মিশকার প্ল্যানে সূর্যর বোন তিস্তার উপর গু’ন্ডাদের কুনজর! সূর্যকে রোগীরা করল বয়কট! থা’প্পড় মারল দীপা

এই মুহূর্তে টিআরপি দৌড়ে ছিটকে গেছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) তবে সেটা শুধু এক সপ্তাহের জন্য। মিশকা এত শিক্ষা পেয়েও তার ষড়যন্ত্র থামাচ্ছে না কারণ সে সূর্যকে নিজের করে নেবেই। ওদিকে দীপা নিজের সিঁথির সিঁদুর অক্ষত রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। দেখার বিষয় কে জেতে শেষে।

লাবণ্যর মহত্ব

লাবণ্য একটা সেমিনারে গিয়ে প্রথম দেখতে পায় যে মিশকা খেতে পারছে না কারণ বিল দেওয়ার টাকা নেই। তারপর সেই টাকা মিটিয়ে দেয় লাবণ্য। ঠিক তার পরের দিন দেখা যায় মিশকা সেনগুপ্ত বাড়িতে এসে হাজির হয়েছে এবং লাবণ্যর হাতে পায়ে পড়ে তাকে এবং দীপাকে রাজি করায় সেই বাড়িতে থাকতে দিতে। বাড়ির সবাই সবকিছু বুঝেও শুধুমাত্র তাকে থাকতে দিতে রাজি হয়েছে সন্তানের যত্নের কথা ভেবে।

অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব

সিরিয়ালের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় যে দীপা সোনা এবং রুপা দুজনকে নিয়ে স্কুলে যেতেই স্কুলের অন্যান্য ছাত্রীদের মায়েরা এই দুই মেয়ের সঙ্গে তাদের সন্তানদের পড়াতে নারাজ। তাদের দাবি হলো সোশ্যাল মিডিয়া এবং টিভির দৌলাতে বাচ্চারা সূর্য সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে গেছে এবং সেই কেচ্ছা নিয়ে ভুল ধারণা হচ্ছে। ফলে সেই সূর্যর দুই মেয়ের পাশে বসে পড়াশোনা করলে তাদের মনেও এর প্রভাব পড়তে পারে। দীপা তাদেরকে বোঝায় যেতে সূর্যের কোন হাত নেই সে নির্দোষ এবং শুধু এটাই নয় বরং মিশকাকে তারা চাইলেই সরিয়ে দিতে পারতো কিন্তু তা না করে যে সন্তান আসছে তার কথা ভেবে তারা মিশকাকে সেই বাড়িতেই আশ্রয় দিয়েছে এবং যত্নে রাখছে। এতে মন গলে যায় সবার।

অন্যদিকে হাসপাতালে সূর্য রোগীদের চিকিৎসা করতে গেলে সমস্ত রোগী তার চিকিৎসা নিতে নারাজ। ফলে বাড়ি চলে আসে সূর্য। এদিকে এসে সে দেখে বিছানায় শুয়ে রয়েছে দীপা। আসলে যে সে মিশকা সেটা বুঝতে পারেনি কারণ চাদর মুড়ে শুয়ে ছিল সে। সূর্য তার কাছে যায় এবং তার মন খারাপ কিনা জানতে চায় আর ঠিক তখনই দীপা সেই ঘরে প্রবেশ করলে সূর্য চমকে যায় এবং লাইট জ্বালিয়ে দেখে যে শুয়ে রয়েছে সে আসলে আর কেউ নয় মিশকা। সূর্য তাকে রীতিমতো মারতে তেড়ে যায়। দীপা পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং সূর্যকে শান্ত করে।

এরপর দেখা যায় মিশকা একটা নতুন প্ল্যান করছে এবং তার জন্য সে বলে যত টাকা লাগবে তত টাকাই দেবে আর ঠিক তখনই দীপা সেখানে এসে পড়ে এবং তাকে প্রশ্ন করে যার নিজের থাকা-খাওয়ার জায়গা নেই সে আবার এত টাকা কাকে দেবে এবং কোথা থেকে পাচ্ছে। মিশকা ভয় পেয়ে যায় এবং ভাবে যে দীপা সব বুঝে গেছে তাই সে ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বলে সে চ্যারিটি করছে। দীপা প্রচন্ড হেসে ফেলে এবং তাকে বলে তার প্ল্যান করা হয়ে গেলে দুধ খেয়ে নিতে। ওদিকে দেখা যায় সূর্যর কাকার মেয়ে তিস্তা কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছে আর পথেই কিছু গুন্ডা তাকে ঘিরে ধরে তোর দাদাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা বলছে এবং তাকেও কুনজরে দেখছে। তাদের মধ্যে একজনকে চড় মেরে দৌড়াতে যায় এবং তখন পড়ে যায়। কিন্তু সেই মুহূর্তে সব দেখে বাঁচাতে সেখানে ছুটে আসে দীপার মা রত্না। তারা সাবধান করলেও ছেলেগুলো কথা শোনে না এবং শেষমেষ বাঁচাতে আসে দীপা। রত্না আগেই তাকে ফোন করে দিয়েছিল।