“মুখে শালীনতা নেই, কলমে কল্পনার বিষ”, “পারলে চরিত্র দের মুখে আর‌ও নোংরা কথা ঢেলে দিতে পারেন তিনি”, চিরসখার ডায়লগ শুনে দর্শকদের তীব্র কটাক্ষের মুখে লীনা গাঙ্গুলি!

বাংলা ধারাবাহিক, যার সাথে জড়িয়ে আছে হাজারো মানুষের আবেগ। কিন্তু এই আবেগের বারবার আঘাত করে চরিত্রদের কুরুচিকর মন্তব্য। টিভি সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট চরিত্র দিয়েই তৈরি হয় এটা ঠিক, কিন্তু কিছু ধারাবাহিকে চরিত্ররা যেন রাইটারের মাথার ভেতরে থাকা কল্পনারই বস্ত্রহীন প্রতিফলন! আর যদি সেই রাইটার হন আমাদের প্রিয় ‘লীনা গাঙ্গুলী’ (Leena Ganguly), তাহলে তো কথাই নেই—চার লাইনের মধ্যে একটা কথা অন্তত এমন থাকবেই যাতে শালীনতার সমস্ত সীমানা টপকে যায়।

লীনা গাঙ্গুলীর লেখার মধ্যে একটা নিজস্বতা অবশ্যই আছে, কিন্তু সব চরিত্রই মুখ খুললেই যেন মনে হয় অর্ধেক অশালীনতা, আর বাকিটা কটাক্ষে ভরা। ‘চিরসখা’র বর্ষার মুখ দিয়ে বর্তমানে যা বলানো হচ্ছে, তা কি আদৌ ‘পারিবারিক ধারাবাহিক’-এর ভাষা? নাকি রাতের বেলায় গোপনে দেখা ওয়েব সিরিজের অনুপ্রেরণায় তৈরি ‘ডায়লগ’?— বলছেন অনেক দর্শক। বরাবরই নিজেকে ব্যতিক্রমী লেখিকা ও সামাজিক ধ্যান-ধারণা ভাঙার মতো তকমা লাগিয়ে এসেছে লীনা, কিন্তু এবার যেন সব সীমা পার।

সেন্সর বোর্ড হয়তো টিভি ধারাবাহিকে নেই, কিন্তু দর্শকদের সেন্স-এরও তো একটা সীমা থাকা উচিত! কেউ কেউ বলছেন, “লীনা গাঙ্গুলী যদি ওয়েব সিরিজ বানাতেন, তাহলে কী কী দেখাতেন, ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়। এখন শুধু পরকীয়ার কথা হচ্ছে, তখন হয়তো প্রকাশ্যেই দেখিয়ে দিতেন।” ঠাকুরপো-বৌঠানের রান্না আর রসায়নের মাঝখানে যেভাবে ডাবল মিনিং ঢুকিয়ে দিচ্ছেন বর্ষার সংলাপ দিয়ে, তাতে বয়ঃপ্রাপ্ত দর্শকরাও মুখ লুকাচ্ছেন।

বর্ষার মতো চরিত্ররা যে এত নির্লজ্জভাবে কথা বলে, সেটাও তো লেখিকার নিজ জীবনের প্রতিচ্ছবি! কোনো রকম নৈতিক সংকোচ নেই, দর্শকেরা বলছেন, “এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে যায়, এমন সাবজেক্টিভ বাস্তবতা নিশ্চয়ই লেখিকার ‘পার্সোনাল ফ্যান্টাসি’ থেকে এসেছে।” দর্শক যেন রোজ এক মুঠো ক্ষোভ নিয়ে তারপর এই ধারাবাহিক দেখতে বসেন!

আরও পড়ুনঃ এয়ার ইন্ডিয়ায় বিরাট প্রতারণার শিকার ইমন চক্রবর্তী! ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক গায়িকা! সচেতন হন আপনিও

সব শেষে একটাই কথা—লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়ালে চরিত্ররা মানুষের মতো নয়, বরং তারা লেখিকার ভেতরের অন্ধকার কল্পনার প্রতিচ্ছবি। যতোই বলুন এটা “ব্রেভ” বা “আলাদা”, দর্শকদের মাথা ধরে যাচ্ছে, তাঁরা বলতে বাধ্য হচ্ছেন— “এখন শুধু ভাবছি, পরের পর্বে আর কী অপদার্থ সংলাপ অপেক্ষা করে আছে আমাদের জন্য!”