Aratrika Maity: ঝাড়গ্রামের মেয়ে মাধ্যমিক দেওয়ার পরেই চলে আসেন কলকাতায় অডিশন দিতে, প্রথমেই মেলে লিড রোলে সুযোগ, ১৬ বছরেই বাজিমাত আরাত্রিকা মাইতির!
বাংলা সিরিয়ালে এমন অনেক অভিনেতা বা অভিনেত্রী রয়েছে যাদের আসল নামের থেকেও তাদের বেশি পরিচিতি হয় তাদের চরিত্রগুলির নামের মধ্যে দিয়ে। যেমন বাহা, কাজল, কমলিকা, পাখি, টুসকি ইত্যাদি। যদিও এই চরিত্র ফুটিয়ে তোলেন তারাও ধীরে ধীরে এর মধ্যে দিয়েই দর্শকদের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিতে পারেন। পাশাপাশি এমন অনেক নতুন মুখ রয়েছে যারা প্রথমবার কাজের মধ্যে দিয়েই নিজেদের অভিনয়ের দক্ষতা চিনিয়ে দিচ্ছে দর্শকদের।
আজ তেমনই এক অভিনেত্রীর পরিচয় দেবো আপনাদের জন্য। মিতুল নামটার সঙ্গে ছোট পর্দার দর্শক ইতিমধ্যেই বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক খেলনা বাড়ির কেন্দ্রীয় চরিত্র এটি। আর এই চরিত্রের মধ্যে দিয়েই বাঙালি দর্শকরা পেয়েছে একদম নতুন এক অভিনেত্রীকে। কে এই মিতুল?
View this post on Instagram
বাস্তবে মিতুলের নাম আরাত্রিকা মাইতি। টেলিপাড়ার অভিনেত্রী আরাত্রিকা কিন্তু কলকাতার মেয়ে নয়। সে মফস্বলের মেয়ে। ঝাড়গ্রামের ছোট্ট আরাত্রিকা খুব কম বয়সেই বিপুল জনপ্রিয়তা এবং সাফল্য অর্জন করে নিতে পেরেছে। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব এই নায়িকার বেশ কিছু অজানা তথ্য।
জানা যায় যে লকডাউনের সময়ই কলকাতাতে অডিশনের জন্য আসে এই নায়িকা। প্রথম অডিশনেই পেয়ে যায় ছোট্ট এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের সুযোগ। এরপরই বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতাতে বসবাস শুরু হয় তার। তবে আপনারা জানেন কি যখন প্রথম সে কলকাতায় আসে তখন একটা ছোট্ট মেয়ে ছিল সে। সবে মাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই কলকাতায় চলে এসেছিল অভিনয়ে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য। যদিও তার ভাগ্য থাকে বিফল করেনি।
View this post on Instagram
অডিশন দেওয়ার পর প্রথম কাজ পেয়েছিল করুণাময়ী রানী রাসমণি ধারাবাহিকে। ছোট একটা চরিত্র ছিল যেটা ছিল সংলাপবিহীন। এরপরই অগ্নিশিখা ধারাবাহিকে কাজের প্রস্তাব আসে। শিখা চরিত্রে অভিনয় করে আরাত্রিকা। সেটা ছিল সান বাংলা চ্যানেলের হয়ে কাজ। সে এখন কলকাতা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনন্সিটিউটেও কাজ করছে।
View this post on Instagram
অগ্নিশিখা ধারাবাহিকের পর খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি নতুন কাজ পাওয়ার জন্য। খেলনাবাড়িতে মিতুলের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসে যেটা হলো একেবারে মুখ্য চরিত্র। খেলনাবাড়ি ধারাবাহিকে বিশ্বজিৎ আর আরাত্রিকার অন স্ক্রিন রোম্যান্স দর্শকদের খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে। ইন্দ্র আর মিতুলের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের গল্প জানতে ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে।