‘যারা অসুস্থ তারা ভালো মানুষ হয় কিন্তু ময়ূরী ব্যতিক্রম, থা প্পড়েও হুঁশ ফেরেনি’! শেষে মৃ’ত্যু হবে, প্রমাদ গুনছে দর্শক

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল। দেখা গেল যে, রূপের পর্দা ফাঁস হওয়ার পরেও নীলের মা মীনাক্ষী দেবী অবিশ্বাস করেননি ময়ূরীকে। মীনাক্ষী দেবী এখনও বিশ্বাস করেননা ময়ূরী জেনেশুনে গিনির ক্ষতি করেছে। তিনি এও মানেন না রুপ আর ময়ূরী ষড়যন্ত্র করার সত্যি। মেঘের বলা সব কথা যে সত্যি তা এখনও বিশ্বাস করেনা মীনাক্ষী দেবী।

এমনকি তাঁর ছেলে নীল জখন বাড়ির সবার সামনে বল, তখনও তাঁর মা তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলে, মেঘ এখন একটা ভাল কাজ করছে। ওর আগের অন্যায়গুলো কি ভুলে থাকা যায় না? এরপরই ধারাবাহিকে হয় জোরদার ধামাকা। অসুস্থ গিনি নীচে নেমে আসে। আর নেমেই খুলে দেয় ময়ূরীর মুখোশ। জানায়, ময়ূরী আর রূপ মিলে মেঘের সর্বনাশ করেছে। এসব কথা রূপ গিনির কাছে স্বীকারও করেছে। এসব বলার পরেও ময়ূরী অস্বীকার করতে থাকে। গিনিকে মিথ্যেবাদী বলতে থাকে। তখনই জেঠিমনি থাপ্পড় দেয়। মেনে নেন ময়ূরীকে বিশ্বাস করা তার জীবনের সবথেকে বড় ভুল।

মীনাক্ষী দেবীর হাতে থাপ্পড় খেয়েই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় ময়ূরী। যা দেখে দর্শকরা বলছেন, সাধারণত ধারাবাহিকে যারা অসুস্থ থাকে তারা ভালো মানুষ হয়। ময়ূরী একমাত্র ব্যতিক্রম। যেটা স্বাভাবিক নয়। ময়ূরীকে থাপ্পড় মারা দেখে ভালই লাগছিল দর্শকদের অধিকাংশের। আবার কারোর কারোর এই দৃশ্যটায় একটু খারাপও লাগছিল। ময়ূরী এখনও তার ভুলটা বুঝতে পারছেনা। এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের মূল আকর্ষণ ময়ূরীর বোধোদয়। যেটা কিভাবে দেখায় সেটাই দেখার বিষয়। সিরিয়াল প্রেমীদের অনুমান হয়ত শেষে ময়ূরীর মৃত্যু হবে।

বস্তুত, লীনা গাঙ্গুলী পুত্র অর্ক গাঙ্গুলীর প্রোডাকশন হাউস, অর্গানিক স্টুডিও-র আওতায় তৈরি ‘ইচ্ছে পুতুল’। প্রথম থেকেই টিআরপি তালিকায় জায়গা করতে পারেনি ইচ্ছে পুতুল। সম্প্রতি, কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রথম দশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক। ত্রিকোণ প্রেম। অর্থাৎ নীলকে নিয়ে দুই বোনের টানাটানির গল্প নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিক। শুরু থেকেই সিরিয়ালপ্রেমীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বহুবার।