শুধুমাত্র নীলকেই ভালোবাসি! অন্য ছেলেকে বিয়ে করব না! বাড়ি থেকে পালালো মেঘ!

জি বাংলার (Zee Bangla) ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) ধারাবাহিকটি প্রায় চলে এসেছে তার অন্তিম পর্বের কাছে। ময়ূরী এখন কিছুদিন উপস্থিত নেই বাড়িতে, তবুও যেনও মিটছে না মেঘ ও নীলের দূরত্ব। কাছাকাছি এসে এক হতে পারছে না দুই ভালোবাসার মানুষ। নীল চলে গেছে দিল্লি, তবে মেঘ কিছুতেই ভুলতে পারছে না নীলকে। দুই পরিবারও এখন চাই ওদের চার হাত এক করে দিতে। মেঘও বুঝতে পেরেছে নীলকে ছাড়া বাঁচবে না সে।

এদিকে মেঘের মা মধুমিতা মেয়ের ভালোবাসার বিষয়ে জেনে খুব খুশি তিনিও চাই তার মেয়ে সুখী থাকুক, তবে বাদ সাধছে মেঘের বাবা। নীলের অতীতে করা ব্যবহারই ক্ষিপ্ত তিনি, তবে মধুমিতা তাকে বুঝছেন যে মেয়ে সুখী থাকুক সেটাই সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই গত পর্বেই ইচ্ছা করে মেয়ের বিয়ের কথা পারেন তিনি। জানিয়ে দেন এবার তাকে বিয়ে করতেই হবে।

মেয়ের মনে নীলের জন্য আদৌ কোনও জায়গা আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে মেয়েকে নীলের বিরুদ্ধে অনেক খারাপ করাও বলেন তিনি, যদিও তার প্রতিক্রিয়ায় মেঘ নীলের প্রশংসায় অনেক কথাই বলে তার মাকে যা শুনে মনে মনে খুশি হন তিনি। তবে তার পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে মেঘকে এই কথা তিনি জানান যার উত্তরে মেঘ বলে যদি বিয়ে করতেই হয় তবে সে শুধু নীলকেই বিয়ে করবে অন্য কাউকে নয়।

আগামী পর্বে দেখা যাবে, মায়ের মুখে বিয়ে নিয়ে এরকম কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পরে মেঘ, তবে মনে মনে ঠিকও করে নেয়, নীল ছাড়া কারুর হাত ধরবে না সে এজন্মে। তাই বাধ্য হয়ে মাকে চিঠি লিখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মেঘ দিল্লির উদ্যেশ্যে। চিঠি পরে খুশি হলেও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মধুমিতা। মেঘের বাবা অনিন্দ্য বাবু তাকে এর জন্য দায়ী করলে তিনি জানান তিনিও চান মেঘ নীলের সাথেই থাকুক, কিন্তু সেটার জন্য যে মেঘ এই পথ বেছে নেবে তিনি ভাবেননি।

তখনই তিনি নীলের বাড়িতে ফোন করে মেঘের দিল্লি যাবার বিষয়টি জানান। সবাই খুব খুশি হয়, নীলকে ফোন করে লাল বলে সে দিল্লি যাচ্ছে নীল যেনও বাড়িতেই থাকে, এই বলে সে তার ফোনটা সুইচ অফ করে দেয়। ওদিকে তখন মেঘ পৌঁছে গেছে দিল্লি। কলিং বেলের শব্দ শুনে নীল গিয়ে দরজা খুলে দেখে মেঘ দাড়িয়ে, মেঘকে দেখে চমকে যায় নীল। ভেতরে ঢুকে মেঘ নীলকে সবটা খুলে বলে। এবার কি হবে নীলের প্রতিক্রিয়া? পারবে কি তারা কাছাকাছি আসতে? নাকি তাদের জীবনে আছড়ে পড়বে কোনও নতুন ঝড়? জানা যাবে ইচ্ছে পুতুলের পরিবর্তে সম্প্রচারে।