিনী মিঠিকে আশ্বস্ত করে যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির প্ররোচনায় সে আ’ত্মঘা’তী হবে না।

এরপর ঘটনাস্থলে স্বতন্ত্র হাজির হয়, বৌদির মুখে সবকিছু শুনে স্বতন্ত্র পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে প্লুটোর বিয়েতে যাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে তার মনে। যেভাবে কাপুরুষের মতো মিঠির মন ভেঙে তারই বোনকে বিয়ে করছে প্লুটো, তারপর তাকে ভাইপো হিসাবে মানে না স্বতন্ত্র। সুতরাং তার বিয়েতে যদি হতেই হয় তো একান্ত নিজের সিদ্ধান্তই থাকবে।

অনন্যাকে সতর্ক করে দেয় স্বতন্ত্র, এরপর যদি এমন অপমান করে কমলিনীকে তাহলে থানা-পুলিশ হতে পারে। মিঠিও জানায়, তার মা কিছু না করলেও সে থানায় যাবে। বুবলাই আবারও আ’ত্মঘা’তী হওয়ার হুমকি দেয়, যদিও তাকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। পরদিন আদালতে শুনানি শুরু হয়। অয়নদ্বীপ কমলিনীকে কাঠগড়ায় ডাকে।

আরও পড়ুনঃ “বিপদে-আপদে এমন ‘ঠাকুরপো’ সবার দরকার!” “প্রেমের গল্প শুরু হতে পারে যেকোনও সময়!”— অপরাজিতা, আর সুদীপের চোখে নতুন ‘ঠাকুরপো’র গুরুত্ব! ‘চিরসখা’তে কমলিনী-স্বতন্ত্রের প্রেম সমাজে নতুন ভাবনার বার্তা! কি বলছেন দুই শিল্পী?

অয়নদ্বীপ জানায়, একটি মাত্র প্রশ্নে তার কাজ হয়ে যাবে। কমলিনী কাঠগড়ায় আসতেই প্রশ্ন করে, কুড়ি বছর আগে চন্দ্র সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল তার? কমলিনী জানায়, শারীরিক সম্পর্কের বাইরে কোনও রকম মানসিক বন্ধন ছিল না, বাইরের জগতের কাছে এমন সম্পর্ককে স্বাভাবিক তকমা দেওয়া হয়। অয়নদ্বীপ এবার প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগে,যে স্বতন্ত্রর জন্যই কমলিনী-চন্দ্রের বিচ্ছেদ হচ্ছে।