বিনোদন জগতের অতি জনপ্রিয় মুখ তিনি। তার অভিনয় বারবার মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। চরিত্রে নেগেটিভ হোক বা পজেটিভ সমস্ত চরিত্রেই দারুণভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। নাট্যমঞ্চ বা টেলিভিশনের পর্দা, সিনেমা হোক বা ধারাবাহিক সর্বত্রই দর্শকদের মনে নিজের পাকাপাকি জায়গা করে নিতে সফল হয়েছেন অভিনেত্রী স্বাগতা মুখার্জী (Swagata Mukherjee)।
কোন কোন ধারাবাহিক এবং সিনেমায় কাজ করেছেন স্বাগতা মুখার্জী?
আরশিনগর, অরুন্ধতী, ব্যোমকেশ বক্সী মতো সিনেমায় তার অভিনয় ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছিল দর্শকদের মধ্যে। তাছাড়াও দুর্গা দুর্গেশ্বরী, বধূ কোন আলো লাগল চোখে, দুর্গা, কানামাছি, ঝাঁঝ লবঙ্গ ফুল, পটলকুমার গানওয়ালা, বাংলা মিডিয়াম, কনকাঞ্জলি, রানু পেল লটারি, চেক মেট, সর্বজয়া সহ একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। বর্তমানে জি বাংলার এন আইডিয়াসের প্রযোজিত ধারাবাহিক আলোর কোলেতে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী স্বাগতা মুখার্জী।
ইন্দ্রাশিস লাহিড়ীর মন্তব্যকে জীবনের মূল মন্ত্র করে এগিয়ে গেছেন স্বাগতা মুখার্জী
“মানুষের নিজের লড়াই তার নিজের সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে যদি একবার সে জিতে যায়, তাহলে বাইরের কোন শক্তি তাকে আটকাতে পারে না।” ইন্দ্রাশিস লাহিড়ীর একই সংলাপটিকে জীবনের মুখ মন্ত্র করেই এগিয়ে গেছেন অভিনেত্রী। কারুর মতো নয়, হতে হবে নিজের মতো প্রতিদিন এই ভাবনাকেই মেনে নিয়ে তিনি এগিয়ে গিয়ে গেছেন সামনের দিকে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভেবেছিলেন বড় হয়ে গায়িকা হবেন তিনি। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে গানের চর্চাও শুরু করেছিলেন তিনি। তারপর হঠাৎ করে থিয়েটারে শুরু করেছিলেন অভিনয়। একটি মঞ্চ সফল প্রযোজনার মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের চ্যানেলের মুখোমুখি হন তিনি।
সাদরে গ্রহণ করছিলেন সেই চ্যালেঞ্জ। তারপর থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্ম নেয় তার। শিখতে শুরু করেন অভিনয়। পরিশ্রম আর চেষ্টায় তিনি সফলতা হয়েছিলেন সেইবার। আর তখনই থেকেই অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন তিনি। ক্রমেই অভিনয় হয়ে উঠল তার পেশা। প্রতিদিন প্রতিটা চরিত্রকে পর্দায় আরও ভালো করে ফুটিয়ে তোলার তার চেষ্টা তাকে করে তুলেছিল উত্তম। তবে চলার পথ সবসময় যে মসৃণ ছিল এমনটা নয়। নানান কটাক্ষ, কটূক্তির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুটনি একটা! রাইয়ের নামে মিথ্যে বলতে গিয়ে অনির্বাণের কাছে ধরা পড়ল নীলু, মিঠিঝোরায় বিরাট চমক
জীবনে চলার পথে সৌর্ন্দয নিয়ে নানা কটূক্তি শুনেছেন অভিনেত্রী স্বাগতা মুখার্জী
অভিনেত্রীর মায়ের বান্ধবী বলেছিলেন “মেয়ের মুখে এত দাগ চিকিৎসা করা নাহলে বিয়ে দিতে পারবি না।” তবে সেই কথায় কখনওই কর্ণপাত করেননি তিনি। উল্টে বন্ধ করে দিয়েছিলেন তার মুখের চিকিৎসা। ভেবে নিয়েছিলেন চেহারা বা বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, তার প্রতিভাই হবে তার আসল গয়না। সেটাই তাকে দেবে পরিচিতি। হয়েছেও তাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের কাজে আরও মনোযোগী হয়েছেন তিনি। বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থার হয়ে গ্রুমিংয়ের কাজও করছেন তিনি। তারপরই তিনি খুলেছেন নিজের অ্যাক্টিং স্কুল। পূরণ করছেন শিক্ষিকা হওয়ার কাঙ্খিত লক্ষ্য। সঙ্গে চালিয়ে গেছেন অভিনয় এবং সঙ্গীতচর্চা। বের করেছেন নিজের একাধিক অ্যালবাম। নিজের চেষ্টায় আজ তার কাজ প্রতিটি দর্শকদের কাছে হয়ে উঠেছে মনোগ্রাহী।