অপারেশন করানোর আগে কান্নায় ভেঙে পড়লো রাই! আদৌ চিকিৎসা সফল হবে রাইয়ের? নাকি এটাই তার শেষ যাত্রা?
বাঙালি দর্শকদের অন্যতম প্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠিঝোরা’। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় মেগা ‘মিঠিঝোরা’তে(Mithijhora) চলছে টান টান পর্ব। ইদানীং টিআরপি তালিকায় (Trp List) এই ধারাবাহিক সেভাবে ছাপ ফেলতে না পারলেও দর্শকদের কাছে কিন্তু ‘মিঠিঝোরা’ ব্যাপক জনপ্রিয়।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২রা সেপ্টেম্বর (Mithijhora Today Episode 2nd September)
এদিন ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখা যায় সকলে একসঙ্গে খেতে বসেছে। রাই বৌমণিকেও তাদের সাথে খেতে বসতে বলল। রাইয়ের মা প্রত্যেকের চোখমুখ দেখে বুঝে যায়, তারা কিছু লুকোচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলেও বৌমণি স্বীকার করতে নারাজ। নন্দিতা দেবী তার জামাই অনির্বাণকে তার বাড়িতে ডেকে খাওয়ানোর কথা বললে স্রোত তাকে চুপ করিয়ে দেয়। আর অন্যদিকে রাই অনির্বাণকে বিয়ে করে সেঁধে ভুল করেছে বলে অনুতপ্ত হয়।
নন্দিতাদেবী রাইকে বললেন অনির্বাণের অফিসে কাজ করার কথ। রাই, চরকি আর স্রোত তিনজনে মিলে রাইয়ের ক্যান্সারের কথাটি আড়াল করার জন্য কথা ঘুরিয়ে দেয়। রাই মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে সে তার রোগ সম্পর্কে অনির্বাণকে কিছু জানাবে না। স্রোত ঠিক করে তারা তিনজন আজ আর ঘুমোবে না। তারা তিনজন আজ গল্প করে সারা রাত কাটিয়ে দেবে। কারণ সকালেই রাইয়ের অপারেশন। রাই শুধু মাত্র তার মাকে একটা কথাই বলে যে, সংসার করতে হলে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই একসঙ্গে থাকতে হয়। তার এই কথার কারণ নন্দিতাদেবী বুঝতে পারে না।
অন্যদিকে, দেখা যায় নীলুকে রাতের বেলা ঘরে পাইচারি করছে। এতো রাতে কী সে চোর ধরতে অপেক্ষা করছে? বউমণি নীলুকে বলে, সে গরিব ঘরের মেয়ে ওই কারণে তার অধিকার এই বাড়িতে অনেকটাই কম। ইতিমধ্যে শৌর্য্য এসেও নীলুকে অপমান করতে থাকে। কারণ নীলু খোরপোষ বাবদ অনেকগুলি টাকা চেয়েছে। নীলু মনে মনে বলে, শৌর্য্য আমি তো তোমার সঙ্গেই থাকতে চাই। আমি তোমাকে কখনওই ছাড়তে চাই না। সূর্য তাকে জানিয়ে দেয় শৌর্য্য তাকে অবশ্যই টাকা দেবে। কিন্তু এতগুলো টাকা কখনও না। নীলু বুঝতে পারে, শৌর্য্য তাকে এখনো ভালোবাসে। কিন্তু নীলুর নিজের দোষেই সে শৌর্য্যকে হারাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্ধুত্ব চুলোয় যাক, শিরদাঁড়া আগে! ‘এক সময়ের বন্ধু’ কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাগ’ অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর
এইদিকে রাইযে বৌমণি, স্রোত সকলে নিজেদের পুরনো স্মৃতি মনে করে নাচগান করছে। আর উজ্জ্বল বাবুকে দেখা যায়, সারারাত জেগে থাকতে। রাইয়ের চিন্তায় সার্থক তাকে অনুপ্রেরণা এবং সাহস জোগাতে থাকে। সকালবেলা রাই অপারেশনের জন্য তৈরি হতে থাকলে দেখা যায় বৌমণি অনেকগুলি টাকা এনে রাইয়ের হাতে দিয়েছে। রাই তাকে জিজ্ঞাসা করে সেই টাকাগুলি কোথা থেকে পেয়েছে বউমনি জানায় সে নিজের গয়না বন্ধক রেখেছে। কারণ তার কাছে অন্য কোনও উপায় ছিল না। তারপর তারা স্রোতের গাড়ি করে হসপিটালে পৌঁছায় এবং হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে রাই। রাই কি ফিরে আসবে?নাকি এটাই হবে রাইয়ের শেষ যাত্রা। জানতে হলে চোখ রাখুন মিঠিঝোরার পর্দায়।