এই মুহূর্তে যে ধারাবাহিকটি বাংলা ধারাবাহিকের দুনিয়ায় শিরোনাম দখল করে নিয়েছে নিঃসন্দেহে সেই ধারাবাহিকের নাম ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । দর্শকমহলে এখন এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আসলে এতটা জমাটি গল্প দেখতে কার না ভালো লাগে। আর সেই কারণেই এই পরিমাণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ধারাবাহিকটি।
শুধুমাত্র মেঘ নয় গিনির জীবনও নরকে পরিণত করেছে ময়ূরী। গিনির চোখে ভালো মানুষ সাজার জন্য এবং মেঘকে অপদস্থ করার জন্য রূপ সম্পর্কে সাজিয়ে সাজিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলেছিল সে। যাতে রূপের বিরুদ্ধে আনা মেঘের সত্যি কথাগুলো বিষ মনে হয় গিনির কাছে। আর তেমনটাই হয়েছে। ময়ূরীর মিথ্যে কথার জালে ফেঁসে রূপকে বিয়ে করে নেয় গিনি। আর তারপর থেকেই নরকে পরিণত হয়েছে তার জীবন।
বলাই বাহুল্য, এই মুহূর্তে নরক যন্ত্রণা সহ্য করছে গিনি। প্রতিনিয়ত রূপের অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে তাকে। যে ময়ূরীকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে সে বিয়ে করেছিল রূপকে সেই ময়ূরী যে আসলে নিকৃষ্ট মানের একজন মানুষ তা জানতে পেরে গেছে গিনি। নেশার ঘোরে রূপ গিনিকে জানিয়ে দিয়েছে মেঘকে চরিত্রহীন প্রমাণ করা সবটাই ছিল ময়ূরীর পরিকল্পনা। ভুল ভেঙেছে গিনির।
রূপ-গিনির বিয়ের বহু আগে থেকেই বারবার বিভিন্ন সময় গিনিকে রূপ সম্পর্কে সতর্ক করেছিল মেঘ। কিন্তু কখনই মেঘের কথা শোনেনি গিনি। উল্টে তাকে বারংবার অপমান করেছে, অপদস্থ করেছে, তার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছে। শত অপমান সহ্য করে এখন মেঘ এবং সৌরনীলের পথ আলাদা হয়ে গেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সৌরনীলের বোন গিনিকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা এতটুকুও কমেনি মেঘের।
গিনির পরিবারের অনেকেই এমনকি সৌরনীল যখন গিনির বিয়ের পর নিশ্চিত হয়ে গেছে। সেখানেই মেঘ আশঙ্কায় ভুগছে। কারণ গিনির সঙ্গে দুবার সাক্ষাতেই সে গিনির শরীরে দেখেছে বিভিন্ন আঘাতের দাগ। এমনকি সে ছল করে নিজের বন্ধুকে তার বাড়িতে পর্যন্ত পাঠিয়েছিল কিন্তু সেখানেও সাক্ষাৎ হয়নি তার বন্ধুর সঙ্গে গিনির।
আর মেঘ নিশ্চিত হয় বিরাট বড় কোন বিপদের মধ্যে পড়েছে গিনি। আর এই অসহায় পরিস্থিতিতে সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। সে নীলকে ফোন করে এবং ফোন করে জানায় গিনি বিপদে রয়েছে। একইসঙ্গে বলে যে কথায় সে আগে জানিয়েছিল। সেই কথাই সে আবারও বলবে। একইসঙ্গে গিনির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখার কথাও জানিয়ে দেয় মেঘ। এবার কি হতে চলেছে ইচ্ছে পুতুলে? মেঘ- নীল এক হয়ে কী ধরতে পারবে রূপকে? মুখোশ খুলবে ময়ূরীর?