“যেদিন থেকে সিনেমায় নেমেছিলাম, আমার অ’ধঃপ’তন শুরু হল” বাংলা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিস্ফোরক চিরঞ্জিৎ
বাংলা সিনেমার জগতে অন্যতম সু’পা’রস্টারদের মধ্যে একজন তিনি। একসময় তাঁর ছবি মানেই হা’উ’স’ফুল। হা’ততা’লি, শি’সের আওয়া’জে ভরে উঠত সিনেমা হল। একের পর দারুণ দা’রুণ সিনেমা সিনেমাপ্রেমী বাঙালিদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর এক একটি ডা’ইল’গ রয়ে গেছে মিথ হিসেবে। সিনেমার জ’মকা’লো জ’গ’ৎ দীপক চক্রবর্তী থেকে টাকে করে তু’লে’ছে সবার প্রিয় চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)।
তবে বর্তমানে আগের মতো ৭-৮ ছবিতে আর দেখা যায়না তাঁকে। একসময় রা’জ’নী’তির ম’য়’দা’নেও পা রেখেছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে সবটাই অতীত। বর্তমানে তাঁর পরিচিতি চিত্রকার হিসেবে। ছবি আঁকা, কবিতা লেখা বর্তমানে এই সবকিছুকেই সাথী করে তিনি কা’টাচ্ছে’ন জীবন। সম্প্রতি পর্দায় আসছে তাঁর নতুন সিনেমা দাবাড়ু। সাংবাদিকদের সেই সিনেমার সাক্ষাৎকারে দীপক থেকে চিরঞ্জিৎ হয়ে ওঠার গল্প, বর্তমানে বাংলা ই’ন্ডা’স্ট্রির পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
অভিনেতা জানিয়েছেন “একসময় দীপক এই ই’ন্ডা’স্ট্রিতে এসেছিল পরিচালক হওয়ার জন্য। আমি আর মিঠুন অনেক চে’ষ্টা করেছি কিন্তু আমরা যে ধরনের সিনেমা করতে চেয়েছিলাম সেই ধরনের সিনেমার প্রযোজক পাওয়া খুব মু’শ’কি’ল। সেখান থেকে হয়ে গেলাম হিরো। সিনেমায় সবাই নামে কেউ ওঠে না। আমিও নেমেছিলাম আমারও অ’ধঃ’প’ত’ন শুরু হল। দীপককে তখন তুলে রেখেছিলাম ভালো সময়ের জন্য। ব’দ’না’ম নি’লা’ম চিরঞ্জিতের। চিরঞ্জিৎ হয়ে গেল সুপারস্টার। কিন্তু ভালো ছবি করার সা’হ’স একমাত্র দীপক দেখিয়েছিল। বাড়িওয়ালি, চতুষ্কোণের সময় সৃজিত বলেছিল এটা দীপক করেছে। আমি বলেছিলাম তাহলে নবাগতা দীপকের নাম দে। কিন্তু কেউ রা’জি হয়নি। কারণ চিরঞ্জিৎ সুপারস্টার সে বি’ক্রি হয় কিন্তু সবটা করে অ’ব’হে’লি’ত রয়ে গেল দীপক।“
তিনি এও বলেছেন “চিরঞ্জিৎ লোককে বলত ক’মা’র্শিয়া’ল ছবি বানাও। ক’মা’র্শি’য়া’ল ছবিতে সুপার স্টার আসে। চিরঞ্জিৎ ভি’ড় আনতে পাড়বে। লোকে স্টার দেখে সিনেমায় আসে। ভালো সিনেমা হলেও সেখানে ভালো স্টার না থাকলে লোকে দেখে না। কিন্তু দীপক সেটা মনে করে না। ও বলে ভালো ছবি বানায় এটাতেই লোকের মন ছুঁ’য়ে যাবে। একবার সানন্দার শুটে সুমন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তিনি তখন চিরঞ্জিতের দিকে তাকাননি। কারণ তিনি মনে করেননি চিরঞ্জিতের সেই জায়গা আছে। দীপক হলে হয়ত তিনি দেখতেন। আমার ডাইলগ মিথ হয়ে গেছজে এখন সবটাই ২-৩টে করে বি’য়ে করে, কাঞ্চন ক’রল। তারপর ওকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু কল্যাণদা এটা ঠিক করেননি। ও কটা বিয়ে করবে ওর ব্যাপার।“
আরো পড়ুন: আলোর আড়ালে অ’ন্ধ’কা’র! চি’কি’ৎ’সা ক’রার টা’কা নেই, মৃ’ত্যু’র দিন গু’ন’ছে’ন “ভূ’তে’র ভ’বি’ষ্য’ৎ” খ্যাত অভিনেতা!
অভিনেতার মতে, এখন সবাই বলে বুম্বা ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু একজন মানুষ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি হয়না উত্তম কুমারও ছি’লে’ন না। সকলের যৌ’থ প্র’চে’ষ্টায় একটা সিনেমা হয়। এখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রি নে’মে গেছে। যার জন্য দা’য়ী এই অন্যধরনের সিনেমা। লোকে এইসব সিনেমা দেখে না। তাই হল ব’ন্ধ হয়ে যাচ্ছে। উদাহরন দিয়ে তিনি বলেছেন সেসময় হল ছিল ৭৫০টি কিন্তু এখন হলের সংখা দাঁ’ড়ি’য়ে’ছে ৪০। অভিনেতার মতে, “সাধারণ মানুষ ম’ল, মা’ল্টি’প্লে’ক্সে যেতে পছন্দ করেনা ফলে তাঁরা সিনেমাও দেখছেন না। এখন ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছে ধারাবাহিক। নায়কদের পয়সা লাগবে তাই ওরা নিজেরাই প্রযোজনা করে টাকা ইনকাম করছে।“ তবে তিনি জানিয়েছেন পরিচালনা, সিনেমায় বা রাজনীতিতে আর বিশেষভাবে ফিরতে চাননা তিনি। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত ছবির এক্সিভিশনের কাজে।