আদৃতের কি এবার সব মনে পড়ে গেল? আমেরিকায় শুভর জীবনে নতুন বিপদ! গৃহপ্রবেশে আজকের পর্ব জমজমাট

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক গৃহপ্রবেশ (Grihoprobesh)-এ বর্তমানে দেখানো হচ্ছে শুভর মা হওয়া হয়েছে এক ফুটফুটে পূত্র সন্তানের। অন্যদিকে, আদৃতকে ভারতে যেতে হয় একটি বড় ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য। সেখানে গিয়েই আদৃত এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং সবাই ভবতে থাকে সে আর বেঁচে নেই। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প।

আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় শুভ এখন সব সময় কান্নাকাটি করে আদৃতের জন্য। একদিন সে দাদু ঠাম্মির ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখে ঠাম্মি খুব কাদঁছে আদৃতের একটা বাচ্চা বেলার ছবি নিয়ে। তিনি বলেন, “ছেলেটার বয়স কতই বা হয়েছিলো ঠিক করে তো জীবনটাই দেখল না। আমাদের চলে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ও চলে গেলো”। শুভ আরো ভেঙে পড়ে এই সব শুনে।
এরপর একটু একটু করে দিন যায় আর সবাই মনের কষ্ট লুকিয়ে মুখে হাসি নিয়ে থাকতে শুরু করে পাছে শুভ আর কেশব এর কষ্ট হয়। কিন্তু একদিন শুভ ধরেই ফেলে আর বলে, “তোমাদের এই নাটকটা করার কিন্তু কোনও দরকার নেই, আমিও তো কাঁদছি তোমরা তাহলে কোনো কাঁদছো না”। শুভ আরো বলে তার শাশুড়ি মা আগের থেকে পাল্টে গেছেন, এখন আর তিনি শুভকে কথা শোনায় না এমন কি নিজের ঘর দিয়েই বেরন না।

Grihoprobesh, Star jalsha, shubhlakshmi, subha-adrit, new episode, গৃহপ্রবেশ, স্টার জলসা, শুভলক্ষ্মী, শুভ-আদৃত, নতুন পর্ব, বাংলা সিরিয়াল

অন্যদিকে দেখা যায় আদৃত একটু একটু করে সুস্থ হচ্ছে কিন্তু সে তার অতীত কিছুই মনে করতে পারে না। ডাক্তার মোহনা বলে, “আপনি একটু মনে করার চেষ্টা করুণ আপনি কোথায় থাকেন বা আপনার নাম কি?” কিন্তু আদৃত অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকে। যেহেতু আদৃত এখন আগের থেকে অনেক সুস্থ তাই মোহনা ঠিক করে তাকে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে রাখবে। এরপর তাকে বাড়িও নিয়ে আসে।আর আমেরিকাতে কেশবও একটু একটু করে বড় হচ্ছে, সে এখন বসতে শিখে গেছে। শুভ খুব খুশি হয়ে কিন্তু আবারও আদৃতের কথা ভেবে কেঁদে ফেলে।

রায় পরিবারের মশলার কোম্পানিও এখন ডুবতে বসেছে আদৃত ছাড়া। সেবন্তী ঠিক করে সে নিজে যাবে কোম্পানির হাল ধরতে কিন্তু ঋদ্ধি ফোন করে বলে, “কোম্পানির নতুন ওয়ার্কার্স রা ভাঙচুর শুরু করেছে দাদাভাই ছাড়া কোম্পানির কোন লোককে আমরা কথা শোনাতে পারছি না তুমি বড় শুভ কে আনার ব্যবস্থা করো।”সেবন্তী অনেক জোরজার করে শুভকে কিন্তু শুভ বলে সে এই বাড়ি থেকে বেরোবে না সে কেশবকে এই বাড়িতে থেকে বড় করতে চায় সেবন্তী অনেক বোঝানোর পর শুভ রাজি হয় যেতে।

আরও পড়ুনঃ “সাহিত্যের মতোই পবিত্র বন্ধুত্ব!” নতুন সম্পর্কের সংজ্ঞা নিয়ে অকপট ‘চিরসখা’র কমলিনী ও স্বতন্ত্র!

অন্যদিকে আদৃত মোহনা বাড়ি এসে রাধুনী ফোড়নের গন্ধ পায় এবং বলে মশলার সম্বন্ধে আমি অনেক কিছু মনে করতে পারছি, কিন্তু আমার সম্পর্ক কি মশলার সাথে আমি জানিনা আর আবারও তার মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর দেখা যায় আমেরিকাতে একজন ব্যক্তি আসে দেখে বোঝাই যাচ্ছে সে আদৃতের শত্রু এবং হয়তো আদৃতদের এক্সিডেন্ট সেই করিয়েছে। পর্বটি এখানে শেষ হয়। এখন প্রশ্ন শুভ কি পারবে আদ্রিতকে আবার ফিরিয়ে আনতে?