স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh)-এ এসেছে বড় মোড়। শুভর পরিবারে খুশির আমেজ, কারণ সে এক ফুটফুটে পুত্রসন্তান “কেশবের” মা হয়েছে। কিন্তু আদৃতের জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কাজে ভারতে গিয়ে সে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়, আর সবাই ধরে নেয় সে আর বেঁচে নেই! দেশের মাটিতে নতুন পরিচয় নতুন জীবন শুরু করে আদৃত। এই নতুন টুইস্টে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের গল্প।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় মিস্টার সেনের সাথে শুভর ব্যবসায়িক চুক্তি নিয়ে রায় বাড়ির সবাই বেশ উত্তেজিত কিন্তু তিন মিলিয়ন টাকা লাগবে চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য। বাড়ির সবাই ভাবতে থাকে এই টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে ঠিক এমন সময় দাদু নিজের সারা জীবনের সঞ্চয় করা টাকা শুভর হাতে তুলে দেয়। শুভ এতে আপত্তি জানালে ঠাম্মি বলে, “তোকে এই টাকা নিতেই হবে, কারণ তোর দাদু নিজের হাতে এই ‘রায় এন্ড আমেরিকা’ কে দাঁড় করিয়েছে আর তার জন্য তুই কিছু করছিস আর দাদু কিছু দেবে না?”
সেবন্তী রূপককে বলে, “আমার তো অনেক সোনার গয়না আছে যেগুলো এখন আর আমি পড়ি না সেগুলোকে দিয়ে গোল্ড লোনের ব্যবস্থা করা যায় না?” রূপক এতে রাজি হয় এবং সেবন্তী গয়না দিয়ে দেয়। অন্যদিকে হীরক কিছু একটা বলতে যাবে কিন্তু রঞ্জিনী তাকে আটকে দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায় আর বলে, “তুমি আবার কিভাবে সাহায্য করতে চাও? ভুলে যেও না আমাদের এতগুলো ছেলে মেয়ে তাদের ভবিষ্যতের কথা আমাদের ভাবতে হবে”।
হীরক বলে, “তোমারও ভুলে যাওয়া উচিত না আদৃত একা হাতে সমস্ত ব্যবসা চালাতো। তাই আমাদের এটা কর্তব্য তোমার মনের হিংসা থেকে তুমি এসব বলছো”। এমন সময় পূরবী এসে রঞ্জিনিকে জানতে চাইলে রঞ্জিনী বলে শুভকে কিভাবে সাহায্য করা যায় সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে তা।পূরবী বলে, “আমরা সবাই আছি তো, তুমি একা কেন চিন্তা করছো”। হীরক এরপর রঞ্জিনিকে বলে, “পূরবী তোমার থেকে বয়সে অনেক ছোট তাও ওর মন কত পরিষ্কার।” অন্যদিকে দেখা যায় মোহনা ও মোহনার মা আকাশকে নিয়ে আলোচনা করতে থাকে।
মোহনার মা বলে, “ছেলেটা বাইরে বাইরে থাকে খাওয়া-দাওয়া করে না ওর কাছে গিয়ে যদি সমস্তটা একবার গুছিয়ে দিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আসতে পারতাম খুব ভালো হতো।” মোহনা জানায় তাঁরা নিউইয়র্ক যাচ্ছে, আকাশের সাথে দেখা করতে এবং আদৃত কেও জানিয়ে দেয় সেও যাচ্ছে তাঁদের সাথে। সেই মুহূর্তে আদৃত নিউইয়র্ক শব্দটা শুনে আবার আবছা আবছা স্মৃতি মনে করতে থাকে। অন্যদিকে মিস্টার সেন রায় বাড়িতে যায় চুক্তি স্বাক্ষর করতে।শুভ কিছু অংকের টাকা মিস্টার সেন কে তুলে দিয়ে বলে বাকি টাকা সে কিছুদিনের মধ্যেই যোগাড় করে দিয়ে দেবে।
ব্যবসার কাজটা যেন তাড়াতাড়ি শুরু করে তিনি।মিস্টার সেন জানায় এর পরবর্তী মিটিংগুলো তার অফিসে করলে বেশি ভালো হয়। শুভর যদি কোন আপত্তি না থাকে তাহলে সে যেন মিস্টার সেনের অফিসে গিয়ে আলোচনাগুলো ভবিষ্যতে সেরে ফেলে।এরপর দেখা যায় চলে যেতে ঋদ্ধি ডোনা তুলি ও বাকিরা মিলে মিশে সেনকে নিয়ে আলোচনা করতে থাকে এবং বলে মিস্টার সেন কে বেশ সুদর্শন দেখতে পারসোনালিটিও আছে।এই কথা শুনে শুভ কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে তাঁর কাছে আদৃত হলো সেরা সে আগেও আদৃতকেই ভালোবেসেছে, ভবিষ্যতেও আদৃতকেই ভালোবাসবে।
আরও পড়ুনঃ ডিবেট কম্পিটিশনে পারুলের বক্তব্যে হল ভর্তি লোকের হাততালি! পারুলের মন্তব্যে মুগ্ধ রায়ান, জ্বলছে শিরিন!
এরপর একদিকে দেখানো হয় আদৃত জামাকাপড় গোছাচ্ছে, অন্যদিকে শুভ কেশবকে কোলে নিয়ে আদৃতের কথা ভাবতে থাকে। মোহনা মিস্টার সেন কে ফোন করে বলে তারা কাল নিউইয়র্ক আসছে, মিস্টার সেন তাদের পিক আপ করতে আসতে পারবে কিনা। তখন মিস্টার সেন জানায় যে সে এক নতুন ব্যবসায়িক চুক্তি নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তাই তার সময় নাও হয়ে উঠতে পারে।কার সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি এই কথা মোহনা জানতে চাইলে বলে “মিসেস শুভলক্ষ্মী রায়”! এই নাম শুনতেই আদৃত অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে ও মাথা ধরে বসে পড়ে।
ফোন রাখার পর মিস্টার সেন মনে মনে শুভকে নিয়ে চিন্তা করতে থাকে এবং এর থেকে বোঝা যায় শুভর জন্য মিস্টার সেনের ভালোলাগা তৈরি হয়েছে। শেষ সিনে আমরা দেখি রাতের বেলা একদিকে শুভ কেশবকে কোলে নিয়ে আদৃতের ছবির সামনে দাঁড়াতেই ছবি দিয়ে মালাটা খুলে পড়ে যায়, অন্যদিকে আদৃত নিউইয়র্ক এসে চেনা চেনা জায়গা বলে অনুভব করতে থাকে। এরপর দেখানো হয় শুভ আদৃতকে ফোন করেছে ও আদৃতের গলা শুনে শুভর চেনা লাগছে। এই টানটান উত্তেজনার মুহূর্তেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।