স্টার জলসার ( Star Jalsha ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কথাতে ( Kothha ) দেখা যায় জুনিকে প্রান্তিক কিডন্যাপ করে আর জুনির খোঁজ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যায় কথা। এরপর দেখা যায় প্রান্তিক জুনিকে বিয়ে করবার চেষ্টা করছে, কিন্তু অঙ্কিত জুনিকে বাঁচাতে নিজের হাত কেটে জুনির সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দেয়। অন্যদিকে অগ্নিভ আর কথা ঠিক করে তারা জুনি আর অঙ্কিতের ঢাল হয়ে থাকবে সবসময়। এরপর সকলে মিলে গুহ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
কথা আজকের পুরো পর্ব ২৮ সেপ্টেম্বর ( Kothha today full episode 28 September )
আজকের পর্বের শুরুতে দেখা যায় অঙ্কিত জুনিকে বিয়ে করে গুহ বাড়িতে এনেছে। যেটা দেখে প্রচন্ড রেগে যায় মেজ মা চিত্রা, সে প্রচন্ড চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে সে বলতে থাকে, কোনওভাবেই এই বিয়ে এসে মেনে নেবে না। অন্যদিকে বাড়ির প্রত্যেকটা সদস্য চেষ্টা করে যায় মেজ মা চিত্রাকে বোঝানোর। কর্তা দাদু ঠাম্মি সকলে মিলে চিত্রাকে মাথা ঠান্ডা করতে বলে এবং বউকে বরণ করতে বলে। কিন্তু চিত্রার এক কথা একটা গুন্ডার বৌ ও এরকম একটা ডিভোর্সি মেয়েকে সে কখনই নিজের বাড়ির বউ বলে মেনে নেবে না।
এদিকে এইসব কথা শুনে বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে জুনি। আর অঙ্কিত বাড়ির লোককে বলে কেন শুধু শুধু জুনিকে কথা শোনাচ্ছ? আমি তো বলছি যা করেছে আমি করেছি আমি ওকে ভালোবাসি তাই সবটা করেছি। অন্যদিকে অগ্নিভ মেজমাকে বলে, তোমার কি মনে হয় এইভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করে তুমি এই বিয়েটা অস্বীকার করলেই এই বিয়েটা মিথ্যে হয়ে যাবে? তুমি ভুলে যেও না, অঙ্কিত কিন্তু সাবালক, তার ইচ্ছায় তুমি এইভাবে বাধা দিতে পারো না।
অন্যদিকে নীলাদ্রি চিত্রাকে বলে, হঠাৎ করে বিয়ে হয়ে গেলে তার মনের অবস্থা কী হয় সেটা আমি খুব ভালো করে জানি। কিন্তু আমি বলছি বিশ্বাস করুন আমার বোনেরা কেউ খারাপ নয় আপনি একবার মেনে নিয়ে দেখুন, ঠকবেন না। কিন্তু চিত্রা স্থির করেই নিয়েছে সে এই বিয়ে মানবে না সেই কারণে জলের মধ্যে নীল গুলে সে নিয়ে এসেছে আর সকলের সামনে বলছে, আমি এই কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেব। কথা চিত্রাকে থামাতে গিয়ে কেরোসিনের জায়গাটা হাতে নিয়েই বুঝে যায় এটা কেরোসিন না। তখন সে নিজের গায়ে নীল মেশানো জল ঢেলে বলতে থাকে আমি দোষী আমি নিজেকে শেষ করব।
আরও পড়ুনঃ টিআরপির হাল বেহাল! শীঘ্রই জলসার তরফ থেকে লালবাতি দেখবে অনুরাগ? বড় খবর অনুরাগের ছোঁয়ার দর্শকদের জন্য
এরপর কথা বলে কিন্তু এতবার আগুন লাগানো সত্ত্বেও আগুন ধরছে না কেন? চিত্রা বুঝে যায় কথা তাকে ধরে ফেলেছে। অন্যদিকে অঙ্কিত বাড়ির সকলের সামনে বলে দেয় কোনওরকম তাড়াহুড়ো করে নয় বরং ভালোবেসে সে এই বিয়ে করেছে। কর্তা দাদু আর ঠাম্মি তখন বলে আমাদের কোন আপত্তি নেই তোমরা ভালো থাকলেই আমরা সুখী। ওদিকে জুনি আর কথাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে জুনির ঘরের ফ্যানের কলকব্জা খুলে দিয়ে আসে চিত্রা। কথা, জুনি ঘরে ঢুকে এসি বন্ধ করে ফ্যান চালাতেই আওয়াজ হয়, জুনি বিষয়টাকে পাত্তা না দিলেও কথার সন্দেহ হয়। ওদিকে চিত্রাভাবে এতক্ষণে খেল-খতম হয়ে গেছে কথা জুনির? এইবার কে বাঁচাবে কথা আর জুনিকে?