টান টান সাসপেন্সে ভরপুর পয়লা পর্ব! বাবা-মা থাকা সত্ত্বেও জন্মের পর কীভাবে আলাদা হল যমজ দুই বোন? রইল প্রথম পর্বের আগাম আপডেট
স্টার জলসায় ( Star Jalsha ) শুরু হল নতুন ধারাবাহিক ‘দুই শালিক’ ( Dui Shalik )। তিতিক্ষা ( Titiksha Das ) ও নন্দিনীকে ( Nandini Dutta ) একসঙ্গে পর্দায় যমজ বোনের চরিত্রের দেখতে উদগ্রীব ছিলেন দর্শকরা। এবার অপেক্ষার অবসান। ধারাবাহিকের পয়লা পর্ব ছিল টান টান উত্তেজনায় ভরপুর। গল্পের শুরুতে দেখা যায়, ঝড়বৃষ্টির সন্ধ্যা। গর্ভবতী রেবতীকে নিয়ে কাছের মহকুমা হাসপাতালের দিকে গাড়ি ছুটিয়ে চলেছে প্ৰখ্যাত ব্যবসায়ী অনিমেষ রায়।
জমজমাট দুই শালিক ধারাবাহিকের পয়লা পর্ব
অনিমেষ ও রেবতী অবস্থাপন্ন দম্পতি। পারিবারিক ভাবে সোনার ব্যবসা তাদের। নাম ‘অনিমেষ-রেবতী জুয়েলার্স এন্ড কোম্পানি’। অপরদিকে, সেই রাতে উদ্ধার হয় তাদের পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার শুভায়ন সেনের মৃতদেহ। খুন হয়েছে তিনি। অকাট্য প্রমাণ মেলে অনিমেষই ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা করে খুন করেছে শুভায়নকে।
দুই শালিক আজকের পর্ব ৩০শে সেপ্টেম্বর (Dui Shalik Today Episode 30th September)
উল্লেখ্য,এই গোটা ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে প্ৰিয়রঞ্জন কাঞ্জিলাল। ‘অনিমেষ-রেবতী জুয়েলার্স এন্ড কোম্পানি’র এক সাধারণ কর্মচারী। সাজানো ব্যবসার মালিক হওয়ার জন্য তার এই কুকীর্তি।প্রথম ঢিলে শুভায়নকে খুন করায় সে। তারপর পরিকল্পনা মাফিক খুনের অপরাধে আরেক মালিক অনিমেষকে জেলবন্দি করে।
এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে রেবতী জন্ম দিয়েছে দুই মেয়েকে। ঝড়জলে হাসপাতালে পৌঁছতে পারেনি তারা। তাই গ্রামেই এক ধাইমার সাহায্যে সন্তান ভূমিষ্ঠ করেছে সে। তবে এক সন্তান পৃথিবীর আলো দেখলেও,অন্যজন কোনও সাড়া দেয়নি। তাই প্রাথমিক ভাবে মনে হয় সে মৃত। বুকে কষ্ট চাপা দিয়ে অনিমেষ আর রেবতী বেরিয়ে পড়ে শহরের উদ্দেশ্যে। তখনই ঘটে যায় বড় অঘটন। অনিমেষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ টিআরপিতে ভালো জায়গায় থাকা সত্ত্বেও শেষ হচ্ছে নিম ফুলের মধু! তবে কী অভ্যন্তরীণ কোনও ঝামেলার জেরে বন্ধ হচ্ছে ধারাবাহিক?
অসহায় রেবতী যখন মেয়েকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে, তখনই পিছন থেকে তাকে মাথায় আঘাত করে প্রিয়রঞ্জন। রেললাইনের মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তার সন্তান। অপরদিকে, মৃত সন্তানকে কোলে নিয়ে মাটি চাপা দিতে চলেছে তখনই বাচ্চাটি কেঁদে ওঠে। নিঃসন্তান সেই ধাইমা আগলে নেন মেয়েকে। নাম রাখেন ঝিলিক। কিন্তু রেবতীর সঙ্গে যে মেয়েটি ছিল? তার কী হল? এখানেই লুকিয়ে বড় চমক।