পাশে নেই আদৃত! ছেলেকে কোলে নিয়ে শুভর ‘গৃহপ্রবেশ!’ বড্ড তাড়াতাড়ি এগোচ্ছে গল্প, তবে কি শেষ হচ্ছে আদৃত-শুভলক্ষ্মীর গল্প?

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক গৃহপ্রবেশ (Grihoprobesh)-এ বর্তমানে দেখানো হচ্ছে শুভর মা হওয়ার জার্নি। অন্যদিকে, শুভকে জব্দ করার সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে সেবিন্তীর। এরই মাঝে আদৃতকে ভারতে যেতে হবে একটি বড় ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য। সেখানে গিয়েই আদৃত এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প।

আজকের পর্বে শুরুতেই আমরা দেখতে পাই ঠাম্মি শুভকে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে দেয় কিন্তু মন্দির বন্ধ থাকায় তারা ফিরে আসে। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই আদৃতের কফিনবন্দি মৃতদেহ বাড়িতে আসে শুভ তাতে লেখা নাম দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। শুভ কিছুতেই মানতে চায় না আদৃত আর নেই। শুভ বারবারই একটা কথা বলে যে, “ও আমাকে কথা দিয়েছে ফিরে আসবে। এটা কখনোই হতে পারে না”। তারি মাঝে শুভর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়।

Grihoprobesh, Star jalsha, shubhlakshmi, subha-adrit, Kon gopone mon bhesheche, Zee Bangla, গৃহপ্রবেশ, স্টার জলসা, শুভলক্ষ্মী, শুভ-আদৃত, কোন গোপনে মন ভেসেছে, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল

পূরবী ও রুপক শুভকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে থাকে। অন্যদিকে বাড়ির বাকিরা শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। পূরবী বলে, “আদৃতের শেষ স্মৃতিটুকু আমরা বাঁচাতে পারবো তো ?” এবং রূপক তাকে আশ্বাস দেয় ভগবান এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে না। হাসপাতালে অনেক লড়াই করে শুভ তার বাচ্চার জন্ম দেয়। ডাক্তার বলে তার ফুটে একটা পুত্র সন্তান হয়েছে এবং সে ভালো আছে।

একদিকে এই আনন্দের মাঝে শুভ আদৃতের জন্য কাঁদতে থাকে, আর মনে মনে ভাবে সে চেয়েছিল তাদের সন্তানকে তারা দুজনে একসাথে বাড়ি নিয়ে আসবে। কিন্তু আদৃতই যে না ফেরার দেশে চলে যাবে সেটা কখনোই ভাবতে পারিনি শুভ। এরপর নিজের ছেলেকে নিয়ে শুভ বাড়ি ফেরে তার এই অবস্থা দেখে সাবন্তী কান্নায় ভেঙে পড়ে, ও ঘরে চলে যায়।

আরও পড়ুনঃ এবার কি তবে শেষের পথে ‘উড়ান’? বিভ্রান্ত দর্শকদের মনে উঠছে প্রশ্ন!

ঠাম্মি বলে “বাড়ির ছেলে এসেছে তাকে বরণ করে ঘরে তোলো”। শুভ বাড়ি ফেরার পর থেকেই অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে সে চুপচাপ সেবন্তীর ঘরে গিয়ে বলে, “মা তুমি আগের মত আমাকে আর মারো না কেন? কেন আমাকে কথা শোনাও না, কেন বলো না আমার জন্য সব হয়েছে?” সেবন্তী কাঁদতে কাঁদতে শুভকে জড়িয়ে ধরে ও বলে সে আদৃতকে কথা দিয়েছে যে শুভর গায়ে একটা আঁচড়ও লাগতে দেবে না।

সেবন্তী দায়িত্ব নেয় আদৃতের অবর্তমানে তার ছেলের সমস্ত দায়িত্ব সে নিজে নেবে। বাকি লোকেরাও ঠিক করে সবাই শুভর পাশে দাঁড়াবে ও শুভকে আবার আগের মতো করে তুলবে। অন্যদিকে দেখা যায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে আদৃত। সে এখনো বেঁচে আছে এ কথা কেউ জানে না বরং সবাই ভাবছে অন্য গাড়ির চালক বেঁচে আছে। এখানে আজকের পর্বটি শেষ হয়ে যায়। যদিও দর্শকদের মনে আশঙ্কা গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে বড্ড তাড়াতাড়ি এগোচ্ছে গল্প। তবে কি অচিরেই শেষ হয়ে যাবে এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক?