অনেকদিন পর আবারও ছোটপর্দায় ফিরলেন ‘মধুবনী গোস্বামী’ (Madhubani Goswami)। স্টার জলসার ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) ধারাবাহিকে বর্তমানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে এক উকিল চরিত্রে। যদিও এখনো মুখ্য ভূমিকায় নয়, তবে ধারাবাহিকে তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের চোখে পড়ছে। দীর্ঘদিন ভ্লগ, রিলস আর স্পনসর কনটেন্ট নিয়েই মধুবনী ছিলেন ব্যস্ত। সন্তান ও সংসারের খাতিরে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথা বলার পর আচমকা এমন কামব্যাকে হতবাক নেটপাড়া!
অবাক হওয়ার কারণ যে শুধু তাঁর ফিরে আসা নয়, বরং অতীতের বড় বড় ‘বিসর্জন’ পোস্টের পর এমন হঠাৎ পাল্টি! অতীতে বড় গলায় তিনি বলেছিলেন ‘সন্তানের জন্য’ প্রমিসিং কেরিয়ার ছেড়ে দিয়েছেন, সেই একই মানুষ এখন টিভি পর্দায় উকিলের গাউন পরে ফিরে এসেছেন! ট্রোলারদের প্রশ্ন, “মা হওয়ার পর অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন এই গল্পটা তাহলে শুধুই কাজের অভাব ঢাকতে বলেছিলেন?” অনেকে লিখেছেন, “মধুবনী বলেছিলেন উনি কাজ করবেন না সন্তানের জন্য। তাহলে? এটা কি বাবিলকে নজরে রাখার অজুহাত?”
ঘটনাচক্রে মধুবনীর স্বামী ‘রাজা গোস্বামী’ও অভিনয় করছেন এই ধারাবাহিকে, তাও আবার মুখ্য চরিত্রের ছোট ছেলের (বাবিল) ভূমিকায়। কেউ মজা করে লিখেছেন, “একদিন তো বললেন ছেলেকে সময় দেবেন, এখন তার বাবাকে সময় দিতে পর্দায় ফিরেছেন! কে জানে, বাবিলের বাগদত্তা মিটিলকে সরিয়ে ধারাবাহিকেও স্বামী-স্ত্রী হয়ে যেতে পারেন মধুবনী-রাজা। লেখিকাকে বিশ্বাস করা যায় না।” কেউ আবার একটু কটাক্ষ করেই বলেছেন, “ত্যাগ, বিসর্জন এসব আসলে ক্যামেরার সামনে বলা যায়, কিন্তু অফস্ক্রিনে শুধুই অভাব।”
ধারাবাহিকের বর্তমান পর্ব প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন অনেকেই। কেউ কটাক্ষ করেছেন, “যেখানে বলেছিলেন সন্তান ছাড়া কিছু ভাবতেই পারেন না, এখন সেই সন্তানের সামনে স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করছেন! সংসারের বিসর্জন তো স্ক্রিপ্টে ছিল না নিশ্চয়ই?” আবার কারোর মতে, “কি বাজে ভাবে নিজের ত্যাগের গল্প শুনিয়ে ওয়ার্কিং মাদারসদের অপমান করলেন, আর এখন নিজেই পর্দায় ফিরেছেন! এবার আপনার সন্তানের কি হবে?” আবার কেউ বলছেন, “একই মুখে এরা কত রকম কথা বলে। এই কদিন আগে বাচ্চার জন্য কাজ করবে না এইসব বলে ট্রোলও হলো!
যেই কাজ পেয়ে গেল ওমনি পুরনো সব কথা বাতিল হয়ে গেল। অর্থের জন্য মানুষ সব পারে!” অন্যজনের কথায়, “প্রমিসিং কেরিয়ার স্যাক্রিফাইসের কি হলো? এখন তো আপনিও ওয়ার্কিং মাদার, তাহলে আপনিও কি স্বার্থপর? আদর্শ মা তাহলে আপনিও হতে পারলেন না!” কেউ বলেছেন, “বাস্তবে হয়তো স্বামী হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে এত বড়াই করে, কিছু বলার নেই! তাই স্বামীর হাতে-পায়ে ধরে একই ধারাবাহিকে ঢুকে গেল। এবার নিজেই না নায়িকা হয়ে যায়!”
আরও পড়ুনঃ “ও আমাকে নিয়ে বলেছে বলে আমাকেও বলতে হবে, এমনটা নয়!” “সবকিছুর প্রতিক্রিয়া হয় না!”— দেবের কথার পরিণত উত্তর শুভশ্রীর! প্রাক্তনের প্রশংসায় কৃতজ্ঞতা জানালেন অভিমানের সুরে! ‘ধূমকেতু’ মুক্তির উপলক্ষে একসঙ্গে কি দেখা যাবে দুজনকে?
নেটিজেনদের অভিযোগ, মধুবনীর পূর্বের ‘ত্যাগের গল্প’ নিছক ইমোশনাল ব্র্যান্ডিং ছিল। এখন আবার সেই ত্যাগ ভুলে অভিনয় করছেন মানে তো স্পষ্ট—সবকিছুই পরিকল্পনার অঙ্গ! একজন লিখেছেন, “আজকাল বিসর্জনও একটা কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি, মা হওয়াটাও একটা প্রোডাক্ট ক্যাম্পেইন।” সবমিলিয়ে সমাজ মাধ্যমে এখন একটাই আলোচনা—মধুবনী কি বাস্তবে সত্যিই ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, নাকি সেই ত্যাগের গল্পটাও একটা ভালো কন্টেন্ট প্ল্যান ছিল!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।