ভোঁদার ছোট্ট বউয়ের সঙ্গে শাশুড়ি প্রথম সাক্ষাতেই দেখছে বৌমাকে বাপেরবাড়ি থেকে কী কী গয়না দিয়েছে! বাচ্চা মেয়েটার কপাল পুড়ল! কাণ্ড দেখে হায় হায় করছে দর্শক
এই মুহূর্তে স্টার জলসার পর্দায় জনপ্রিয়তম ধারাবাহিক কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (Komola O Sriman Prithviraj)। এই ধারাবাহিকটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে। বিশেষ করে এই ধারাবাহিকে খুদে অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয় একেবারেই নজরকাড়া।
ব্রিটিশ শাসনে ভারতবর্ষে নারী স্বাধীনতার চিত্র বর্ণিত হয়েছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। কেমন ছিল সেই যুগে নারীদের সামাজিক অবস্থান? কেমন ছিল সেই সময়কার আর্থসামাজিক ব্যবস্থা? সামাজিক নিয়ম-কানুন? তারই বিভিন্ন মুহূর্ত ফুটে উঠছে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (Komola O Sriman Prithviraj) ধারাবাহিকে।
না এই ধারাবাহিকে নেই কোন রকমের পরকীয়ার গন্ধ, নেই নোংরামি, রয়েছে সেই যুগের মানুষদের কিছু ভ্রান্ত ধারণা, লোকের উপর জোর জুলুম করার মানসিকতা। রয়েছে বাল্যবিবাহ, এবং বারংবার নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এক শ্রেণীর মানুষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে দেখানো হচ্ছে মানিকের পিসতুতো ভাই ভোঁদার বিয়ের ট্র্যাক, যদিও সেখানে বাঁধে গোল। মানিকের পিসেমশাই বিয়ের মন্ডপে পাত্রের সমপরিমাণ সোনা দাবি করেন পাত্রীপক্ষের কাছে। সেই নিয়ে হয় মহা হট্টগোল।যদিও পরবর্তীতে ভোঁদার সঙ্গেই বিয়ে হয় ওই মেয়ের। সেই মেয়ের মুখেও কিন্তু বেশ বড় বড় কথা আছে। শ্বশুর বাড়িতে এসে নিজের শাশুড়ির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে তার শাশুড়ি তার কাছে দেখতে চায় সে বাপের বাড়ি থেকে কত ভরি গয়না নিয়ে এসেছে।
এরপর মানিকের পিসি নিজের ছেলের বউয়ের উদ্দেশ্যে বলে এবার থেকে তার ঘুম থেকে ওঠা, হাঁটা, শোয়া, খাওয়া সবকিছু তার ইশারাতেই হবে। আরে একটি কথার মধ্যে দিয়ে বোঝা যায় সেই যুগে নারীদের পরাধীনতার চিত্রটা। যদিও এই ধারাবাহিকের মূল গল্প আবর্তিত হচ্ছে সেই যুগের দুই ছক ভাঙা ছেলেমেয়েকে ঘিরে। মানিক এবং কমলা। এই দুই খুদের ভালোবাসার গল্প, একইসঙ্গে দুজনে দুজনের পাশে থেকে ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার গল্প, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কুসংস্কার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার গল্পই এই ধারাবাহিকে মূল উপজীব্য।