এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকরা যে ধারাবাহিকে মজে রয়েছেন, যে ধারাবাহিক দেখে অভিভূত, মুগ্ধ হচ্ছেন সেই ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হচ্ছে জি বাংলার (Zee Bangla ) পর্দায়। সেই ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) ।
এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের কাছে এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তের হট ফেভারিট ধারাবাহিকে পরিণত হয়েছে। আর তাই টিআরপিতেও এখন রাজত্ব করছে এই ধারাবাহিকটি। বাঙালি দর্শকরা এখন এই ধারাবাহিকটি মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখে চলেছেন। এই ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, প্রত্যেক মাসে শিমুলকে নিজের মাইনের অর্ধেক দিয়ে দেওয়ার জন্য হাতে টাকা থাকছে না পরাগের।
আর সেই কারণে অতিরিক্ত টাকা রোজগার করার অজুহাতে পরাগ প্রিয়াঙ্কা নামের একটি মেয়েকে টিউশন পড়ানো শুরু করেছে। তবে পড়ানো শুধুমাত্র কারণ নয়, এই ছুতোয় সে তরুনী ছাত্রীর সঙ্গে ফ’ষ্টি’ন’ষ্টি করা শুরু করে দিয়েছে। আর প্রিয়াঙ্কা নামক মেয়েটিও সমানে পরাগকে উস্কোচ্ছে।
ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কাকে তার জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে শিমুল। উল্লেখ্য , শিমুলকে তাড়িয়ে পরাগের মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্য এই মেয়েকে পরাগের কাছে পাঠিয়েছে প্রতীক্ষা। প্রিয়াঙ্কার মূল উদ্দেশ্য, পরাগকে নিজের জালে ফাঁসানো। আর শিমুলকে তাড়ানো। যদিও পরাগের সঙ্গে সংসার করতে চায়না শিমুল। শুধুমাত্র শাশুড়ি এবং ননদের কথা ভেবে সে থাকে শ্বশুরবাড়িতে। যদিও আগামী দিনে সে আর থাকবে না এই বাড়িতে।
এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, শিমুলের ননদ তুতুল এসে শিমুলকে বলে, ওই প্রিয়াঙ্কা নামের মেয়েটা একে ওকে তাকে তোমার নামে উল্টোপাল্টা কথা বলে বেড়াচ্ছে। ওর এই বাড়িতে আসা বন্ধ কর ও সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে ও নাকি এই বাড়িতে ঢুকবে আর শিমুল বেরিয়ে যাবে। এই কথা শুনে রেগে যায় মধুবালা।
শাশুড়ি মাকে শান্ত করে শিমুল বলে পরাগের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। আর কেউ যদি যেচে বাঘের ডেরায় ঢুকতে চায় তাহলে ঢুকুক। তার কিছু করার নেই। কারণ সে আর কিছুদিন পর এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। শিমুলের এই কথা শুনে ভীষণই কষ্ট পান মধুবালা।
তার দু’চোখে জল চলে আসে। কারণ শিমুল তার জীবনে বড় সহায়, তার ভরসাস্থল। বিশেষ করে পুতুলের জন্য। তাকে ছেড়ে থাকার কথা তিনি কল্পনাও করতে পারেন না। আর সেই জন্য তিনি শিমুলকে বলেন, পরাগ অন্য কাউকে বিয়ে করলেও শিমুল নিজের অধিকারেই এই বাড়িতে থাকবে। এটা আমার বাড়ি। আর এখানে শিমুল থাকবে।