ধারাবাহিকগুলিকে এখন বরাবরই বেশ প্রতিযোগিতার বাজারে থাকতে হচ্ছে। আসলে একটি ধারাবাহিক তৈরির ক্ষেত্রে নির্মাতাদের অনেক দিকের খেয়াল রাখতে হয়, যা হয়তো সাধারণত ওয়েব সিরিজ বা সিনেমার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হয় না। তার মধ্যে প্রতিযোগিতার বাজারে যদি প্লট মিলে যেতে শুরু করে তাহলে ভাবুন তো কী হবে? তবে ভাবার কী আছে তাইতো হচ্ছে। গাঁটছড়া (Gaatchora) , হরগৌরী পাইস হোটেল (Horogouri Pice Hotel) , মিঠাইতে (Mithai) কী হচ্ছে?
যদিও মনে রাখতে হবে, ধারাবাহিক মানেই সেটা অনেকদিন ধরে সম্প্রচারিত হবে। বরং তার শুরুর দিন থাকলেও দেশের সময় ঠিক করা থাকে না। এছাড়া যতই নতুন নতুন ধারাবাহিক হোক, সেইতো যেন একই গল্প নতুন নতুন মোড়কে পেশ করার প্রবণতা।তাই যতদিন সম্ভব দর্শকদের সেটার মধ্যে জিইয়ে রাখাই যেন ধারাবাহিকের অন্যতম সাফল্য।
কিন্তু সেটার জন্যই নির্মাতাদের অনেক কিছু খেয়াল রাখতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে দর্শকদের আর অন্যদিকে আশে পাশের পরিস্থিতিরও। আর সব কিছুর মধ্যে দিয়ে যেটার খেয়াল রাখতে হয়, তা হল টি আর পি।
তবে তার মধ্যে এভাবে প্লট মিলে যাওয়া কী নিতান্তই কাকতালীয়? নির্মাতারা কী ভেবেছিলেন একটা দর্শকদের চোখের আড়াল হয়ে যাবে? না বরং দর্শকদের চোখে আগে ধরা দিয়েছে। তাঁরাই প্রশ্ন করছেন একের পর এক। প্রথমত, এই তিনটি ধারাবাহিকের গল্প এই মুহূর্তে এক।
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় স্মৃতি লোপ পেয়েছে তিনটি ধারাবাহিকের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের। একদিকে জি বাংলার মিঠাইয়ের মিঠাই, ওদিকে স্টার জলসার অপর জনপ্রিয় ধারাবাহিক হরগৌরী পাইস হোটেলের বড় ছেলে প্রভাকর, আরও একটা স্টার জলসারই অন্য ধারাবাহিকে গাঁটছড়ার নায়িকা খড়ির।
কী অদ্ভুত না! আরও অদ্ভুত যে ধারাবাহিকে সবসময় দুম দাম করে জিনিস হতে দেখ যায়। উড়ন্ত সিঁদুর, টুক করে বিয়ে, হঠাৎ একটা ধাক্কায় সব মনে পড়ে যাওয়া এরকমই তো হয়। কিন্তু এসব কিছু না হয়ে ধীরে ধীরে স্মৃতি ফিরছে। আর এটা কি নিতান্তই কাকতালীয়, নাকি সত্যিই কেউ গোপন কথা ফাঁস করেছেন!