স্টার জলসার ( Star Jalsha ) জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলির মধ্যে অন্যতম ‘কথা’ ( Kothha )। ইদানীং টিআরপিতে ( Trp ) চমকে দেওয়া ফল করছে কথা ও এভির গল্প। গল্প জমে ক্ষীর। তালিকার প্রথম পাঁচে জায়গা পোক্ত করে ফেলেছে এই মেগা। গত সপ্তাহে টিআরপির টপারও হয়েছে এই মেগা।
কথা আজকের পর্ব ৮ই অক্টোবর (Kothha Today Episode 8th October )
এদিন ধারাবাহিক শুরুতেই দেখা যায় প্রত্যয় আর ঋতু নাচ করছে। কিন্তু কথা মনে মনে ভাবছি কিভাবে অঙ্কিত আর জুনির সম্পর্কটা সুন্দর করা যায় তখনই অগ্নি তাকে জিজ্ঞাসা করে সে কি ভাবছে? কথা জানাই সে অঙ্কিত আর জুলির সম্পর্কেই ভাবছে তাদেরকে কথা বলতে দেখে ছোটকা এসে তাদের গোপন কথার উদ্দেশ্য জানতে চায় কথা তাকেও সমস্ত কথা খুলে বলে। অগ্নি কথাকে সাজেশন দেয় তাদের এখন অঙ্কিত আর জুনির মাঝখানে আসাটা উচিত না তাদেরকে নিজেদের মতো নিজেদের সংসার গুছিয়ে নিতে দেওয়া উচিত।
ছোটকা অগ্নিকে আর কথাকে ভালোবাসার অভিনয় করতে বলে যাতে ওদেরকে দেখে অঙ্কিত আর জুনি ইন্সপায়ার হয়। এরপরেই দেখা যায় অঙ্কিত গিটার বাজিয়ে জুনির উদ্দেশ্যে গান গাইছে, যা দেখে খুশি হয় বাড়ির সকলেই। পিসিরা কথাকে বলে যাতে অঙ্কিত অর্জুনের সম্পর্কটা তারা সুন্দর করে দেয়। এদিকে অঙ্কিত কে গান গাইতে দেখে মনে মনে খুব খুশি হয় জুনি। এরপর কথা পটলের ডোনা বানিয়ে বাড়ির সকলকে খাওয়াতে থাকে। অগ্নির কাছে নিয়ে গিয়ে তারা তৈরি নতুন এই রেসিপি কেমন খেতে তা জিজ্ঞাসা করে। অগ্নি প্রথমে খেতে না চাইলেও বাড়ির সকলের অনুরোধে সে খেয়ে মনে মনে কথার রান্নার তারিফ করে। কিন্তু মুখে শুধু বলে ভালো হয়েছে।
বাড়ির সকলে আনন্দের মাঝে আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে কর্তা দাদু এবং কর্তা দিদা বাড়ির সকলের জন্য জামা কাপড় কেনাকাটা করে আনে। দাদু প্রথমে নাতি নাতিদের দিতে শুরু করলে কর্তা দিদা বলে প্রথমে নাত বউদের দিতে। সেই কথা মতন জুনির হাতে প্রথম পোশাক তুলে দেওয়া হয় যা দেখে মনে মনে রাগ হয় চিত্রার সে কোনভাবেই জুনিকে মেনে নিতে পারছে না। অগ্নিকে পোশাক দেওয়ার সময় উপস্থিত হলে সকলে মনে মনে প্রার্থনা করে যাতে দাদু আর নাতিতে কোনরকম কোন দ্বন্দ্ব না বাধে। কথা মনে মনে ভাবে কিভাবে তার পাচক মশাই এর সাথে কর্তা দাদু সম্পর্কটা ভালো করা যায়।
আরও পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও, কেউ শোনেনি, অব্যক্ত অভিমান নিয়ে চলে গেছেন তিনি
এদিকে অঙ্কিত জুনির জন্য একটি শাড়ি নিয়ে এসেছে তাকে বলে যদি আজ জুনের সাথে তার বিয়ে না হতো তাও সে জুলিকে শাড়িটি উপহার দিত। কথা জুনির কাছে রিকুয়েস্ট করে যাতে সে অঙ্কিতার দেওয়া শাড়িটি নিয়ে নেয় এবং মনে মনে ভাবতে থাকে তার আর অগ্নি এবার প্রথম পুজো অগ্নি কি তার জন্য কোন উপহার এনেছে তারপরেই সে বুঝতে পারে সে অনেক বেশি এক্সপেক্টেশন রাখছে অগ্নিক থেকে। তারপরেই দেখা যায় ছোটকা অগ্নিকে জিজ্ঞাসা করে সে কথার জন্য কি এনেছে? অগ্নি জানায় সে সে কথার জন্য কিছুই আনেনি, সেই মুহূর্তে কথার কাছে ফোন আসে সঞ্চিতা অর্থাৎ অগ্নির মাকে কথা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে কারণ তার হাসপাতাল থেকে ছুটি হয়ে গিয়েছে। সঞ্চিতা রেডি হয়ে বসে আছে কখন সে বাড়ি ফিরবে। কথা তাকে আনতে চলে গেছে এদিকে বাড়ি শুদ্ধ সকলে কথার খোঁজ করছে। তাহলে কি কথার জন্য আরও বড় কোন সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে অগ্নির তরফ থেকে কারণ কথার জন্যই অগ্নি তার মাকে পুনরায় ফেরত পাচ্ছে।