বাংলা ধারাবাহিক (Bengali Serial) বিভিন্ন সময় কটাক্ষবিদ্ধ হয়েছে। আসলে বাংলা ধারাবাহিকে মাঝেমধ্যেই গল্পের গরু গাছে উঠে পড়ে। আর যার ফলে তা দর্শকদের পক্ষে হজম করা সহজ হয়ে ওঠে না। শুরু হয় মিম, ট্রোলিং(Trolling)। আর প্রায় সব সময় দর্শকদের কটাক্ষের শিকার হয় ধারাবাহিক গুড্ডি(Guddi)। আসলে পরকীয়া (Extramarital affair), নায়কের খামখেয়ালিপনা দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল দর্শকরা। এক দীর্ঘ সময় ধরেই এই ধারাবাহিক সমালোচনার(Criticism) শীর্ষে এই। তবে লিপ নিয়ে এই ধারাবাহিক নতুন করে পথচলা শুরু করেছে।
আসলে শুধু হাসি নয় সিরিয়াল দেখতে দেখতে রাগও ওঠে দর্শকদের! আসলে এখন বাংলা সিরিয়ালে ট্রেন্ড হয়ে গেছে নায়কের থাকবে একটি বউ এবং একটি প্রেমিকা। আর কি কাউকে ছেড়ে থাকতে পারে না। নায়ক’কে পাওয়ার জন্য ভিলেন হয়ে ওঠেন প্রেমিকারা। তবে পরকীয়ার এই নাটকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়া লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক গুড্ডি পরকীয়ার এক অন্য স্তরে চলে গিয়েছিল। অনুজের চরিত্রটি দেখতে একদমই পছন্দ করছিলেন না দর্শকরা।
এই ধারাবাহিকে পরকীয়া দেখতে দেখতে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন দর্শকরা। বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মাধ্যমের পাতায় এই ধারাবাহিককে বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে সেই কথায় বিশেষ কর্ণপাত করেননি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। গুড্ডি’র অনুজের প্রতি আদিখ্যেতা সহ্য হচ্ছিল না দর্শকদের। তাঁরা কিছুতেই মানতে পারছিলেন না যে যুধাজিৎ-এর মতো এত ভালো, পজেটিভ একটা চরিত্রকে ছেড়ে অনুজের মতো একজন লম্পটকে কি করে পছন্দ গুড্ডির? একাধিকবার নায়ক বদলের আবেদন করেছিলেন দর্শকরা।
লিপ নেওয়ার পর দেখানো হয়েছে গুড্ডির যখন যেখানে পোস্টিং হয় যুধাজিৎ সেখানে দেখা করে যায়। কিন্তু সে তাঁর মা’কে জানায় না। ছয় বছর পেরিয়ে সে এখনও ভালোবাসে গুড্ডি’কে।
দর্শকদের সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এবার ধারাবাহিকে দেখানো হলো যে, গুড্ডি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে যুধাজিৎকে বিয়ে করতে চায়। প্রথমদিকে দর্শক বিশ্বাস করতে না পারলেও যখন যুধাজিতের সঙ্গে গুড্ডির ক্লোজ সিন দেখানো হল পর্দায় তখন এই চরিত্রটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন। এমনকী এই ধারাবাহিকটি তাঁরা রোজ দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নেটিজেন লিখেছেন, “লীনা ম্যাম শেষ পর্যন্ত এই গল্পটা ঠিক দিকেই মোড় নিলেন আজ অপূর্ব একটা এপিসোড হল
গুড্ডি যুধাজিৎ এর মূহুর্ত কথোপকথন অসম্ভব সুন্দর ছিল। যুধাজিৎ বিশ্বাস করতে পারছিল না যে গুড্ডি সত্যি সত্যি মন থেকে তার কাছে এসেছে। গুড্ডি যুধাজিৎ এর সব সংশয় সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিল আজ। আর গুড্ডির বিয়ে কোন পিছুটান নেই এতো গুলো বছরে গুড্ডি মানসিক ভাবে শক্ত হয়ে গেছে।
যতবারই গুড্ডি যুধাজিৎকে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছে যুধাজিৎ তাকে ছেড়ে যায়নি তাই বাকি জীবন সে শান্তিতে যুধাজিৎ এর সাথেই থাকতে চায়। যুধাজিৎ এর ভালোবাসার কাছে হার মেনেছে গুড্ডি আজ স্বীকার করে নিয়েছে।
এবার থেকে দেখবো সবসময়।