জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুলের (Icche Putul) গল্প চলে এসেছে তাদের প্রায় শেষ পর্যায়ে। থানার মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ময়ূরী। তাকে দেখতে আসে মেঘ বুঝতে পারে ময়ূরী শুধু অসুস্থ হওয়ার নাটক করছে তখন সে আগে থেকেই রক্ত দিয়ে চলে যায় যাতে পরে ময়ূরী তাকে আর ডাকতে না পারে। কিন্তু বৌভাতের অনুষ্ঠানেই হটাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায় মেঘ। তখন মীনাক্ষী তড়িঘড়ি হাসপাতাল নিয়ে আসে মেঘকে। মেঘও পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ায় তাকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে।
মেঘকে এই পরিস্থিতিতে দেখে ভেঙে পড়ে নীল। মীনাক্ষী পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় মেঘ আর রক্ত দিতে পারবে না তাহলে হয়তো ওকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না। সেটা শুনেই সকলকে ভেঙে পড়ে। অনিন্দ্য বাবুকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় ময়ূরীর অবস্থা শোচনীয় তাই এখুনি মেঘের রক্ত লাগবে তার। সেটা শুনেই কান্নায় ভেঙে পরে মধুমিতা। সে বলতে থাকে এখন ময়ূরীকে তারা কিভাবে বাঁচাবে। অনিন্দ্য বাবু বলেন তিনি এক মেয়েকে বাঁচাতে গেলে আরেক মেয়ে চলে যাবে। সেটা শুনেই আরও কষ্ট পেতে শুরু করেন মধুমিতা।
মধুমিতা বলেন তিনি জানেন ময়ূরী অনেক ভুল করেছে তবে হাজার হোক মা তো তাই তিনিও চান তার মেয়ে বেঁচে যাক। তখন মীনাক্ষী তাদের বলেন শান্ত হবে তিনি রক্তের ব্যবস্থা করছেন আর তারাও যেন চেষ্টা করে। তখন অনিন্দ্য বাবু ভাবতে থাকেন কি করে এত তাড়াতাড়ি এখন ডোনার খুঁজে পাবেন তিনি। কিন্তু মীনাক্ষীর কাছে এসে নীল জানিয়ে দেয় মেঘ কিছুতেই আর রক্ত দেবে না। যা হয়ে হোক সকলেই যেভাবে হোক ডোনার খুজুক কিন্তু মেঘ যেন রক্ত না দেয়।
সেটা শুনে মীনাক্ষী বলেন মেঘকে কেউ রক্ত দিতে বলছে না তারা অন্য ডোনারের চেষ্টা করছেন। তখনই নীল ভাবতে থাকে “আমায় ক্ষমা করে দিও মেঘ কিন্তু আমি কিছুতেই আর তোমার জীবনের ঝুকি নিতে পারব না কোনও মতেই না।” ওদিকে মেঘ চোখ খুলে খুঁজতে থাকে অনিন্দ্য বাবু আর মধুমিতাকে। তাদের না দেখতে পেরে সে খুব চিন্তায় পড়ে যায়। মীনাক্ষীকে তখন তাকে জিজ্ঞাসা করে সে কেমন অনুভব করছে। মেঘ তাকে উত্তর দেয় ভালো। তখনই মীনাক্ষী বেরিয়ে যাওয়ার পর মেঘ ফোন করতে নেয় অনিন্দ্য বাবুকে।
কিন্তু নার্স আসে তাকে বলে ফোন রেখে দিতে কারণ মীনাক্ষী বারণ করেছেন তখন মেঘ বলে তার বাবা মাকে একটা ফোন করে সে দিয়ে দেবে। তখন অনিন্দ্য বাবুকে ফোন করে মেঘ। তিনি ভুল করেই ধরে ফেলেন ফোনটা। তারপর মেঘ তাকে জিজ্ঞাসা করে তারা তার সঙ্গে দেখা করল না কেন। তখন অনিন্দ্য বাবু বলেন তার একটা জরুরী কাজ ছিল তাই তারা বেরিয়ে এসেছেন। মেঘ মধুমিতার কথা জিজ্ঞাসা করায় অনিন্দ্য বাবুকে ইশারা করে দেয় মধুমিতা। তিনি বলেন মধুমিতা বাথরুমে গেছে ফ্রেশ হতে। তখন মেঘ অনিন্দ্য বাবুকে জিজ্ঞাসা করে ময়ূরী কেমন আছে?
আরো পড়ুন: দারুণ খবর! ধারাবাহিক শেষ হতে না হতেই বাস্তবে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন ‘সন্ধ্যাতারা’ জুটি! তবে কী মনের মানুষ পেলেন অন্বেষা?
অনিন্দ্য বাবু বলেন ভালো আছে, তখন মেঘ তাকে বলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সে ময়ূরী ওপর থেকে সব কেস তুলে নেবে যাতে, কারণ ময়ূরী এই শরীর নিয়ে জেলে থাকতে পারবে না। সেটাই শুনে অনিন্দ্য বাবু ভাবতে থাকেন ময়ূরী কি আদৌ বাঁচবে? তখনই হাসপাতাল থেকে একজন তাকে মিস্টার রায় বলে ডাকেন। সেটাই শুনে ফেলে মেঘ আর তারপর ফোন কেটে দেয় অনিন্দ্য বাবু। মেঘ ভাবতে থাকে তার মানে তার বাবা বাড়িতে নেই, তাহলে কোথায়? তখন নীল নার্স বলে বলে মেঘ যেন কোনও ভাবেই হাসপাতালে ফোন করতে না পারে। ওদিকে অনিন্দ্য বাবু হাসপাতালে সবটা জানালে তারা বলেন ময়ূরী হাতে আর ৪৮ ঘণ্টা আছে। তার মধ্যে ডোনার না পাওয়া গেলে তাকে বাঁচানো যাবে না। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি এইভাবেই শেষ হয়ে যাবে ময়ূরী?