জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুলে (Icche Putul) ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে মেঘ এবং নীলের বিবাহ। তবে ঝামেলা, অশান্তির পর অবশেষে কাছে এসেছেন তারা। ঠাম্মি পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের থেকে সবটা গোপন করেই তাদের বিয়ের পরিকল্পনা করে দুই পরিবার। কিন্তু মেঘকে নতুন জীবন শুরু করতে দেখে খুশি হয়নি ময়ূরী। অনেক চেষ্টা করে কার সঙ্গে মেঘের বিয়ে হচ্ছে জানার কিন্তু কিছু জেনে উঠতে পারেনি সে।
তাই কোনও পথ দেখতে না পেয়ে অবশেষে রূপের কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে মেঘকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ময়ূরী। এদিকে বিয়ের দিন একে অপরকে দেখে চমকে যায় মেঘ এবং নীল। প্রথমে তারা রাজি না হলেও ঠাম্মির কথায় এবং নীলের প্রস্তাবে শেষ বিয়েতে রাজি হয় মেঘ। বিয়ে চলাকালীন এখানে চলে আসে ময়ূরী। মেঘে এবং নীলের বিয়ে হচ্ছে দেখে রেগে যায় ময়ূরী। মেঘের দিকে বন্দুক তাক করে মেঘকে গুলি করে।
কিন্তু ময়ূরীর হাত পাকা না হওয়ায় বেঁচে যায় মেঘ এবং ভয়েই জ্ঞান হারায়। তখন মধুমিতা তাকে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। মেঘও বাবা মাকে বিদায় দিয়ে চলে যায় শশুর বাড়ি। সেখানে মীনাক্ষী এবং গাঙ্গুলি পরিবার বরণ করে ঘরে তোলে মেঘকে। এদিকে অনিন্দ্য বাবু তাকে থানায় গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়না তাতে। মেঘ এবং নীলকে আলাদা করার পরিকল্পনা করতে থাকে সে জেলে বসে।
মেঘের ফুলসজ্জার দিন মেঘকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানায় সে খুব অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে ময়ূরী। মেঘও নীলকে নিয়ে তড়িঘড়ি চলে যায় হাসপাতালে। সেখানে সে বলে তার অবস্থা ভালো নয় তাকে রক্ত হতে হবে। যদিও ময়ূরীর চালাকি কিছুটা ধরে ফেলে মেঘ। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার জানায় তেমন কিছুই হয়নি তার। তখন মধুমিতা মেঘ এবং নীলকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে থেকে যায় সেখানেই ময়ূরীর সঙ্গে কথা বলার জন্য। তবে কি মনে হয় আপনাদের মায়ের কথাতেই কি তবে হুস ফিরবে ময়ূরীর?