ভাবলেও অবাক লাগে, দর্শকরা এক একটি ধারাবাহিককে এতটাই ভালোবাসতে পারে যে তাঁর অবহেলা দেখলে নিজেরাই কষ্ট পান। আর এই অবহেলার লিস্টে রয়েছে জগদ্ধাত্রী। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন, জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী। টি আর পি লিস্টে নজর রাখলে দেখা যাবে জি বাংলা কিন্তু অনেকটা এক চেটিয়াভাবে ধারাবাহিকে নাম লিখিয়ে রেখেছে।
তবে একসময় শীর্ষস্থানে থাকলেও এখন থাকছে না। টি আর পি ছিল একসময় ৯ এর ঘরে। নতুন নতুন ধারাবাহিকের যুগে এটা বজায় রাখাও খুব কঠিন। তাই প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। আর এই প্রতিযোগিতার বাজারে গল্পের প্লট, টুইস্ট, সূক্ষ্মতার পাশাপাশি নজর রাখতে হবে মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপনের ওপরে।
এইতো সম্প্রতি গল্পের প্লটের অবহেলা দেখে দর্শকদের মধ্যে হাসির ঢল নামল। আসলে গল্পের দিক দিয়ে অনেকটা ডিটেকটিভধর্মী এই গল্পটি। আর এতটাই পসার জমাতে পেরেছিল এই ধারাবাহিকটি যে আগে টি আর পি লিস্টে একদম ওপরে, অর্থাৎ একদম শীর্ষে নিজের নাম উজ্জ্বল করেছিল। কিছুদিন আগেই দেখা যাচ্ছিল স্বয়ম্ভুর সৎ ভাই উৎসবকে ধরার জন্য জগদ্ধাত্রী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ওদিকে আবার জগদ্ধাত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য উৎসব মেনানকে বলে রেখেছে।
এর মাঝে দেখা গেল উৎসব গুলি করেছে সোজা জগদ্ধাত্রীর বুকে। গুলি খেয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছেন জগদ্ধাত্রী। এরকম একটি টান টান উত্তেজনার সিনে একটি বিশাল বড় ভুল করে বসে ফেললেন নির্মাতারা। বুকে গুলি খেয়ে এক ফোঁটাও রক্ত দেখা গেল না কোথাও। আর এই নিয়েই চরম কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকে।
এইরকম পরিচালনার ভুলতো থাকছেই। পাশাপাশি এই ধারাবাহিক শুরু হয়েছে গত বছরের ২৯ অগস্ট থেকে। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে এতগুলো মাস। এর মাঝে শুধুমাত্র দুটি প্রোমো বেড়িয়েছি। আর বাকি কিছু এপি কাট প্রোমো। তাও রাতের টেলিকাস্টের প্রোমো দেখানো হচ্ছে সকালে।
যেখানে অন্যান্য ধারাবাহিকের একটা স্পেশাল এপিসোডের প্রোমো বেড়িয়ে যায় কত আগেই। শুধু প্রোমো নয়, তার দু তিনটে পোস্টারও তৈরি করা হয়। আর বার বার সেগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা হয়। এটাই তো মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। কিন্তু তাও এত অবহেলা জগদ্ধাত্রীর। আর এর মাঝেও নিজের জায়গা ঠিক রাখছে, এই দেখে নির্মাতাদের ওপর বেশ হতাশ দর্শকরা।