“ও আমাকে নিয়ে বলেছে বলে আমাকেও বলতে হবে, এমনটা নয়!” “সবকিছুর প্রতিক্রিয়া হয় না!”— দেবের কথার পরিণত উত্তর শুভশ্রীর! প্রাক্তনের প্রশংসায় কৃতজ্ঞতা জানালেন অভিমানের সুরে! ‘ধূমকেতু’ মুক্তির উপলক্ষে একসঙ্গে কি দেখা যাবে দুজনকে?

বছর দশেক আগে বাংলার রুপোলি পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন ‘দেব-শুভশ্রী’ (Dev-Subhashree Ganguly)। এক সময়ে তাঁদের রসায়ন দর্শকদের মন কেড়েছিল। সেটা অনস্ক্রিন হোক বা অফস্ক্রিন, সম্পর্ক নিয়ে কৌতূহলের শেষ ছিল না। তাঁদের মাখো মাখো প্রেম থেকে আকস্মিক বিচ্ছেদ—সবটাই ছিল জনচর্চার বিষয়। সেই অতীতকে পেছনে ফেলে দু’জনেই আজ নিজেদের জীবনে স্থিত। একজন সংসারী মা, অন্যজন সফল অভিনেতা ও সাংসদ। তবে অতীত কখনও পুরো মুছে যায় না! আর তাই তো ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu) ছবির জন্যেই আবার এক ফ্রেমে ফিরলেন তারা।

উল্লেখ্য, ‘ধূমকেতু’ ছবিটির প্রায় এক দশক আগে কাজ শেষ হলেও নানা কারণে মুক্তি পায়নি। ২০২৫ এ অবশেষে ১৪ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তবে ছবির প্রচারে এখনও পর্যন্ত একসঙ্গে দেখা যায়নি দেব ও শুভশ্রীকে। কিন্তু আলাদাভাবে প্রচার চালাচ্ছেন দুজনেই। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দেব। অতীত সম্পর্কের স্মৃতি ছুঁয়ে তিনি বলেন, “আমি জানি না, এত বছর পর যদি ওর পাশে বসি, কী বলব! অনেক কিছুই হয়তো বলার আছে, আবার নেইও।

কিন্তু একটা মেয়ে হিসেবে ওর যে সংগ্রাম— সংসার, সন্তান আর কেরিয়ারকে যেভাবে সব সামলাচ্ছে, সেটা সত্যিই সম্মানজনক।” দেবের এই খোলামেলা ও আন্তরিক মন্তব্যে দর্শকমহলে ফের একবার আলোচনার ঢেউ ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, শুভশ্রী দেবের এই বক্তব্য শুনে কী বললেন? এদিন প্রচারের পালা ছিল শুভশ্রীর। তাঁকে এই প্রশ্ন করা হলে, দেবের প্রশংসায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভশ্রী শান্ত ও সংযত ভঙ্গিতে বলেন, “ও আমাকে নিয়ে কিছু বলেছে বলে আমাকেও কিছু বলতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।

তবে এটুকু বলতেই পারি, এত বছর পর ‘ধূমকেতু’ মুক্তি পাচ্ছে—এইটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।” তবে এখানেই থেমে থাকেননি শুভশ্রী। তিনি দেবের বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমি ধন্যবাদ জানাই, ও যে আমার পরিশ্রমকে লক্ষ্য করেছে, সেটা মনে রেখেছে এবং প্রশংসা করেছে। আমারও বলতে দ্বিধা নেই, দেব নিজের কাজ খুব ভালো করছে।” এই সহজ অথচ গভীর সম্মানের জবাব যেন এক সম্পর্কের পরিণত রূপকে তুলে ধরল! যেখানে অতীত নেই, কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আজও অটুট।

আরও পড়ুনঃ সোহিনীর চিঠিতে বেরিয়ে এল চন্দ্রর গোপন কেচ্ছা! আদালতে লজ্জায় মুখ লুকোল চন্দ্র! স্বতন্ত্রর সম্মানে তীব্র আঘাত অয়নদীপের! কোর্টরুমে ঝড় তুলল কমলিনীর উকিল! চন্দ্র পাচ্ছে সাজা, এবার কি বর্ষারও চোখ খুলল?

দেব-শুভশ্রীর সম্পর্ক এক সময় ছিল আবেগের নাম, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আজও রহস্য থেকেই গেছে, তাদের সম্পর্কের পরিণতির জন্য কে দায়ী? তবে, আজ তাঁদের জীবনের পথ আলাদা হলেও, সেই পুরনো অধ্যায়ের রেশ যেন ‘ধূমকেতু’র আবহে আবার একবার ফিরে এল। তবে এবার সেই স্মৃতি নেই কোনও অভিযোগে—আছে পরিণত মননের পরিপক্বতা। যা তাঁদের নতুনভাবে এক ফ্রেমে না আনলেও, দূর থেকেই একে অপরের জন্য কিছু না বলা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জিইয়ে রেখেছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

You cannot copy content of this page