“ভালো হয়েছে প্লুটো মা’রা গেছে, মিঠির সঙ্গে কৃশানুকেই মানাচ্ছে বেশি!” “মিঠি-প্লুটোর কোনও রসায়ন চোখে পড়েনি, কিন্তু কৃশানুর সঙ্গে ঝগড়াতেও সেটা প্রকাশ পাচ্ছে!” মিঠির জন্য কৃশানুই সেরা পাত্র! ‘চিরসখা’র নতুন জুটির রসায়নে উচ্ছ্বসিত দর্শকরা, ভুলিয়ে দিলেন প্লুটোকে!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) যেভাবে একাংশের দর্শকদের মন জয় করেছে, তা সত্যিই চোখে পড়ার মতো। একদিকে, এটি সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা এবং মানবিক সম্পর্কের গভীরতার গল্প বলছে। অন্যদিকে, চরিত্রগুলোর মধ্যে যে সম্পর্কের অদ্ভুত সমন্বয় আছে, তা দর্শকদের আরও বেশি আকর্ষণ করছে। বিশেষত, কমলিনী আর স্বতন্ত্রের সম্পর্ক এবং তাঁদের জীবনযাপন নিয়ে আলোচনা তো কম হয়নি। তবে, এই গল্পের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে কৃশানু সেনগুপ্তের এন্ট্রির মাধ্যমে!

যার ফলে মূল চরিত্রগুলোর জীবন এবং সম্পর্কগুলো নতুন রূপ নিচ্ছে। কৃশানু একজন ডাক্তার, যিনি এক সময় স্বতন্ত্রের ছাত্র ছিলেন আর এখন সেই স্বতন্ত্রর আদর্শে প্রভাবিত হয়ে একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কৃশানু আসার পর থেকেই, তার এবং মিঠির সম্পর্কের মধ্যে যে উত্তেজনা এবং দ্বন্দ্ব, তা দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে। তাদের মধ্যে যে রসায়ন তৈরি হচ্ছে, সেটা এখন আর অস্বাভাবিক লাগছে না। অনেকেই মনে করছেন, পুল্টো চরিত্রটির মৃ’ত্যু একপ্রকার নতুন শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে, কারণ মিঠি এখন কৃশানুর সঙ্গে অনেক বেশি মানানসই!

দর্শকরা অনেকেই স্পষ্টই বলছেন, “ভালো হয়েছে পুল্টো মা’রা গেছে, মিঠির সঙ্গে কৃশানুকেই বেশি ভালো মানাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয় যে, যখন পুল্টো চরিত্রের মৃ’ত্যু ঘটেছিল তখন অনেকেই নির্মাতা এবং লেখিকার সমালোচনা করেছিলেন। এমনকি তাঁরা ভাবছিলেন, এই ধরনের চরিত্রের আ’ত্মহ’ত্যার মাধ্যমে শেষ করে দেওয়া ঠিক হবে কিনা। কিন্তু এখন সেই দর্শকরাই বলছেন, মিঠির জন্য কৃশানুই সবচেয়ে ভালো পাত্র! প্লুটোর থেকেও এদের দু’জনের রসায়ন সুন্দর এবং স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। দর্শকদের মনোভাব বদলাতে যে সময় নেয়নি,

সেইটাই হয়তো ধারাবাহিকের সফলতার পেছনে অন্যতম বড় কারণ। এই নতুন জুটি কৃশানু এবং মিঠি, দর্শকদের মধ্যে এক ধরনের নতুন আশা তৈরি করেছে। তাঁদের মধ্যে যে এখন ছোটখাটো ঝগড়া হচ্ছে, সেটি আর বিরক্তির কারণ নয় দর্শকদের কাছে বরং এক ধরনের প্রাকৃতিক সম্পর্কের সূচনা মনে হচ্ছে তাদের। এই সম্পর্কের মধ্যে যে উত্তেজনা রয়েছে, সেটাই দর্শকদের আরও বেশি আগ্রহী করে তুলছে। একদিকে, কমলিনী ও স্বতন্ত্রের সম্পর্ক এবং অন্যদিকে কৃশানু-মিঠির সম্পর্কের সম্ভাবনা দর্শকদের কৌতূহলকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

আরও পড়ুনঃ “এতবড় একজন মানুষ, বাঙালির ঐতিহ্য হিসেবে…” মেসিকে পকেট পরোটা খাইয়েছেন রাজু দা? যুবভারতীর বিশৃঙ্খলার মাঝেই অন্য গল্প, ফুটবলের ঈশ্বর কি তবে পেলেন ফুটপাতের স্বাদ? কী জানালেন ভাইরাল পরোটা বিক্রেতা?

উল্লেখ্য, ‘চিরসখা’র এমন পরিণতির জন্য দর্শকদের মধ্যে নানা রকম জল্পনা ছিল, কিন্তু এখন এই নতুন মোড়ের কারণে ধারাবাহিকটির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা আরও গভীর হয়েছে। টিআরপি তালিকায় শুরু থেকেই নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধারাবাহিকের মূল শক্তি হল চরিত্রগুলোর বাস্তবতার কাছাকাছি। তেমনই কৃশানু-মিঠির জুটির মধ্যে যে সম্পর্কের জাদু তারা অনুভব করছেন, তা অনেকের কাছে এখন সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, মিঠি কবে প্রেমে পড়বে কৃশানু সেনগুপ্তর? তাদের এই সম্পর্কের পথ কি এতটাই সহজ হবে?