পরপর দুই সপ্তাহ ধরে ফ্লপ অনুরাগের ছোঁয়া। এবার টিআরপি হাতিয়ে নিতে চরম অস্ত্র প্রয়োগ করেছেন সিরিয়াল নির্মাতা। একেই মিশকা প্রেগনেন্ট তার উপরে আবার এক নতুন চরিত্র ঢুকছে গল্পে। তার সঙ্গে দীপার বিশেষ সম্পর্ক থাকতে পারে।
সূর্য দীপার লন্ডন যাওয়ার প্ল্যান
সেনগুপ্ত পরিবার থেকে দীপা এবং সোনা রুপাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চায় সূর্য কারণ এবার সে শান্তিতে জীবন যাপন করতে চায় এবং তার দুই মেয়েকে একটা সুন্দর জীবন দিতে চায়। লন্ডনে ডাক্তারির সুযোগ পেয়েছে এবং এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না সূর্য। মন না চাইলেও দীপা এবং তাদের দুই মেয়ে রাজি হয় অবশেষে। পাসপোর্ট এবং ভিসা পার্সেল এলে মিশকা হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় দীপার এবং সমস্ত দেখে ফেলে। তবে সে জানতে পারে না যে শেষমেষ তারা কোথায় যাচ্ছে এবং কখন যাবে।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব
আজকের পর্বে দেখা যায় যে সূর্য দীপা বাড়িতে সেলিব্রেশনের মুডে রয়েছে আর মিশকা হন্যে হয়ে সূর্যকে খুঁজছে এই ভেবে যে সূর্য হয়তো বিদেশে চলে গেছে তাকে না জানিয়ে। অবশেষে মিশকা সেনগুপ্ত বাড়িতে ফিরে আসে এবং প্রচন্ড রেগে যায় সূর্যসহ বাড়ির সবার উপর কারণ সব অনুষ্ঠানে তাকে বঞ্চিত করে তারা নিজেরা উদযাপন করে এবং আনন্দ খুশিতে মেতে ওঠে। বাড়ির সবাই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে সে এই বাড়ির আশ্রিতা হলেও সদস্য নয়। এতে প্রচন্ডভাবে রেগে যায় মিশকা এবং শেষমেষ সে নিজেকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। দীপা ভাবে এটাও হয়তো সে ব্ল্যাকমেইল করছে সবাইকে। যাতে সূর্য তার কাছে যায়। তবে না এবার আর ব্ল্যাকমেইল করেনি বরং সত্যিকারের ছুরি দিয়ে নিজেকে কুপিয়ে দিল মিশকা।
তার পেটে রয়েছে এই পরিবারের সন্তান। সঙ্গে সঙ্গে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলো মিশকাকে এবং জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে সে। এই অবস্থায় হসপিটালের কোন ডাক্তার নয় বরং ডেকে পাঠানো হলো এক বিশেষজ্ঞকে। তিনি হলেন অর্জুন চক্রবর্তী। বোঝাই যাচ্ছে এই সিরিয়ালে আবার এক নতুন চরিত্র ঢুকল।
অর্জুন চক্রবর্তী বিদেশে রয়েছেন এই মুহূর্তে তাই তিনি নিজের ল্যাপটপের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স করে ডাক্তারদের যাবতীয় নির্দেশ দিয়ে দিলেন যে কিভাবে এই কেসের মোকাবিলা করতে হবে এবং রোগীকে সুস্থ করতে হবে। তবে তার আগে সূর্যকে আবার বন্ডে সই করতে হল। সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর ছিল এবার কারণ দীপা রয়েছে সামনে। তবু সে বাধ্য হয়ে সই করল। অবশেষে অপারেশন সফল হলো এবং পুত্র সন্তানের জন্ম দিল মিশকা। তবে যেহেতু তার মায়ের অবস্থা খুব খারাপ তাই এখন বাড়িতে কাউকে দেখতে দেওয়া হলো না। ওদিকে দীপা ডাক্তারদের কেবিনে গেল ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে রোগীর ব্যাপারে। অর্জুন তার গলা শুনতে পায় এবং দীপা চলে যেতেই ডাক্তারদের জিজ্ঞাসা করে যে সে কে ছিল। তারা বলে রোগীর বাড়ির লোক এবং সঙ্গে সঙ্গে অর্জুন বলে দীপার গলা। অর্জুন ফিরছে বহুদিন পর দেশে। তাহলে কি দীপা আর অর্জুনের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক ছিল?