স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh)-এ এসেছে বড় মোড়। শুভর পরিবারে খুশির আমেজ, কারণ সে “কেশবের” মা হয়েছে। কিন্তু আদৃত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কাজে ভারতে গিয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়, আর সবাই ধরে নেয় সে আর বেঁচে নেই! দেশের মাটিতে নতুন পরিচয় (আয়ান) নতুন জীবন শুরু করে আদৃত। এই নতুন টুইস্টে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের গল্প।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় কেশবকে কোলে নিয়ে শুধু আদৃতের কথা ভাবতে থাকে ঠিক তেমন সময় আদৃতের ছবি নিচে পড়ে যায় এবং তার উপর সিঁদুর কৌটো পড়ে যায়। শুভর মনে হতে থাকে কিছু একটা হতে চলেছে না হলে এমনটা তো কোনদিন হয় না। অন্যদিকে নিউইয়র্কে পৌঁছে গেছে আদৃত, মোহনা ও তার মা। এয়ারপোর্টে পৌঁছেই আদৃতের বারবার মনে হতে থাকে এই জায়গা তার অনেক চেনা এখানেই কতদিন সে যাতায়াত করেছে কিন্তু তার পরিচয় কি বা এই জায়গার সাথে তার সম্পর্ক কি কিছুতেই বুঝতে পারে না।
আবারো মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায় আদৃতের। মোহনা তার দাদাকে ফোন করে বলে, তারা অপেক্ষা করছে আকাশের জন্য কিন্তু সে কেন এখনো আসেনি। মিস্টার সেন জানায় একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ ব্যস্ত থাকার কারণে সে যেতে পারিনি কিন্তু গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে তারা কোন চিন্তা না করে গাড়িতে করে যেন বাড়ি চলে আসে। মোহনা পেছন ফিরে দেখে আদৃতের মাথা ব্যথা করছে ও আবার সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মোহনা আদৃতকে বলে, “এই দেশ তোমার আমার কারোরই চেনা নয়, তাই আমাদের একসাথেই থাকতে হবে”।
তারপর তারা বাড়ি চলে যায়। রায় বাড়িতে দেখা যায় সুমিত কেশবকে কোলে নিয়ে কোথাও একটা যাচ্ছে, ঠিক এমন সময় পূরবী তাদের আটকে দিয়ে জানতে চায় রোজ এই সময় কেশবকে নিয়ে সে কোথায় যায়? সুমিত বলে কেশবের মাঝে মাঝে বাইরে যাবারও তো ইচ্ছা করে তাই সে ঘুরতে নিয়ে যায়। ধরা পড়ে যাবে সুমিত এই মুহূর্তেই শুভ এসে পরিস্থিতি সামলে নেয় আর সুমিতকে বলে এইভাবে সে কতদিন তুলির সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে সম্পর্ক রেখে যাবে?
সুমিত বলে তারা চেষ্টা করছে খুব তাড়াতাড়ি সবাইকে বলে দেবে। এরপর দেখা যায় বাড়িতে জিনিয়া আসে এবং সবাই তাঁকে নিয়ে খুব আনন্দ, গল্প-ঠাট্টা করতে থাকে। এমন সময় তুলি বাড়িতে ফিরে মনে মনে ভাবে সবাই জিনিয়াকে কতটা আপন করে নিয়েছে কত মজা আনন্দ করছে ওর সাথে, ওকেও কি সবাই এতটাই আপন করে নেবে? কিন্তু শুভর দিকে চোখ পড়তেই তুলির মনে হয় সবাই না করলেও শুভ তাকে কতটা সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুনঃ টিআরপি তালিকায় রাঙামতির দাপট! পরিণীতার ঘাড়ে নিঃশ্বাস, জগদ্ধাত্রীকে টপকে কোন স্থানে?
পরের দিন মিস্টার সেনের সাথে একটা মিটিং থাকায় শুভ সময় জানতে ফোন করে বাড়ির ফোনে। ফোনটা অনেকক্ষণ বেজে যাওয়ার পর আদৃত ফোনটা ধরে। শুভ হ্যালো বলতে আদৃতের মাথা যন্ত্রণা হতে শুরু করে, গলার আওয়াজটা তার খুব চেনা লাগে এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় সে। মোহনায় এসে আদৃতকে বিছানায় শুয়ে দেয়। তারপর মোহনা মাকে বলে, “দেখছো তো মা এখানে আসার পরই আয়ানের সাথে কি রকম হচ্ছে, আমার মনে হচ্ছে এখানের সাথে আয়ানের কোনও পুরনো স্মৃতি জড়িয়ে আছে।”
মোহনার মা ও এ কথা স্বীকার করে, আর বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আয়ানের অতীত খুঁজে বের করতেই হবে। শেষের সিনে দেখা যায় শুভ সেনমার্টে যাবার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছে ও তার পিছু নিয়েছে আদৃত, কিন্তু মাঝে রাস্তায় হোঁচট খাওয়ায় শুভকে হারিয়ে ফেলে। এই টানটান উত্তেজনার মুহূর্তেই শেষ হয় আজকের পর্বটি। আদৃত কি পারবে হারিয়ে যাওয়া অতীতকে খুঁজে বের করতে? শুভ কি ফিরে পাবে আদৃতকে?