স্টার জলসার সিরিয়াল ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh) এ, বর্তমানে একেরপর এক ধামাকা এসেই চলেছে। শুভ আর আদৃত কে আলাদা করতে চেয়ে যতই প্ল্যানিং প্লটিং করুক না কেন কেউ, তুড়ি মেতে তাসের ঘরের মতন ভেঙে দিচ্ছে শুভ। সাম্প্রতিক এপিসোড গুলিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি শুভ ও আদূতের সম্পর্ক এক এক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে। দুজনের এই কেমিস্ট্রি দর্শকরাও যে পছন্দ করছেন তা আর বলতে হবে না। একদিকে রোমিতের বাড়ি ছাড়া অন্যদিকে শুভর মা হওয়া, জমে উঠেছে সিরিয়ালের প্লট।
বর্তমান এপিসোডের শুরুতেই আমরা দেখতে পাচ্ছি শুভ আদৃতকে বলছে, “দেখো আমি যাই করি না কেন, মা কোনোভাবেই আমাকে পছন্দ করছে না। আজকে সে আমার গায়ে হাত তুলতে পর্যন্ত গেছে। আমার এসব মোটেই ভালো লাগছে না” উত্তরে আদৃত ও বলে,”মা আজকে যেটা করেছে সেটা সত্যিই অন্যায় বাড়াবাড়ি গায়ে হাত তোলাটা মায়ের উচিত হয়নি। আমি মায়ের সাথে গিয়ে কথা বলছি”।এরপর আদৃত সেবন্তী থেকে গিয়ে বলে, “দেখো মা তুমি শুভকে পছন্দ করো না তবুও শুভ আমাদের জন্য যা করেছে সেটা কিন্তু তুমি ভুলে যেতে পারো না।

আর আজকে তুমি সেই নিষ্পাপ মেয়েটার গায়ে হাত তুলতে গিয়েছ ? এই অন্যায়ের ক্ষমা হয় না”। সেবন্তী তখন আদৃত ভুল বুঝছে এমনটা বোঝাতে চাইলে, আদৃত বলে, “আমি ঠিক করেছি এবার শুভকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। বারবার তুমি ওর সাথে এমন করবে এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। দিয়ে সেখান দিয়ে চলে যায়”। অন্যদিকে তাদের এই কথা রঞ্জিনী শুনতে পেয়ে যায় এবং বলে, “সত্যিই আজকে দিদিভাই যেটা করেছে সেটা অনেক বড় ভুল। এর কোন ক্ষমা হয় না”। আদৃত আর কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
অন্যদিকে অয়না গেছে তার বন্ধু স্যামের সাথে দেখা করতে একটা রেস্টুরেন্টে। স্যাম কে সে বলছে, “আমার উপর তোমার বিশ্বাস নেই আমরা যদি এক হয়ে যাই আমরা এই দুই সংসারকেই চালিয়ে নিতে পারব”। পরবর্তীতে আমরা দেখি ওই একই রেস্টুরেন্টে আদৃত ও শুভ এগিয়ে উপস্থিত হয়। আদৃত সেখানে শুভ কে আবারো বোঝাতে থাকে তার মা যা করেছে সেটা ভুল। শুভ তখন বলে, “দেখো সমস্ত মেয়ে বিয়ের পর একটা স্বপ্ন নিয়ে শ্বশুরবাড়ি আসে যে সবাই তাকে মানিয়ে নেবে তারপরে সে যতই যাই করুক না কেন একজন ঠিক থাকবেই যে এটা করবে না এবং ধীরে ধীরে সংসারে অশান্তি বাঁধবে”।
এরপর তারা বাড়ি ফিরে আসলে হঠাৎই শুভর খুব বমি পেতে শুরু করে। আদৃত তখন বলে, “উল্টোপাল্টা খেয়েই তোমার এই রকম হচ্ছে। তোমার তো আগে এরকম সমস্যা ছিল না দাঁড়াও আমি ঠাম্মিকে ডেকে আনি ওষুধ নিয়ে আসি”। ঠাম্মি এসে শুভর এরম অবস্থা দেখে কিছু একটা আন্দাজ করে ইশারায় শুভকে জানতে চায় শুভ তাতে হ্যাঁ বলে। এরপর আদৃত জোর করে শুভকে ওষুধ খাওয়াতে গেলে ঠাম্মি বলেন, “এসবের আর দরকার নেই। তোর মাকে বরণ বলবো তোর ছোটবেলার জামা গুলো বের করে রাখতে। বলে চলে যান”।
আরও পড়ুনঃ গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, গভীর ধ্যানে তিনি, ফের ছোট পর্দায় ফিরছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী
আদৃতকে বিস্মিত দেখে শুভ তার কানে কানে তার বাবা হওয়ার খবরটা দিয়ে দেয়। পরদিন সকালে তুলসী তলায় জল দিতে দিতে শুভকে ভাবতে দেখা যায়, কিভাবে সে নিজেকে আদৃতকে ওই পুরো পরিবারকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাবে। এমন সময় সেবন্তী আবার এসে শুভকে উল্টোপাল্টা বলতে শুরু করে সে বলে, “একটা পুরোহিতের মেয়ে হয়ে তুই আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছিস”। তখন শুভ বলে ,”আপনার দেখানো পথেই তো আমি হাঁটছি মা”! এমন সময় সেবন্তী কিছু আরেকটা বলতে গেলে, আদৃত মুখে মিষ্টি পুরে দেয় এবং বলে শুভর মা হবার কথাটা এখানে পর্বটি শেষ হয়ে যায়।






‘রবীন্দ্রনাথ আর সলিল চৌধুরীর পরেই আমি, ওই দু’জনের পর কবীর সুমন নামটাই তো স্বাভাবিক!’ কবীর সুমনের বিতর্কিত দাবি! ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় সমাজ মাধ্যমে, শিল্পীর বক্তব্যে আহত বাঙালির আবেগ?